Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাগুরার মহম্মদপুরে ক্ষরায় পুড়ছে ক্ষেতের বাদাম ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৮৮জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান: মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীর  বুকে জেগে ওঠা বালুচর গুলোতে প্রতিবারের মত এবারও বাদামের প্রচুর আবাদ হয়েছে। তবে খরতাপে পুড়ে যাচ্ছে বাদামগাছ। নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা চরের জমির বাদাম। এতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

এদিকে খরার কারণে বাদাম উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। মধুমতি নদীর রায়পুর ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর চরের মধ্যে শতাধিক বিঘা জমিতে চিনাবাদাম রোপণ করা হয়েছে। সেই বাদামের জমির অধিকাংশ বাদাম গাছ রোদে পুড়ে শুকিয়ে গেছে। ফলে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাদাম।

রায়পুর গ্রামের কৃষক আসাদ মোল্লা জানান, গত বছর তিনি এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেন। ভালো ফলন হওয়ায় এবার করেছেন দুই একর জমিতে। কিন্তু বৃষ্টি না আসায় প্রায় খেতের অধিকাংশ বাদামগাছ রোদে পুড়ে গেছে। লাভের পরিবর্তে এবার লোকসান গুনতে হবে।

হরিণাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সোবাহান মিয়া জানান, তাঁরা দুই ভাই মিলে ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে খেত শুকিয়ে বাদাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন, খরার কারণে বাদামগাছ শুকিয়ে  যাচ্ছে। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। বৃষ্টির পানির বিকল্প নেই।বৃষ্টি না হওয়ায় সৃষ্ঠ খরার কারণে এবার ফলন কম হতে পারে।


আরও খবর



মধুপুরে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা- চোর গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের চাড়ালজানী এলাকায় ২ মে  রাত্রি আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে  নরেশ প্রসাদ এর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে তার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকারকে হত্যার চেষ্টা করে ১ভরি ৪আনা ওজনের গলার চেইন নিয়ে যায় অভি চক্রবর্তি নামের এক মাদক সেবি। নরেশ প্রসাদ জানান,আমি চাকুরির সুবাদে ঢাকা থাকায় আমার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকার বাড়িতে একাই বসবাস করেন।

অভি চক্রবর্তী চুরি করার উদ্দেশ্যে আমার বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে আমার স্ত্রী অভি চক্রবর্তীকে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করলে অভির হাতে থাকা চেলাই রেঞ্জ দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় বাড়ি মারিয়া মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সাথে সাথে আমার স্ত্রী বিছানায় লুটিয়ে পরলে চোর  অভি চক্রবর্তী আমার স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী নিজে কে বাঁচানোর জন্য আসামি অভির ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে কামড় দিলে সে  আমার স্ত্রী কে ছেড়ে দিয়ে তার গলায় পরিহিত ১ভরি ৪আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে  যায়। 

আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসে পরবর্তীতে আমার ভাতিজা শুভ চৌহান সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে  স্হানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।এব্যাপারে মধুপুর থানায় ৩ মে একটি মামলা  হয়েছে। মামলার পরপরই মধুপুর থানা পুলিশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বাড়ি ফেরা হলো না জাহিদের সড়কেই গেল প্রাণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃবাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জাহিদের।সড়কেই গেল প্রাণ। দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৫২) নামের একজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) রাত ৯ টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের কলাবাগানস্থ মোড় এলাকায় এ দূঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৫২)বিরামপুর  উপজেলার ৭ নং পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাঠকপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানান, নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রতিদিনের ন্যায় বিরামপুর বাজার থেকে বাইসাইকেল যোগে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর বাইসাইকেলে সজোর ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।  মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার তাহাজুল ইসলাম।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠায়। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পালিয়ে যাওয়া পিকআপ ভ্যানটি আটকের চেষ্টা চলছে। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় নিহত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে।টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে। তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন। ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

মূলত গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘের প্রথম কোনও বিদেশি কর্মীকে হত্যা করেছে। রাফাতে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত জাতিসংঘের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর



ফকিরহাটে বোর ধানের বাম্পার ফলন কৃষক ঘরে তুলছে সোনালী ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলতি বোর মৌশুমে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষে করে বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি চাষি। অতিমাত্রায় দাবদাহ উপক্ষা করে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। দৈনিক ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছে কৃষাণ। শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে কৃষককে সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌশুমে ৮হাজার ৪শ’৭১হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি প্রায় ৭টন ধান উৎপাদন হয়েছে। ইতমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

অঞ্জন ব্যানার্জী, ফিরুজা বেগম, রাজ্জাক শেখসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৈরি আবহাওয়ায় হিটইনজুরিসহ ব্লাষ্ট, মাজরা ও কারেন্ট পোঁকার আক্রমন প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। সময় মত ব্যবস্থা নেওয়ায় ধানে চিটা হয়েছে অনেক কম তাই ফলন হয়েছে অনেক ভালো।

বেতাগার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রদিপ জানান, শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ভাগ জমির ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় আমাদের পরার্মশ্য ও কৃষকের প্ররিশ্রম সার্থক হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান ঘরে তুলতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পৃথক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের সকল ধান কাটা হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর