Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ৯৯২ পিস ইয়াবা, চার কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও ৯০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২১টি মামলা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসঙ্গেথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-বাস্তবায়ন করেছে। নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image
ইউসুফ আলী প্রধানঃ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার উত্তর নোয়াদ্দা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মঞ্জুর মুর্শেদ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ফয়সাল কবীর। 

সভায় মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা বিষয়ক গুরুত্ব ও মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সমাজে সাধারণত মৃত্যু এবং মৃত্যু যন্ত্রণা সম্পর্কে কথা বলা অস্বস্তিকর একটি বিষয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে পরিবার, কমিউনিটির মানুষ, এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা, এবং মৃত্যু পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা আমাদের মৃত্যু বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে সকলের অংশগ্রহণ দরকার। মৃত্যু সম্পর্কে ভাবা বা কথা বলা অনেকক্ষেত্রে ভীতিকর মনে হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। অবশ্য ভালো বা খারাপ মৃত্যু নিয়ে ধারণা ব্যক্তিভেদে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা কমিউনিটির মানুষ হিসেবে একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগী বা মৃত্যু পথযাত্রী যেকোন মানুষের জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। তাই আমাদের সকলের উচিত, তাদের পাশে থাকা এবং তাদের এই কঠিন সময়ে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’

সভার সভাপতি হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের আগে আমি মৃত্যু নিয়ে এমন ধরণের সভার আয়োজন দেখিনি। এটি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। আমার কাছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে কাজ করাকে সমাজসেবামূলক কাজ মনে করি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এসব বিষয় নিয়ে অবগত না থাকলেও, উন্নত দেশে শিশু ও বয়স্করা প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে অনেক সচেতন।’

সভার সঞ্চালক মঞ্জুর মুর্শেদ বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে একাধিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে মনে হয়ে এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা প্রয়োজন। আজকের সভায় সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যু বিষয়ে আপনারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কথা বলেছেন, নিজেদের ভাবনাগুলো ব্যক্ত করেছেন, সেটা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মনে করি, আমরা যদি সমাজে মৃত্যু নিয়ে এভাবে খোলামেলা নিজেদের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে পারি, তাহলে এ নিয়ে আমাদের ভয়-ভীতিগুলো দূর হয়ে যাবে, সেই সাথে অন্য অসহায় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারবো।    

প্রধান অতিথি মো. ফয়সাল কবীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজ সেবা বিভাগ নিরাময় অযোগ্য রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। আপনারা মমতাময় প্রকল্পের অধীনে যারা সেচ্ছাসেবক আছেন, তারা দুঃস্থ মানুষদেরকে সমাজ সেবা বিভাগের সেবা পেতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব স্বেচ্ছাসেবকসহবৃন্দ। সভায় আয়াত এডুকেশনে পক্ষ থেকে এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



জলঢাকায় সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

(নিলফামারী) জলঢাকা, প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় সাংবাদিকদের সন্মানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃস্হপতিবার বিকেলে পৌর সভার পেট্রোল পাম্পে  বিসমিল্লাহ হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন সংগঠনটি।এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিতব্য মতবিনিময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফি, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোকলেছুর রহমান, পৌরসভার উপ নির্বাচনে মেয়র পদপ্রাথী প্রভাষক ছাদের হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজাহিদ মাসুম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোয়াম্মার আল হাসান, নায়বে আমীর কামরুজ্জামান, পৌর আমীর মকবুল হোসেন, আইন ও মানবাধিকার সেক্রেটারি ওমর ফারুক ও এ‍্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম প্রমূখ।

এসময় জামায়াত নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পৌরসভার উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছি।আপনারা সমাজের দর্পণ ও জাতির বিবেক, আশা করি ভালমন্দ যাচাই বাচাই করে সঠিক তথ্যগুলোই আপনারা তুলে ধরবেন এটাই আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা। এসময় উপজেলাটিতে কর্মরত বিভিন্ন  প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



পোরশায় একটি “মিনি পুকুর” বদলে দিয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকের ভাগ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শিক্ষিত বেকার যুবকের নাম নাইমুল ইসলাম নাঈম, তিনি এইচএসসি পাস করে নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু গত করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েন। বাড়িতে বেকার বসে থাকা এবং পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয় বাপ-দাদার পেশা কৃষি কাজে। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় তিনি আম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর তার গ্রামের পাশের মাঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ১২বছরের জন্য সোয়া ২বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরি করেন আম্ব্রপালী জাতের আম বাগান। আর সেই বাগানের মধ্যে থাকা ছোট গর্তকে একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃখনন করে তৈরি করেন একটি মিনি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করে, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে শিক্ষিত এই বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু করেছে।

নাইমুল ইসলাম নাঈম নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ছাওড় দক্ষিনপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে, তার এই বাগানটি ছাওড়ের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

তরুণ চাষি নাইমুল ইসলাম নাঈম জানান, জমিতে আম বাগান তৈরি করার পরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তীব্র খরা প্রবন এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে তার আম বাগানের গাছ মরতে শুরু করে। বাগানটি রাস্তার সাথে হওয়ায় মরা গাছগুলি ঐ এলাকায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংস্থার পক্ষ হতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে আনুমানিক ১শতাংশ জমির উপর একটি মিনি পুকুর তৈরি করা হয়। এই মিনি পুকুর মূলত আকাশের বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজন ও পরিমাণমতো গাছে পানি সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐ পুকুর থেকে বাগানের গাছ বাঁচিয়েও সিসিডিবি’র সহযোগিতায় পুকুর পাড়ে বেগুন, লাউ, টমেটো, সিম, করলা, পটল, গাজরসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ করেন নাঈম। এর পরেও ঐ মিনি পুকুরে পানি অবশিষ্ট থাকায় সিসিডিবি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আম বাগানের সাথি ফসল হিসাবে তিনি চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া। বিনামূল্যে উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠাঁলো ফাঁদ, ২/৩জি কাটিং পদ্ধত্তি, কেঁচো সারের ব্যবহার, মালচিং ইত্যাদি জৈব পদ্ধত্তি চর্চা করার জন্য সহায়তা করে আসছে সিসিডিবি।

চাষি নাঈম আরও জানান, আম বাগান বাদে শুধু মিষ্টি কুমড়া পরিচর্যায় এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০হাজার টাকা। বাগানে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রয়েছে ৮৫০টি, প্রতি গাছে ফল রয়েছে ৩-৪টি, তবে গাছে পর্যায়ক্রমে ফল ধরা চলমান রয়েছে। বর্তমান স্থানীয় বাজারে এই ফল বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ৫০-৬০ টাকা প্রতিটি। শুধু মিষ্টি কুমড়া বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি তার পুকুরপাড় থেকে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এর সবগুলো ঐ মিনি পুকুরের সংরক্ষিত বৃষ্টির পানির কারণে সম্ভপর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজের জন্য ঐ বাগান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। পানির অভাবে বাগানের গাছগুলো মরে যাচ্ছে দেখে আমাদের প্রকল্প থেকে উক্ত উপকারভোগী সদস্যকে “জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রসারের জন্য” ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তীব্র খরা প্রবণ এলাকা হওয়ায় খরা মৌসুমে এই এলাকার অনেক পুকুরই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা ঐ মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ত্রিপল বিছিয়ে দিয়েছি, এখানে পানিতে কচুরিপানা এবং তালপাতা রাখা হয়েছে যাতে পানি কম বাষ্প হয় এবং বেশি দিন পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, তীব্র খরা প্রবণ এই এলাকার বিভিন্ন জমিতে বিশেষ করে নতুন ফল বাগানগুলোতে এমন মিনি পুকুর খনন করলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশ অবদান রাখা যাবে। একই সাথে বৃষ্টির পানি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা আম চাষি কৃষকদের আম বাগানে সাথি ফসল হিসাবে এই জাতীয় শাকসবজি ও মসলার মধ্যে পেঁয়াজ রসুন চাষ করতে বলছি। এতে আম গাছের পরিচর্যায় যে খরচ হবে তা এখান থেকেই উঠে আসবে। সিসিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন মিনি পুকুর এই এলাকার বাগানগুলোতে তৈরি করতে পারলে জমিতে সেচের পানির সংকট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 


আরও খবর



সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বুধবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি সৌদি আরবে। এ কারণে দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বুধবার। মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুই মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাতে দেওয়া এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

সৌদিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ার অর্থ, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী পরশুদিন বুধবার। সেই হিসেবে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ঈদ হবে তার পরের দিন বৃহস্পতিবার।


আরও খবর