Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

লটারির টাকা হাতে পেয়েও হারিয়ে ফেললো ফিকরি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৩০জন দেখেছেন

Image

দীপ্ত টিভিতে বাংলায় ডাবিংকৃত তুরস্কের জনপ্রিয় ধারাবাহিকআমাদের গল্প

প্রচারিত হবে প্রতিদিন বিকাল ৫টা ৫৫মিনিটে রাত ৯টায় এবং আরো দেখা যাবে দীপ্ত প্লে দীপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে

 (এই সপ্তাহের কাহিনী সংক্ষেপ)

 টাকাই স্বপ্ন, টাকাই নেশা, টাকাই যেন ফিকরি এলিবোলের একমাত্র বন্ধু তার কাছে টাকা ছাড়া আর কেউই আপন নয় পরিবার,পরিজন, সন্তান, সব কিছুই মূল্যহীন টাকার কাছে কিন্তু সেই টাকাই যেন ধরা দিতে চায় না বার বার হাতের নাগলে এসেও ফাঁকি দিয়ে চলে যায় অন্য কারো হাতে এবার আর অন্যের হাতে না নিজের ভুলেই আগুনে ফেলে দিলো লটারি থেকে পাওয়া কোটি টাকা ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে লুকাতে গিয়ে নিজের চোখের সামনেই আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেলো ফিকরির টাকার পুটলি গুলো লটারি পেয়ে হঠাৎই বড়লোক হওয়া এলিবোল পরিবার আবারও সেই আগের অবস্থানে ফিরে গেলো এদিকে তুফানের জীবনেও শুরু হয়েছে মহা বিপর্যয় কুচক্রী ফেরদার চক্রান্তে পা দিয়ে নিজের প্রাণপ্রিয় স্ত্রী তুলায়কে হারাতে বসেছে তুফান ভাঙ্গতে বসেছে তুলায় আর তুফানের ভালোবাসার ঘর যে স্ত্রীর জন্য হাসিমুখে জীবন দিয়ে দিতো তুফান, আজ সেই স্ত্রীই ডিভোর্স চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে তুফানের কাছে তাদের সাজানো গোছানো বাড়িটাও বিক্রির নোটিশ পাঠিয়েছে তুলায় তাহলে কী হয়েছে তুফান আর তুলায়ের মধ্যে? কেন তুফানকে  ছেড়ে যেতে চায় তুলায় ? ওদের মধ্যকার সমস্যার কী কোন সমাধান করতে পারবে ফিলিযরা ? নাকি সত্যি ভেঙ্গে যাবে তুফান আর তুলায়ে সম্পর্ক ? দেখতে চোখ রাখুন দীপ্ত টিভির পর্দায়  

 

চরিত্র কন্ঠাভিনেতার তালিকাফিলিয (জয়শ্রী মজুমদার লতা), বারিশ (শফিকুল ইসলাম), ফিকরি (রফিকুল সেলিম), তুলায় (নাহিদ আখতার ইমু), তুফান (মরু ভাস্কর), রাহমেত (খায়রুল আলম হিমু), হিকমেত (এন কে মাসুক), কিরায (নাদিয়া ইকবাল ইকরা), ফিকরেত (মেরিনা আফরোজ শিপু), ইসমেত (আনিরা মিশেল রিভা), চিচেক (রুবাইয়া মতিন গীতি), জেমিল (সজিব রায়) অন্যান্য 

 


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রেদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। এসময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



৭ মার্চের ভাষণ বাঙালিকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখন শুধু আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালিকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে।বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দুজন প্রতিনিধিও ছিলেন। এখন আমিই একমাত্র সেই ঘটনার জীবিত সাক্ষী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি সেদিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুধু ক্ষমতার জন্য আমার বাবাকে হত্যা করেনি, আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করে ঘাতকরা। এত রক্ত নিয়ে বাংলাদেশকে এক কদমও এগিয়ে নিতে পারেনি তারা। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। তাই ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। বিশ্বে স্বাধীনতার জন্য এ যাবৎ যারা ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ মার্চের ভাষণ। আর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালিকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেনি বিজয়ও এনে দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ এটা বিশ্ব ঐতিহ্য।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে,১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি। পরে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন আকাশে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। আর সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তিনি তার ভাষণের শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’

এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার একটি লেখায় বলেছেন, ‘সাত মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ‘আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ তার একটি লেখায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করব, তারা আমাকে নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে।

তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া এদিন বিকেল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। :বাসস


আরও খবর



কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অভিযানে ছয় প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

জালাল উদ্দীন দৌলতপুর,কুষ্টিয়া :কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি এক বিশেষ অভিযানে চাকরির ভুয়া যোগদানপত্র প্রদান ও ভুয়া এন্টিক, পয়সা-পিলারসহ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার মডেল থানাধীন সার্কিট হাউজের পাশে তিন রাস্তার মোড় নামক এলাকাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার

এক বিশেষ অভিযানিক দল। অভিযুক্তরা জোর পূর্বক জমি দখল, নিজেদের বিভিন্ন ডিফেন্স বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও ভুয়া যোগদানপত্র পাঠিয়ে এবং পুলিশ সদস্য পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জালিয়াতি করে হাতিয়ে নিতেন। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও স্বীকার করেন যে; তারা আদিম যুগের পুরাতন পয়সা, ভুয়া এন্টিক পিলার ও তক্ষক(সাপ) বিষয়ে প্রতারনা করতেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলাসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকাতে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ১.কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী দাঁড়ের পাড়া গ্রামের মৃত হাসেম উদ্দীনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য উল্লেখ্য প্রতারনা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাশিদুল ইসলাম মিলন (৩৩)। ২.দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ বড় মসজিদ পাড়া এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম মামুন ৩.দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ফারাকপুর গ্রামের আনোয়ারুল হক মুকুলের ছেলে মাহমুদুল হাসান শিশির (৩২)। ৪.দৌলতপুর দাড়ের পাড়া এলাকার মৃত আমানুল্লার ছেলে সোহেল রানা (৪০)। ৫.কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামের জগত আলী মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫২)। ৬.ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না উত্তরপাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে জামাল উদ্দিন (৩২)।

জানা গেছে, প্রতারিত লোকজন টাকা দেওয়ার পর চাকরিতে নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা না দিয়ে নানান টালবাহানা করে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো। এই চক্রের হোতা রাশিদুল ইসলাম মিলন বিভিন্ন ব্যাক্তিকে সাজিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরিয়ে কথিত উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বানিয়ে ভাইভা নিতেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, জালিয়াতির ও প্রতারনা করার কাজে ব্যবহৃত পয়সা সহ অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে জানায় অভিযানিক দল।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় প্রতারনার মামলা রুজু হয়েছে। এবিষয়ে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম জানান, আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার স্যার এর নির্দেশনা ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জন আসামিকে ধৃত করা হয়েছে। অপরাধী প্রতারক চক্র যত বড় বা যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রতারক চক্র যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেনো এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে।


আরও খবর



দুর্যোগ সহনশীল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখুন: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এ দেশের মানুষ প্রতিবছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে প্রাণহানিসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে বন্যা, নদীভাঙন কবলিত ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষ ও তাদের সহায়-সম্পদ রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণের নির্দেশনা দেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপির যাত্রা শুরু করেছিলেন, যারা আগাম সতর্কতা সংকেত প্রচার, সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা বর্তমানে ৭৭ হাজার ২৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। যাদের ৫০ ভাগ নারী সদস্য, যা বিশেষভাবে প্রশংসনীয় বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, কার্যকর নীতি ও সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ মানবসম্পদে সমৃদ্ধ। সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে মানবতার সেবায় বলীয়ান প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও অনুসরণীয়।

তিনি বলেন, সরকার দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলির মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ-পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সবার দায়িত্ব সম্বলিত স্বয়ংক্রিয় নির্দেশনা প্রদান করেছে, যা জরুরি সাড়াদানসহ পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়া জাতীয় পর্যায় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সাড়াদান কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বাস করেন, গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অপার সম্ভাবনাময় এ দেশ অচিরেই বিশ্বের দরবারে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হবে।


আরও খবর