Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মাদক মামলায় জয়পুরহাটে নারীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৩০জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম ,জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে মাদক মামলায় মঞ্জুয়ারা বেগম (৪৮) নামে এক নারীর  যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ বিচারক আব্বাছ উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মঞ্জুয়ারা বেগম দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ডিওর  গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বিকাল সড়ে ৪টায় জয়পুরহাট  সদর উপজেলার বনখুর এলাকায় ইজি বাইকে তল্লাশী  চালায় জয়পুরহাট মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ- পরিদর্শক  মুনছুর রহমান। এ সময় ওই ইজিবাইকে থাকা মুঞ্জুয়ারা নামক এক নারীর হাত ব্যাগের ভিতর  থেকে ৩৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর । দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্বাছ উদ্দিন মঞ্জুয়ারা বেগমের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, অ্যাডভোকেট উদয় কুমার সিং। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রায়হান নবী ।



আরও খবর



বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন: জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস ৫৩ বছর আগের এই দিনে মধ্যরাতে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।

ওই পোস্টে তিনি লিখেন, বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেস বার্তায় বলেছিলেন, এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় পোস্টে আরও লিখেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন এবং মাত্র ৯ মাসেই বিজয় অর্জন করেছিলেন। আজ স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু এবং সব মুক্তিযোদ্ধাকে। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।


আরও খবর



যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর



ইফতার পার্টি না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুরোধ জানিয়েছেন,রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।

বুধবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এর আগে, সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে আট বিভাগে কৃষিপণ্যের জন্য আধুনিক সংরক্ষণাগার নির্মাণ করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ একটা আবেদন জানিয়েছেন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ইফতার পার্টি না করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা আগ্রহী বা যাদের সাধ্য আছে তারা যেন সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ইফতার পার্টির যে টাকা সেটি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, ‘আরও দু’টি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমবায় নিয়ে একটি স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নের আলোকে যাতে কৃষি ভিত্তিক সমবায় গড়ে তোলা যায়, সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পল্লি উন্নয়ন বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, আট বিভাগে পর্যায়ক্রমে কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে আমাদের বিভিন্ন কৃষিপণ্য অফ সিজনে দাম বেড়ে যায় বা সংরক্ষণের সুযোগ আমাদের কম থাকে, এজন্য খুব আধুনিকতম সংরক্ষণাগার তৈরির করতে বলেছেন তিনি। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বার থাকবে। যে পণ্যের জন্য যে ধরণের তাপমাত্রা মেইনটেন করতে হবে, সেটি মেইনটেন করে যাতে দীর্ঘ মেয়াদে এই পণ্যগুলো রেখে বাজারের এর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায় সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এগুলো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ফলোআপ করবো।’ রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে কোন মন্ত্রণালয় কী করছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তিন মন্ত্রণালয় কী কী করেছে তা জানিয়েছে। যেমন-মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাছ ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে বাজার মনিটিং কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি ঢাকা শহরে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জায়গায় মিলগেটে যে রেট সেই রেটে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করবে। মাঝখানে অনেক হাত হয়, সেজন্য মিলগেটে নিজ উদ্যোগে তেল, ডাল, চিনি বিক্রি শুরু করেছে এবং এটির পয়েন্ট আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ১৫ জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:সেবার ব্রতে চাকরি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে মেধা ও শারীরিকভাবে ফিটনেস যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো প্রকার তদবির কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া, চাকরি পেলেন ২ জন নারীসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী।মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের  ফুল দিয়ে বরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।

বুধবার (১৩ মার্চ)  বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে সম্পূর্ণভাবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল” পদে নিয়োগ পরীক্ষায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬৬ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন । লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪৯ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।মৌখিক পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন ৪৫ জন এবং নারী ছিলেন ৪ জন। তাদের মধ্যে থেকে ১৫জন উত্তীর্ণ হয়।

এ সময় বিনা টাকায় পুলিশের চাকুরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী ও অভিভাকরা খুশিতে আবেক-আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। তারা তখনো বিশ্বাস করতে পারছেনা টাকা ছাড়াই পুলিশে চাকুরি পেয়েছে। অশ্রুসিক্ত নয়নে অনেকের কান্না উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

চাকরি প্রার্থী পলি চাকমা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়ে খুশিতে আমি আত্মহারা। আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমাদের সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। বাবা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন। আমি ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। আমাকে ১২০ টাকায় চাকরি দেওয়ার জন্য মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই।

চাকরি প্রার্থী রেখা আক্তার বলেন, আমার বাবা একজন স্বল্প আয়ের শ্রমিক। আমার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল শয্যাশায়ী। আমার পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনক্ষম। ছোট থেকেই আমার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আগের বছর ভাইবা দিয়েছি কিন্তু চাকরি হয় নাই। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমি না পেলে বুঝতেই পারতাম না। ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।

এসময় পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) বলেন, “শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়।”পুলিশ সুপার আরও বলেন, সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।” পরে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর নির্বাচিত প্রার্থীদের অভিব্যক্তি শুনতে চান। এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্বাচিত কয়েকজন আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। তখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।

এ সময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)  মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবিহ পড়ার আহ্বান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দেশের সব মসজিদে আসন্ন রমজান মাসে খতম তারাবিহ পড়ার সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতি নিরসন করার জন্য রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এই নিয়মে খতম তারাবি পড়তে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শাবান মাস ২৯ দিনে হলে আগামী সোমবার (১১ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোররাতে সেহরি খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গলবার দেশে প্রথম রমজান হবে।

তবে শাবান মাস ৩০ দিনে হলে আগামী মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বুধবার (১৩ মার্চ) ভোররাতে সেহরি খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশে আগামী বুধবার প্রথম রমজান হবে।


আরও খবর