Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

লিবিয়ায় নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:লিবিয়ার দেরনা শহরের আকাশ-বাতাস এখনো লাশের গন্ধে ভারি হয়ে আছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

সেখানে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শহরের কাছেই অবস্থিত একটি সেতু বন্যার পানিতে পুরোপুরি ভেসে গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মরদেহ পড়ে থাকায় তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াও এখন বেশ কষ্টসাধ্য। ঝাঁঝালো গন্ধে গা গুলিয়ে উঠবে আপনার, বিশেষ করে যদি কেউ বন্দরের দিকে যায় তবে বুঝতে পারবেন সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ।

হাজার-হাজার মানুষ, ঘরবাড়ি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। যারা বেঁচে আছেন তাদের জীবনও পাল্টে গেছে। লোকজনের মধ্যে স্বজন হারানোর দুঃখ আর ক্ষোভ বাড়ছে। ফারিস গাসার নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা তার পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাদেরকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের বলা উচিত ছিল যে, ঝড় আসছে আর বাঁধটি নাজুক হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকশ বছরের পুরনো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা পুরোপুরি রাজনীতি। পশ্চিমে একটি সরকার, পূর্বে আরেকটি সরকার। এটাই আমাদের বড় সমস্যা। নিজের দশ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকেও হারিয়েছেন ফারিস গাসার। সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ও চারটি সেতু ধসে পড়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার কর্মীরা ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম বলছে, শহরটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

হাসপাতাল আর মর্গগুলো মৃতদেহে সয়লাব হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। এর একটি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত এবং এর রাজধানী ত্রিপলি। আরেকটি সরকার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

দেরনা শহরটি বেনগাজীর ২৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে। গাদ্দাফির পতনের পর এই শহরটি ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি ঘাঁটি। পরে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ তাদের বিতাড়িত করে। এলএনএ পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ জেনারেল খালিফা হাফতারের প্রতি অনুগত। প্রভাবশালী এই জেনারেল বলেছেন বন্যার কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি তারা নিরূপণ করছেন।

লিবিয়ার আল ওয়াসাত নিউজ ওয়েবসাইট বলছে, বহু বছর ধরে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট পুনর্র্নিমাণ বা সংস্কার না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে লিবিয়ায়। তবে দুর্গতদের দিন কাটছে শোকে, স্তব্ধতায়, নিদারুণ অভাব আর সংকটে।

দেরনা শহরে যে পরিমাণ ওষুধ এবং খাবার পানি প্রয়োজন স্থানীয় বাসিন্দারা তা পাচ্ছেন না। যারা বাড়ি-ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি। দেরনা শহর থেকে লোকজনকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে একেবারে সমুদ্রে নিয়ে ফেলেছে বহু বসতি। এর জেরেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পচা দেহের গন্ধ ও স্বজন হারানো পরিবারের লোকেদের আর্তনাদ মিশছে বাতাসে। গণকবর দেওয়া হচ্ছে মরদেহ। পরিচয়ের অপেক্ষায় হাসপাতালে পড়ে আছে বহু লাশ।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটে। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য।

লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তীব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত রোববার ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ‘ড্যানিয়েল’ আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেরনা ও বেনগাজির। প্রবল বৃষ্টি ও বানের ফলে দেরনা শহর যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নবীনগর গোয়ালী গ্রামে এক কিশোরের রহস্যনক মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ইকরাম (১১) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।উপজেলার দক্ষিণ কাইতলা ইউনিয়ন-এর গোয়ালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইকরাম গোয়ালী গ্রামের আলেব খাঁর ছেলে। তবে পরিবারের অভিযোগ, তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ইকরাম প্রতিদিন দুপুর বেলা গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়।

প্রতিদিনের মত শুক্রবার দুপুরে সে ঘাস কাটতে বের হয় ঘর থেকে। দীর্ঘ সময় সে বাড়িতে না যাওয়ায় তার মা খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মা বাড়ির পাশে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইকরাম কে দেখতে পাই। পরে স্থানীয় লোকদের খবর দিলে তারা প্রশাসন কে খবর দেয়। প্রশাসন ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ইকরাম এর চাচা বলেন, ইকরাম এর ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইকরামের দুই পা মাটিতে লাগানো ছিল। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।এ বিষয়ে শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই শেখ কামাল জানান,খবর পেয়ে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইকরামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দৌলতপুরে সুবিচার না পেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া মিরপুর ঘাট পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম নজুর মেয়ে দীপা (১৯) বিচার না পেয়ে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নজরুল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটা দিকে আরব আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মাসুম (৩০) গৃহবধূর ঘরের জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে, চিৎকারে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে সন্ত্রাসী মাসুমকে আটকে ফেলে এবং ভোর পর্যন্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে মাসুমের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসুমকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখে। এদিকে গৃহবধূ সুবিচার না পেয়ে বুধবার বেলা দুইটার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে।

জানা গেছে গৃহবধূ ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ইতিপূর্বে এই মাসুম গৃহবধুর স্বামীর বাড়ি গিয়েও নানা রকম পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে কয়েক দফা সালিশ বিচার হয়েছে। এবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুত্রবধূর এমন বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে নানা রকম কথা বলায় গৃহবধূ এর অপমান সইতে না পেরে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে বলে জানাই এলাকাবাসী। পুলিশ জানায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সভাপতিত্বে ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বয়রা পুলিশ লাইনস্থ মাল্টিপারপাস হলে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান। বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির এবং খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সরদার মাহবুবার রহমান।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতিস্মরণ করে আলোচনা সভায় বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে চেয়েছিল তাঁর আশা আজ পূর্ণ হয়েছে। এজন্য আপনারা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজাকার আলবদরদের দোসর স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য শাহাদত বরণ করেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে খুলনার সন্তান বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা শহীদ শেখ আবু নাসেরকে ও হত্যা করা হয়। দেশি বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু'র পরিবারের হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের শাস্তি নিশ্চিতকল্পে নিরলসভাবে চেষ্টা করার পাশাপাশি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, ইভটিজিং মুক্ত এবংশিক্ষা কৃষি, শিল্পে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে তিনি বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”। তিনি বলেছিলেন-আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যদি কেউ শোনে তাহলে দেখবেন একটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার আমাদের কি করণীয় আছে সে সমস্ত নির্দেশনা দেওয়া আছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ১৮ হাজার সৈন্য প্রত্যক্ষ ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নয় মাস জেলে থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর ভাষণকে ধারণ করে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ছিলেন না।”বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে জাতির পিতা তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হাজার বছরের ইতিহাসের মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি, বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা বঙ্গবন্ধু’র জীবনী স্মৃতিস্মরণ করে আলোচনা সভায় বলেন, ‘‘আমরা অনন্ত শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে চাই। বাঙালির হাজার হাজার মাতা আমাদের মুক্তির জন্য একজন মহানায়ক চেয়েছে। বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্ন পূরণ করেছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তির সকল বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। বাঙালি জাতি ও বাংলাকে অনন্য নেতৃত্বে নিয়ে গেছেন ঠিক তখনই ঘাতকেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ব্যতীত সকলকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। সে দিন বাংলাদেশ বেতারে ঘাতক মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘোষণা দিয়ে স্বাধিনতার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছিল। আমরা ছাত্র জীবনে জাতীয় দিবসে কখনই বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব পাইনি তাকে পরিকল্পিতভাবে ঘাতকেরা স্বাধীনতার অপশক্তি দূরে সরিয়ে রেখেছিলো। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই উন্নয়নকেই দমিয়ে দিতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন। আমরাই সেই দুর্ভাগা জাতি যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছি। এখন যে সকল ঘাতকেরা বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে রয়েছে সেই সকল ঘাতকদের দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে বঙ্গবন্ধুর সু-বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সম্মুখে এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
১৯৭১ সালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে কেএমপিসহ বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত। আমরা মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, যানজট মুক্ত, নাশকতা, এবং পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাস মুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ মহানগরী গঠন করতে বদ্ধপরিকর। আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই খুলনার জনগণের জানমালের হেফাজত করা আমার প্রধান কর্তব্য হবে। পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সকলকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।”
খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির আলোচনা সভায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আপনারা যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করেছেন তা আজ দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশ পুলিশের ছিল হৃদয়ের সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তির নয়, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাংলার মানুষের নয়নের মনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করতে পেরেছি।”
খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সরদার মাহবুবার রহমান আলোচনা সভায় বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে এবং বিচার স্থগিত করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে আরেকবার কলঙ্কিত করা হয়েছিল।”
সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতিস্মরণ করে বলেন, ‘‘আগামীর প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা উপহার দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। ফিদেল কাস্ত্রো’র ভাষায় বলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। কবি অন্নদাশঙ্কর রায়’র ভাষায় বলেন, যতোকাল রবে পদ্মা-মেঘনা- গৌরী-যমুনা-বহমান, ততোকাল র’বে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান, চারিদিকে আজ রক্তগঙ্গা অশ্রু গঙ্গা বহমান, নেই-নেই ভয়, হবে-হবে জয় জয়, শেখ মুজিবুর রহমান।”
এ সময় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান; কেএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেপুটি কমান্ড্যান্ট), পিটিসি, খুলনা জনাব হাবিবুর রহমান খাঁন; খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) জনাব মোঃ নিজামুল হক মোল্যা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) জনাব রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) জনাব এম.এম শাকিলুজ্জামান; খুলনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) জনাব শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মনিরা সুলতানা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) জনাব শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী; ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৬ পুলিশ সুপার জনাব কানাই লাল সরকার; খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির এবং খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সরদার মাহবুবার রহমান-সহ কেএমপি ও খুলনাস্থ সকল ইউনিটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।

আরও খবর



বিদ্যুতের গ্রাহকরা ১৬৯৯৯-এ কল করে পাবেন যেসব সেবা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিদ্যুৎ সেক্টরের সমন্বিত গ্রাহক সেবার লক্ষে হটলাইন ১৬৯৯৯ চালু করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশের সব বিদ্যুৎ গ্রাহক সরাসরি হটলাইন নম্বর ১৬৯৯৯, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ এবং চ্যাট বট এ তিন উপায়ে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যাবতীয় গ্রাহক সেবা নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় এ সমন্বিত গ্রাহক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন হবে। বিদ্যুৎ খাতের ৬টি বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির বিপিডিবি, আরইবি, ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো এবং নেসকো গ্রাহকরা এ সেবা পাবেন।

যেভাবে গ্রাহকরা সেবা পাবেন

>>> কেন্দ্রীয় হটলাইন নম্বর ১৬৯৯৯-এ কল করার মাধ্যমে।

>>> অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।

>>> বিদ্যুৎ বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া পেজের চ্যাট বট অপশনের মাধ্যমে।

১৬৯৯৯-এর সেবা প্রক্রিয়া

১৬৯৯৯ নম্বরে কল করার পর বিপিডিবির জন্য ১, বিআরইবির জন্য ২, ডেসকোর জন্য ৩, ডিপিডিসির জন্য ৪, নেসকোর জন্য ৫ এবং ওজোপাডিকোর জন্য ৬ ডায়াল করে নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কল সেন্টার অপারেটরের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে গ্রাহক তার অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।

কল সেন্টার অপারেটর ওই নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির কমপ্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)- এ গ্রাহকের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যগুলো পূরণ করলেই তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অভিযোগটি সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবেন।

একই সঙ্গে তথ্যটি বিদ্যুৎ বিভাগের সেন্ট্রাল কমপ্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপডেট হয়ে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অথরিটির ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগের ধরন, সর্বমোট অভিযোগ, অভিযোগের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপের সেবা প্রক্রিয়া

গ্রাহক অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। পাওয়ার ডিভিশনের অ্যাপটিতে প্রবেশের পর মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাপের হোম পেজে চলে যেতে পারবেন। হোম পেজের নিচে ‘এড একাউন্ট’ বাটনে ক্লিক করে গ্রাহক তার বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবেন। এরপর গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টের ধরন অনুযায়ী প্রিপেইড বা পোস্টপেইড নির্বাচন করবেন।

তারপর গ্রাহক তার মিটার নম্বর অথবা অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রবেশ করানোর পর, অ্যাকাউন্ট নম্বর এ ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সে তার অ্যাকাউন্টের বিবরণ দেখতে পারবেন এবং এইঅ্যাকাউন্টের জন্য গ্রাহক যদি কোনো অভিযোগ করতে চান তাহলে ‘কারেন্ট কমপ্লেন’ এ ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা ফর্মটিতে যাবতীয় তথ্য পূরণ করার মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।

এছাড়া ‘কমপ্লেন হিস্টোরি’-তে গিয়েও গ্রাহক আগের অভিযোগের সমস্ত তথ্য এবং তার অভিযোগগুলো কোন পর্যায়ে আছে তা দেখতে পারবেন। অ্যাপ ব্যবহার করার সময় যদি গ্রাহকের কল সেন্টারের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যাপে থাকা ‘হেল্প’ বাটনে ক্লিক করে সরাসরি কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন।

অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য প্রথমত সেন্ট্রাল কমপ্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তথ্য ভান্ডারে যুক্ত হবে। এরপর সেখান থেকে নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কমপ্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে এ যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে অভিযোগটি সমাধানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অভিযোগটি সম্পর্কে অবহিত হয়ে যাবেন।

চ্যাট বটের সেবা প্রক্রিয়া

গ্রাহকরা পাওয়ার ডিভিশনের আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চ্যাট বট অপশনটি পাবেন। ‘চ্যাট বট অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে গ্রাহক তার সাধারণ জিজ্ঞাসাগুলোর তাৎক্ষণিক উত্তর পেয়ে যাবেন। কোনো জিজ্ঞাসার উত্তর তাৎক্ষণিক দেওয়া সম্ভব না হলে সেখানে থাকা কল সেন্টার অপারেটরের সঙ্গে ‘কথা বলুন’ বাটনে চাপ দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহক হটলাইনে কল করে তার জিজ্ঞাসাটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর)সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে তাকে বহন করা ফ্লাইটটি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ানের বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, রাষ্ট্রপতি জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) শীর্ষ সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমিন রাষ্ট্রপতির এ বিদেশ সফরের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে, আর সেখানে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে তার। এছাড়া মালয়েশিয়া, পূর্ব তিমুরসহ কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হবে তার।


আরও খবর