Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাগুরার পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৪ মার্চ  সোমবার দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও এস এস সি ২০২৩ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার  আয়োজন করা হয় এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন খুশি তেমন সাজো, মোরগ লড়াই, দড়ি লাফ, মোমবাতি দৌড়, ভারসাম্য দৌড়, বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলমগীর কবীর জেলা শিক্ষা অফিসার মাগুরা এবং সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক সদস্য জাতীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি , মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি, পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাগুরা।

এ সময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা সাংস্কৃতিক চর্চা করলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। তিনি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাবার আহবান জানান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ এনামুল হক হীরক, সহ-সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগ মাগুরা, শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মাগুরা সদর, মাগুরা, আব্দুল কাদের গনী মোহন, কাউন্সিলর ৬ নং ওয়ার্ড, মাগুরা পৌরসভা, মোঃ আব্দুর রহিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাগুরা সদর
মোঃ জাকিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক,পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাগুরা, মোঃ অলিয়ার রহমান, প্রধান শিক্ষক পারনান্দুয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সাহিত্যের আলো ছড়াচ্ছে বরিশাল থেকে প্রকাশিত অবেলার ডাক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image
বরিশাল প্রতিনিধিঃঅবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন গত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ম্যাগাজিনটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাহিত্য প্রেমীদের কাছে হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। দেশের অসংখ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে অবেলার ডাক ম্যাগাজিনের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ম্যাগাজিনের ৫ম সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ রিসালাত মীরবহর এর কাছে ম্যাগাজিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিজ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাংলা সাহিত্য কে আরও বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশনা ও সম্পাদনার কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও জানান, এতো অল্প সময়ে এতো বেশি লেখকের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে সত্যিই তিনি অনেক কৃতজ্ঞ। এছাড়া তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাগাজিন প্রাকাশনা ও সম্পাদনার কাজটি ছিল আমার জন্য অনেক বেশি কঠিন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য লেখক এই সময়ে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অবেলার ডাক ম্যাগাজিন প্রকাশের বিষয়ে ব্যপক অবদান রাখেন। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে সম্পাদক রিসালাত মীরবহর বলেন, সত্যিই আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ এসব গুণী লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের নিকট। ম্যাগাজিনের প্রসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনে নতুন লেখকের সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এর পাশাপাশি নিয়মিত লেখক সংখ্যাও পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যারা প্রতি সংখ্যায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও নতুনত্ব নিয়ে সবাইকে সাথে করে পথ চলতে চায় সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন অবেলার ডাক। এজন্য সকল লেখক ও কবিদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ১ কাপ চায়ের দাম ৫শত টাকা- লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) রেজাউল করিমের ২২ সেপ্টেম্বরের পর আবারও উৎকোচ গ্রহনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

জানা গেছে, গত রবিবার ঐ ভুমি অফিসে এক ব্যাক্তি ১০টাকা খাজনা দিতে যায়। এতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নেন সংশ্লিষ্ঠ্য ভূমি কর্মকর্তা। টাকা লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অথচ ভূমি অফিসের দেওয়ালে লেখা রয়েছে আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত। যেখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, টাকা না হলে খারিজ হবে না,বাধ্য হয়ে আমি সোমবার খারিজ বাবদ ৮হাজার টাকা দিয়েছি সংশ্লিষ্ঠ্য তহসিলদারকে। 

এছাড়াও ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঐ কর্মকর্তার নামে টাকা লেনদেনের আরএকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রবিবার (২১ এপ্রিল) ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ শত টাকা নিয়ে খাজনা রশিদ দিয়েছে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম। অথচ দেশের সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিস কে ক্যাশলেস অফিস ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঐ ভ‚মি কর্মকর্তা ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভুমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। বিষয়টি তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা ১৪-০৮-২২ সালে ৪৯৫ নম্বর স্বারকে ভুমি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাব এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানাযায়,তাঁর কর্মকালীন সময়ে তিনি কমপক্ষে ১০০.০০ (একশত) একর এর অধিক সরকারি সম্পত্তিকে ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি দেখিয়ে সেগুলির নামজারির প্রস্তাব প্রদান, ভুমি উন্নয়ন কর গ্রহন, অথবা হোল্ডিং অনুমোদন এর মাধ্যমে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। অনুমোদিত খারিজ কেসসমুহ এবং তাঁর মাধ্যমে ইস্যুকৃত খাজনার দাখিলা ও অনুমোদিত হোল্ডিংগুলি যাচাই করলে এর সঠিক পরিমান জানা যাবে।

এলাকার কিছু ভুমি জালিয়াত চক্র উক্ত খাজনা-খারিজের কাগজ দেখিয়ে চলমান আর এস জরিপে সে সকল সরকারি সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ২৭-০৩-২০১৯ সাল হতে দীর্ঘ ৫বছর একই অফিসে কর্মরত থাকার দাপটে তিনি কাউকে কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ধর্মগড় ইউনিয়নের বেংপোখর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল বলেন,আমি একটা খারিজ বাবদ অনেক দিন ধরে ঘুরতেছি, আজ নয় কাল এই ভাবে দিন ক্ষেপন করতেছে। এইটা কাগজ লাগবে ঐটা লাগবে,বলে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে শেষে মোটা অংকের টাকা চেয়েছে আমার কাছে টাকা না দিলে খারিজ হবে না মর্মে জানিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম গত সোমবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১০ টাকা খাজনা বড় বিষয় নয় তিনি আমাকে ৫শ টাকা চা খেতে দিয়েছেন। ক্যাশল্যান্ড অফিসে টাকা লেনদেন বিষয়ে তিনি বলেন, জমি মালিকদের বিকাশ নাম্বার থাকেনা তাই তারা আমাকে টাকা দেয় আমি ক্যাশ প্রেমেন্ট করে থাকি। ২২ সালে টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,তখন অফিসে হাতে হাতে টাকা লেনদেন হতো তাই সে ভিডিওটি কেবা কাহারা করেছে। ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও তহসিলদারা নিয়েছে আমিও নিয়েছিলাম এবং এসিল্যান্ড স্যার আমাকে শাস্তি সোরুপ শোকজ নোটিশ প্রদান করেছিলেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার ভূমি রাকিবুল হাসান বলেন, ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



মেহেরপুরে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রতিটি পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে গবাদিপশু পালনের কোন বিকল্প নেই। কারণ বিপদের সময় তাদের লালন করা পশুগুলোই কাজে লাগে। তাই গবাদি পশুপালনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে জেলায় প্রশিক্ষণসহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সরকার। রয়েছে কর্মসংস্থান ব্যাংক, যুব উন্নয়ন অধিদিপ্তর, মহিলা সংস্থা ও সমাবসেবা অফিস থেকে মানুষ এখন স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারছেন।

আজ বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর চত্ত্বরে আয়োজিত প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে দিনব্যাপী গবাদিপশু মেলায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বক্তব্য রাখেন তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, জেলায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ টাকা করে ঋণে একটি করে গরু প্রদান করা হচ্ছে। এখন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। তাই প্রতিটি মানুষ সরকারের এসব সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। সরকারের এসব সূযোগ সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে চাকুরী থেকে অবসর অথবা আর কোন বেকারের কর্মসংস্থানের অভাব হবেনা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস.এম নাজমুল হক, ভারপ্রাপ্ত জেলা পাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারিছুল আবিদ।

অনুষ্ঠানে ৫২জন সফল খামারী অংশ গ্রহণ করেন। পরে ২৬ জন খামারীকে পুরষ্কৃত করা হয়। এর মধ্যে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত হন ৮জন খামারী।অপরদিকে, ্য়ঁড়ঃ;প্রাণীসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ ্য়ঁড়ঃ; এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরের

গাংনীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারী হাসপাতালের চত্বরে উপজেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারী হাসপাতাল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন মেহেরপুর- ২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ এএসএম নাজমুল হক সাগর।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।

মেলায় ৪৪ টি সফল খামারী অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথিসহ অতিথিবর্গ বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও খামারীদের সাথে কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৬ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ খামারীদের মধ্যে পুরস্কার ক্রেস্ট ও চেক বিতরণ করা হয়।একইভাবে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী করা হয়।


আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর