Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদে এবার ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীতে সোনালী ধানে ছেয়ে গেছে চারিদিক। মাঠের পর মাঠ শুধুই ধান আর ধান। জেলার ছয় উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। সেই সঙ্গে ফলন হয়েছে বাম্পার। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭১০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০

মেট্রিক টন। তবে বেশি জমি আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত জমির মধ্যে সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর, সৈয়দপুরে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর, ডোমারে ১৩ হাজার ২১৫ হেক্টর, ডিমলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর, জলঢাকায় ১৪ হাজার ৬৬৮ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর বোরোর আবাদ হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, এবার বোরো মৌসুমে সরকার কতৃক প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা । সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য হয় এক হাজার ২০০ টাকা। এদিকে, সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের বোরো চাষি আশরাফ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক (দুই বিঘা পাঁচ শতাংশ) জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ৫৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। বীজতলা, জমি চাষ, রোপণ, স্যার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ হাজার ৩১২ টাকা।

জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন ৪১ মণ। প্রতিমন এক হাজার ২০০ টাকা হিসাবে মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক আইয়ব আলী বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ফলন হতো। লাভের পরিমাণটা আরও বাড়তো। সরকার বাজার দর এ রকম দিলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করবো।’ সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ‘এবার বোরোর তাক লাগানো ফলন হয়েছে। তিন বিঘায় আমার খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছি ৫৪ মন। প্রতিমন এক হাজার ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে টাকা পেয়েছি ৭০ হাজার ২০০ টাকা। এতে আমার লাভ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, বাজার দর এরকম থাকলে আগামীতে বোরোর আবাদ বাড়াবো। শুধু আশরাফ আলী, আইয়ব আলী, আবু কালাম নন বোরোর বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি জেলার কৃষকরা।’

জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালারপুকুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সেচের সুবিধা পেয়ে চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ইরি আবাদে কিছু ধারদেনা করেছি। তাই কাঁচা ধান বিক্রি করে (সরকারী রেট) খুব একটা লাভ করতে পারিনি। অর্ধেকেরও বেশী জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। বাকি ধান তিন চারদিনের মধ্যে কেটে ঘরে তুলা যাবে। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, ‘এবার সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেড়ে যাওয়ায় আবাদ বেশী হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজার দর অনুকুলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমি বেশী আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। এখন পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আশা করছি, বাজারে ভাল দাম পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা ৩৫মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৪৪ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ঢাকা। বাতাসের মান অনুসারে এ বায়ু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য ‌‘অস্বাস্থ্যকর’। শুক্রবার এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ।

একিউআই স্কোরে শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৫৮। ১৫৪ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েলের জেরুজালেম, তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি, চতুর্থ স্থানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। পঞ্চমে রয়েছে পেরুর লিমা, স্কোর ১৪৯।

সুইজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা একিউএয়ার একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কিনা, তা জানায়।

একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: শ্বশুরকে ভয় দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল আহমেদ হৃদয় বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু ।

রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।


আরও খবর



চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ সোমবার (১৫ মে) পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। শোক বার্তায় শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক আজ সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০২১ সালের ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক।

চিত্রনায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর তিনি পরিণত হন অন্যতম জনপ্রিয় নায়কে।

এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক ফারুক বড় পর্দায় আসেন। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি।


আরও খবর



সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ওইদিন সোহেল রানার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা ‌‘লিভ টু’ আপিলের ওপর শুনানি হবে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল মামলাটিতে সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ এপ্রিল বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে তার জামিনের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

পরে রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত রানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিতের আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ১০ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৬ জন মানুষ। এই ঘটনার পাঁচদিন পর ২৯ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে সোহেল রানাকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোখা’ কেন, কীভাবে হলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, আগামী রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চকপিউ শহরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ‘মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, ঘূর্ণিঝড়ের নাম মোখা কেন এবং এটি কীভাবে এল? 

‘মোখা’ নামের উৎস

ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ডাব্লিউএমও/ইএসসিএপি) তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।

মোখা ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলে একটি বন্দর শহর। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এটাই ছিল ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর। কফি বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল এই বন্দর। এখান থেকেই কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয়। তাই এটির নামেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে কমিটি

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে আরব মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে- বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।

ছবি: সংগৃহীত

ঝড়ের নাম ঠিক করার জন্যে প্রত্যেক দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে। প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন-এর কাছে সেই নামগুলো পেশ করা হয় ও একটি তালিকা তৈরি হয়।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘মোখা’।

ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকেই এর আগের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল থাইল্যান্ডের দেওয়া ‘সিত্রাং’। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া।

এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে যথাক্রমে তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার), রিমাল (ওমান)।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রচলন হয় ২০০০ সালে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের কারণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই একই অঞ্চলে আরও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়ানো সহজ হয়।


আরও খবর