Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

মাগুরার সবুজ ও হৃদয় দুভাই হত্যার মূল আসামী আশিক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার  মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামে  দুই ভাইয়ের গলাকেটে খুনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামী আশিককে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রাতে তাকে মাগুরা শহর থেকে আটক করে পুলিশ। মাগুরার  মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামের ঢোক চান্দের মাঠ থেকে রবিবার ৩১ ডিসেম্বর  ভোরে দু ভাইয়ের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত দুই ভাই- সবুজ মোল্ল্যা (২৮) ও হৃদয় মোল্লা (১৮) উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের  মঞ্জুর মোল্লার ছেলে।  মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং যথাশিগ্র আসামী গ্রেফতার হবে বলে জানান। এ ঘটনায় পাশের বাড়ির দুজনকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রেখে মূল আসামী আশিককে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক আশিকুর রহমান (১৭) এখই উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের  ফারুক শিকদারের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জেরে  এ ঘুনের ঘটনা ঘটছে বলে প্রেসব্রিফিং এ জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মোঃ কলিমুল্লাহ। পুলিশ সুপারের সম্মলন কক্ষে সোমবার ১ ডিসেম্বর দুপুরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে  এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম তোফাজ্জেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো জানান, আটক আশিক এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়ি থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতদের ভ্রাতা আবুল কালাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।

আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দক্ষিণ পাইকপাড়ার আশ্রম থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। ওই আশ্রমে এখনও অভিযান চলছে। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামক বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেওয়া বেশিরভাগ তথ্যই ছিল মিথ্যা।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর



যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ বেশকিছু দিন ধরেই চলছে।বিশেষ করে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে।

বৈশাখের তপ্ত গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশের সাথে যশোরের মানুষ।  তীব্র তাপপ্রবাহে আগুন ঝরা রোদ থেকে রক্ষা পেতে যশোরের মানুষ একটু ছায়া খুঁজছেন।

চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। ভোগান্তিতে চরমে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাছাড়া  শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গরমে গলে উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



মাগুরায় হত্যা মামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ!

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় ৪ ডাক্তারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করেছেন মাগুরা জেলায় কর্মরত ডাক্তার সমাজ।মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল বেলা ১১.৩০ টার সময়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার ও দুপুর ২.৩০ টার সময়ে  জেলা প্রশাসক বরাবরে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপিতে  মাগুরা জেলার নিম্নস্বাক্ষরিত সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ, সিজারিয়ান অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় আমাদের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলা (ধারা: 304 (Part-2)/34, The Penal Code, 1860;] সম্পর্কে  গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান হয়

গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং প্রসূতি শায়লা রহমান সেতুকে পরিবারের লোকজন মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরিন আক্তারের নিকট আনেন এবং জরুরি সিজার অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন এবং অপারেশনের সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত হয়ে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। সেই মোতাবেক এনেস্থেটিস্ট ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ-এর সহায়তায় ডা. জাফরিন আক্তার যথাযথভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন। পরদিন ভোর অনুমান ৬টায় রোগির জটিলতা (PPH) দেখা দিলে রোগীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসকদল পুনরায় অপারেশন করেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় অপারেশনের পর আইসিইউ-এর প্রয়োজনে রোগিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগির স্বজনরা তাকে ঢাকার বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান, যেখানে ৫ এপ্রিল রাত ১০-৩৬ মিনিটে বিভিন্ন জটিলতায় রোগি মৃত্যুবরণ করেন (ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। 

সমাজের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসাবে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় আমরা রোগীর পরিবারের শোক অনুধাবন করি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস কবি যে, এই মামলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নর হত্যার অভিযোগ কেবল উদ্দেশ্য প্রণোদিতই নয় বরং ভয়ঙ্কর বানোয়াট এবং সত্যের ভুল উপস্থাপনা।

আরও খবর