Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

লাখ টাকা ছাড়াল সোনার ভরি

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২১৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :পাঁচ দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা বাড়া‌নো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ১ লাখ ৫৪৩ টাকা (প্রতি ভরি)। এতদিন যা ছিল ৯৯ হাজার ৩৭৭ টাকা।

রোববার (১৫ অক্টোবর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বে‌ড়ে‌ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। সোমবার ( ১৬ অক্টোবর) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর



তানোরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী  উদ্বোধন এবং সমাপনী  করা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কারস্বরূপ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায়  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: ওয়াজেদ আলী। 

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সফল খামারি মো. সেকেন্দার আলী। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভেটোনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি,র) সহযোগিতায় অনুষ্ঠান গুলো অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে সফল উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশ নেন।

আরও খবর



পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। স্বস্তি ফেরাতে পরিবহনের চালক,যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে রাজধানীর কাফরুলে বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে কাফরুল  থানা পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাফরুলের বিভিন্ন  এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও দিনমজুর মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

কাফরুল  থানা পুলিশের এ আয়োজনে প্রায় ১৫০০  মানুষের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

পুলিশের এমন উদ্যোগে অনেকেই প্রশংসা করছেন। পথচারীরা বলছেন,প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলে মানুষ খাবার পানি ও স্যালাইন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

পুলিশের মানবিক উদ্যোগে সবাই খুশি। প্রতিটি দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়। রিকশা, সিএনজি ও লেগুনা থামিয়ে পুলিশকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা যায়।

কাফরুল  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সেই দিক খেয়াল করেই আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই পথচারীরা যেন তীব্র এই রোদের মধ্যে কোনো রকম কষ্ট না হয়। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর