Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদে এবার ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৩৩জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীতে সোনালী ধানে ছেয়ে গেছে চারিদিক। মাঠের পর মাঠ শুধুই ধান আর ধান। জেলার ছয় উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। সেই সঙ্গে ফলন হয়েছে বাম্পার। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭১০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০

মেট্রিক টন। তবে বেশি জমি আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত জমির মধ্যে সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর, সৈয়দপুরে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর, ডোমারে ১৩ হাজার ২১৫ হেক্টর, ডিমলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর, জলঢাকায় ১৪ হাজার ৬৬৮ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর বোরোর আবাদ হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, এবার বোরো মৌসুমে সরকার কতৃক প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা । সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য হয় এক হাজার ২০০ টাকা। এদিকে, সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের বোরো চাষি আশরাফ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক (দুই বিঘা পাঁচ শতাংশ) জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ৫৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। বীজতলা, জমি চাষ, রোপণ, স্যার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ হাজার ৩১২ টাকা।

জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন ৪১ মণ। প্রতিমন এক হাজার ২০০ টাকা হিসাবে মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক আইয়ব আলী বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ফলন হতো। লাভের পরিমাণটা আরও বাড়তো। সরকার বাজার দর এ রকম দিলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করবো।’ সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ‘এবার বোরোর তাক লাগানো ফলন হয়েছে। তিন বিঘায় আমার খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছি ৫৪ মন। প্রতিমন এক হাজার ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে টাকা পেয়েছি ৭০ হাজার ২০০ টাকা। এতে আমার লাভ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, বাজার দর এরকম থাকলে আগামীতে বোরোর আবাদ বাড়াবো। শুধু আশরাফ আলী, আইয়ব আলী, আবু কালাম নন বোরোর বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি জেলার কৃষকরা।’

জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালারপুকুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সেচের সুবিধা পেয়ে চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ইরি আবাদে কিছু ধারদেনা করেছি। তাই কাঁচা ধান বিক্রি করে (সরকারী রেট) খুব একটা লাভ করতে পারিনি। অর্ধেকেরও বেশী জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। বাকি ধান তিন চারদিনের মধ্যে কেটে ঘরে তুলা যাবে। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, ‘এবার সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেড়ে যাওয়ায় আবাদ বেশী হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজার দর অনুকুলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমি বেশী আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। এখন পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আশা করছি, বাজারে ভাল দাম পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে রমজান উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যােগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১মার্চ)দুপুরের দিকে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ী, পরিবহণ সেক্টর, ইমাম, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে  আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময়  সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)

সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান কালে  তিনি বলেন, পবিত্র মায়ে রমজানে বাজারের

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল, স্বাভাবিক,ও সড়কে যানজট, ফুটপাত দখল, গুজব ও অপপ্রচার রোধে,বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান। 

তিনি আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি করছে জেলা পুলিশ। সাধারণ জনগণ যাতে  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নির্বিঘ্নে কেনা-কাটা করতে পারে এবং চুরি, ছিনতাইয়ের শিকার না হয় তারাবির নামাজ আদায় নির্বিঘ্নে করতে পারে সেজন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মুক্তার ধর অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনারোধে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ গ্রহণ ও ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে

পুলিশ সুপার মুক্তার ধর বলেন, অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনারোধে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ গ্রহণ ও ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।এছাড়া বিভিন্ন সংকট, সমস্যার মধ্য দিয়েও যেন  খাগড়াছড়িকে সুন্দর রাখা যায় সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

পুলিশ সুপার মুক্তার ধর অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনারোধে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ গ্রহণ ও ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া রমজানকে ঘিরে ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য তাগাদা দেন। এছাড়া বিভিন্ন সংকট, সমস্যার মধ্য দিয়েও যেন  খাগড়াছড়িকে সুন্দর ও পরিপাটি রাখতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.তফিকুল আলম,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু জাফর সালেহ্,খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের (ডিআই-১) মো.আনোয়ারুল হোসেন, খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো.তানভীর হাসান, খাগড়াছড়ি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দে, খাগড়াছড়ি প্রেস-ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া সহ সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যারা ৭ই মার্চ পালন করে না তাদের নিয়ে সন্দেহ আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যারা ৭ই মার্চ মানে না বা পালন করে না, তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ আছে,বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আজকে ৭ই মার্চকে অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে এটি হচ্ছে সন্দেহজনক। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ৭ই মার্চ ছাড়া হতে পারে না।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।


আরও খবর



গাংনীর পা হারানো আকলিমার জীবন সংগ্রাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃসড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর যন্ত্রনা ও মনো কষ্টে আল্লাহর কাছে মৃত্যুও কামনা করেছেন কলেজ ছাত্রি আকলিমা। একেতো নারী তার উপর আবার পঙ্গুত্ব। হাসপাতালের বিছানায় এক বছর অসহায় জিবন যাপন করেছেন তিনি। মৃত্যু কামনার পরও তার মৃত্যু হয়নি, বরং সাফলতা অর্জনের সাহসটুকু তিনি পেয়েছেন। গর্ভধারিনী মমতাময়ী মায়ের পরামর্শে আকলিমা পড়া লেখা চালিয়ে গেছেন। এখন তিনি একজন সুনামধন্য স্কুল শিক্ষক। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের হাজী জোয়াদ আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ মার্চ মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আকলিমা খাতুন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দুটি পা। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এক বছর তার চিকিৎসা করানো হলেও করিয়েও পা দুটি আর সচল করা যায়নি। কোমর থেকে নিচের অংশটি সম্পুর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তারমতো অসংখ্য মানুষকে দেখে আতœবিশ্বাস ফিরে পায়। আবার লেখাপড়া শুরু করে।

পঙ্গুত্ব বরন করার পর আকলিমা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে। জিবনের সব আশা ভরসা শেষ এই ভেবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের মৃত্যু কামনা করতেন আর অঝোরে কাঁদতেন। সেসময় তার পাশে কাউকে না পেলেও মমতাময়ী মা তাকে ছেড়ে যান নি। সব সময় আশা যুগিয়েছেন। মায়ের পরামর্শে আকলিমা আবারো পড়ালেখা শুরু করেন। অদম্য এই মেধাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেন এবং কৃতকার্য হন। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। পায়ে হেটে আসার সামর্থ হারালেও এখন সব ধরনের চলাচল তার হুইল চেয়ারে।

আকলিমা জানান, তার জীবনের এই গল্পটা এতটা সহজ ছিলনা। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে এতদূর। জীবনের সেই দুঃসময়ে একমাত্র মা ছাড়া পরিবারের কেউ তেমন সহোযোগিতা করেনি। ভাইয়েরা বলেছিল অযথাই ওর পড়াশোনার পিছনে টাকা খরচ করে কি লাভ? প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দিলে সমাজে তারাও যে ভালো ভূমিকা রাখবে সেটা পরিবারের লোকজনকে বিশ^াস করানোটা ছিল এক রকম চ্যালেঞ্জ। এখন পাশে অনেকেই আছেন এবং পরিবারের লোকজনও তার পাশে রয়েছে বলেও জানান আকলিমা।

আকলিমার মা মমতাজ খাতুন জানান, আকলিমা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দ’ুটি পা অচল হলেও লেখা পড়া বন্ধ করতে দেয়া হয়নি। ছোট বেলা থেকেই সে মেধাবী। তার উপর ভরসা ছিল তাই নানা ধরনের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এখন সে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। সে তার সংসারের নিজের সব কাজ নিজেই করে, যেটি পারেনা তখন তাকে সাহায্য করা হয়। প্রতিটি বাবা-মার উচিত তার প্রতিবন্ধী, অক্ষম সন্তানকে বোঝা মনে না করে ভালো কিছু করার সুযোগ করে দেওয়া।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আকলিমা অন্যান্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা দেন। ভাল ভাবে পাঠদান করান। সময়মতো স্কুলে আসেন। তিনি খুব আন্তরিক মানুষ। কেউ স্কুলে না আসলে হুইল চেয়ারে করে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কখনও কারো সাথে অসদাচরণ করেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান ফৌজিয়ারা খাতুন জানান, আকলিমা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলেও আর পাঁচজনের মতোই তার কাজ নিজে করেন এবং প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেন। তিনি কোনদিন দেরি করে স্কুলে আসেন না। শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করে পড়ালেখা করান।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আকলিমা দৈহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও মানসিকভাবে অবিচল। সাধারণ মানুষের মতই সব কিছু করেন। শিক্ষাদান বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া সঠিক সময়ে পাঠ দানে তার যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। তাকে দেখে সমাজের আরও যারা এরকম সমস্যায় রয়েছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষকের হাতে ছাত্র গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকের হাতে মেডিকেলের ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।সোমবার (৪মার্চ) বিকেল ৩ ঘটিকার ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাশ চলাকালিন সময়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

কলেজ ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডা.রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে  অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার স্বত্তেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। আজ বিকেলে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩ টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক ৮ম ব্যাচের  ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। আত্মচিৎকারের খবর শুনে সবাই এগিয়ে আসলে  ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ও ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন তৈরী করা পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী বিচার দাবীতে আন্দোলন করছে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রয়েছেন।

আরও খবর



ডিসি সম্মেলন শুরু হলো

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন,বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ।

রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার পর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন শুরু হয়। সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এ সময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বিভাগীয় কমিশনাররা, জেলা প্রশাসকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন, যা সচরাচর ‘ডিসি সম্মেলন’ নামেই বহুল পরিচিত। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের লক্ষ্য ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিতেই এ সম্মেলন চলবে বুধবার (৬ মার্চ) পর্যন্ত।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্মেলনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনাসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করে থাকেন ডিসিরা। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন রয়েছে। স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং একটি সমাপনী অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে।

এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব এসেছে। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫টি।


আরও খবর