Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

লক্ষীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অসহায় গৃহবধূর ইজ্জত হননের চেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩০৪জন দেখেছেন

Image

নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া এক অসহায় গৃহবধূর ইজ্জত হননের জন্য মরিয়া হয়ে  উঠেছে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নাদু মিয়া(৬০)।


নাধু মিয়ার লুলুপ দৃষ্টির শিকার এক কন্যা সন্তানের জননী, গৃহবধূ ডলি আক্তার  জানান, আমি একজন বাউল  শিল্পী ।স্বামী ফেলে চলে গেছে। এখন আর গান করিনা। একটি মেয়ে সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করা গরীব ও অসহায় একজন নারী। আমি মাতাগুজার জন্য একটি ঘরের জন্য অনেক মানুষের কাছে গেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের দয়ায় একটা ঘর পাইছি। ভাবছিলাম শান্তি সুখে থাকব।


নাদু মিয়া আমাকেনাতনী বলে ডাকে। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে গভীর রাতে আমার ঘরে ঢুকে আড্ডা দেয়,পান, সুপারী খায়।কয়েকদিন পর পর আমার জাতীয় পরিচয় পত্র চায়।বেশ কয়েবার নেওয়ার পর আবারো চায়। পরে তার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি সতর্ক হয়ে যাই। এরপর সরাসরি আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়।তিনি আমার ইজ্জত নষ্ট করার জন্য বলে। প্রায় রাতেই আমার ঘরের দরজায় উপস্থিত হয়ে ডাকাডাকি  করে।

গতকাল ৪ ঠা জানুয়ারী  রাত ১১ টার দিকে আমার ঘরের দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করে আমাকে নামধরে ডাকতে শুরু করে ও জোর জবরদস্তি করে আমার ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। পরে আমি  ইজ্জত বাঁচাইতে লোকজনের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য হই। 


ওই গৃহবধূর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা যার নাম দিয়া,এ ঘটনায় ভয় পেয়ে  কান্না করতে থাকে।সে বলে রাইতকালা ওই বেডাডা(নাদু মিয়া) আমগো ঘরে জোরে জোরে বাইরা বাইরি করে। আম্মার কাছে কি জানি কয়, আর খালি আইডেন্টি কার্ড চায়। আমার ডর লাগে। 


ভিকটিম গৃহবধূ ডলি আক্তার, আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে ঘর দিছে,কিন্তু নাদু মিয়ার জন্য আমি আমি ওই ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছিনা।নাদু মিয়া আমারে ভয় দেখাইয়া হুমকি দেয় আমি আওয়ামীলীগের সভাপতি, আমার অনেক ক্ষমতা, তুই আমার কিছুই করতে পারবিনা।তাই ভুক্তভরাগী ডলি বলেন,আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, সরকারের কাছে বিচার চাই,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।


এ ব্যাপারে লক্ষীপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান,ঘটনা সত্য, অসহায় মেয়েটির  ঘরে ঢুকে সভাপতি নাদু মিয়া  ইজ্জত নষ্ট করার পায়তারা  করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক স্থানীয়রা জানায়,একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আ.সভাপতি ও অভিযুক্ত নাদু মিয়ার কাছে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আমার কিছুই করতে পারবেন না, আপনারা যা খুশী তা লিখতে পারেন। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



পত্নীতলায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | জন দেখেছেন

Image
দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ৩দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রোল্লাদ কুমার কুন্ডুর  সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার সহিদুল ইসলাম। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা ভারপ্রাপ্ত অফিসার শহিদুল ইসলাম, পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থা পত্নীতলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল হক, অন্যান্য কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, কৃষকবৃন্দ, সূধীজন প্রমুখ।

অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন শেষে মেলার বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি এবং কৃষি প্রযুক্তির বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন  করেন এবং আলোচনা শেষে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ তুলে দেন।

আরও খবর



মাগুরায় লাজ নয় জানতে চাই শ্লোগানে মেয়েবেলা কর্ণার চালু কিন্তু তদারকির অভাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৪৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের  উদ্যোগ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জেলার ১৬ টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে এ প্রকল্প মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালুর মাধ্যমে শুরু হয়। পরবর্তীতে  ১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে বাকি  ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে "লাজ নয়; জানতে চাই" স্লোগানে "মেয়েবেলা কর্নার" চালু এবং উক্ত মেয়েবেলা কর্নারসমূহে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। তবে বেশিদিন নয় অল্পদিনে কার্যক্রমে ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যেসব বিদ্যালয়ে এ প্রকল্প চলছে তা হচ্ছে

মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
বাবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,. নহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালিখা উপজেলার
বাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
সীমাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
তালখড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর উপজেলার  বরিশাট কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শ্রীপুর হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  মাগুরা সদর উপজেলার
শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
 জাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
বড়শলই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
জগদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শিরিজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

কতৃপক্ষ জানান, এসব মেয়েবেলা কর্নারে স্থাপিত ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মতো স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবে। 

এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যেন অল্পবয়স থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়,  সেটাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।

আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



বড় হারে ঘরের মাটিতে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে লজ্জাজনকভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রত্যাশিত প্রতিরোধও গড়তে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জয়-শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকেরা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দিনটিতে ২৪৩ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সামনে। যেখানে হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। তাই হাতে সময় থাকলেও প্রয়োজনীয় শক্তি ছিল না দলের কাছে। তাতে অনুমিত হারই শেষ পর্যন্ত দেখেছেন টাইগার বাহিনী।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৯২ রানে। এর আগে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল স্বাগতিকরা।

দুই টেস্টের তিন ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেছে। তবে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তুলনামূলক ভালো করেছে বাংলাদেশ। ৩১৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে দলটি।

এই রান করতে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ বঙ্গাব্দ। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তিনি আজ বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় (ভিডিও) দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন-

প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

প্রধানমন্ত্রী কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে বলেন- ‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন।”


আরও খবর