Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাগুরায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৭জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার ১৭৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলার ১২০ টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৬ জন ভোট প্রদান করবেন। অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৫৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৫২ জন ভোটার। সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। লক্ষ করা যাচ্ছে।মাগুরার দুইটি উপজেলায়  ৫১ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ/ গুরুত্বপূর্ণ  ঘোষনা করেছে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য মাগুরায় ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মাগুরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান ।

আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বাংলাদেশও এর প্রভাবমুক্ত নয় জানিয়ে, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত ।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বাংলাদেশেও তার প্রভাবমুক্ত নয়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষনা হবে ৬ জুন, দেশি-বিদেশি নানা কারণে কিছুটা কমতে পারে জিডিপি আকার।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে মাত্র তিন বছর সাত মাসে স্বল্পোন্নত দেশের রূপান্তর করেছেন বঙ্গবন্ধু যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হবে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে এবং বাকি প্রতিবন্ধকতাগুলোও শিগগিরই সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত প্রযুক্তিগত যোগাযোগ তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। বাজার তৈরি করতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তরুণদের নিজে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিদেশেীদের উপদেশ মেনে দেশের উন্নয়ন হবেনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদদের মাটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান।

তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার ও পণ্য খুঁজে বের করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ জন্য সরকার সর্বদা তাদের পাশে থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কোনো ব্যবসায়ীকে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখে বিচার করে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের সময় দেশে মাথাপিছু আয় বাড়েনি। কারণ গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া দেশ এগোতে পারে না। রাজনীতিবিদদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে। আর ক্ষমতা যারা দখল করে তাদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে না।

তিনি বলেন, স্বৈরশাসকেরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করা বুঝতো। কে কোন ব্র্যান্ডের জিনিস পড়বে, সেসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। আসলে স্বৈরশাসকেরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়। জিয়াউর রহমানের সময়ই খেলাপি ঋণের কালচার শুরু হয়। যা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ১৮ থেকে ১৯ ক্যু হয়েছে জানিয়ে বলেন, খেলাপি ঋণের কালচার জিয়াউর রহমানের সময় শুরু করেছিল কিছু মানুষকে সুযোগ দিতে ।

শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা-ভাই হারিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে দেশে ফিরেছিলাম। দেশের মানুষের মধ্যেই নিজের হারানো পরিবারকে খুঁজে পেয়েছিলাম। অর্থনীতি বলতে আমি বুঝি শুধু মানুষের কল্যাণ করতে হবে। আমার প্রতিটি কাজের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হামলা ও হুমকিতে প্রতিবন্ধকতা নিরপেক্ষ নির্বাচনের শঙ্কায় প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image
সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একাধিক হামলায় সমর্থকরা আহত ও নানা হুমকিতে নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের  চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। এ অবস্থায় সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মৌচাক এলাকায় বাসমতি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে  এসব অভিযোগ তুলেছেন। এসময় প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সাহাদাত হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকমী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলন ও হামলার শিকার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহব্বায়ক এবং চাপাইর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের উপর হামলা চালানো হয়। আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয়  চাপাইর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতুর নেতৃত্বে ৪/৫ জন এ হামলা চালান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় তার ছেলে শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সপ্তাহ খানেক আগে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও ছাত্রলীগ নেতা মৃদুলের হাত ভেঙ্গে দেয় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন দল ও দলীয় প্রাথী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। দল থেকে এমন ঘোষণা দিলেও আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা দলের নাম, দলীয় অফিস ব্যবহার করছেন। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অপপ্রচারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও আমার মোটরসাইকেল প্রতীকের গণজোয়ার দেখে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা হুমকি-দমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ওই প্রার্থী। 
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অন্য কেউ ফোন তুলে বলেন চেয়ারম্যান এখানে নেই।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, একটা হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহম্মেদ জানান, হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।

আরও খবর



সমবায়ের ধারণা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে খাদ্য নিশ্চয়তা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ জন্য সারা বাংলায় সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়ারকুল একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে কোটালিপাড়া, টুঙ্গিপাড়ার সকল কৃষি জমি একসঙ্গে চাষের আওতায় আনা হবে। যার ভাগ পাবে কৃষক, জমির মালিক ও সমিতি।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্টই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংগ্রামের দিকে ধাবিত করে। তিনি দুঃখী মানুষের কষ্ট সইতে পারতেন না।

পরিবারগুলো ভাগ হয়ে গেলে, জমিতে আইল পড়ে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে যা উৎপাদন হবে, সেখান থেকে কেউ সঞ্চয় করতে চাইলেও পারবেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

দারিদ্র্য বিমোচন করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বিনা জামানতেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। নেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে সমবায় পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।

‘বয়স হয়ে গেলে যেন কেউ কষ্টে না ভোগে সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। পেনশন স্কিম চালালে ভাতার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব,’ যোগ করেন তিনি।

বৃক্ষরোপণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু দলের (আওয়ামী লীগ) কর্মী নয়। দেশের প্রত্যেক মানুষের উচিত পহেলা আষাঢ় একটি করে গাছ লাগানো।

কোটালিপাড়া-টুঙ্গিপাড়ায় যত অনাবাদী জমি আছে, সেগুলোতে চাষ করার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বলেন, এসব জমি সমবায়ের আওতায় এনে চাষ করা হবে। যার যার জমি তিনি ফসলের ভাগ পাবেন।

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমিতির সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ল্যাপটপ, সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল এবং কৃষিবীজ ও উন্নত মানের কবুতর বিতরণ করা হয়।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



আজ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা,মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ রোববার (৫ মে) চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।

তিনি বলেছেন, রোববার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:-

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর