বিশেষ প্রতিনিধি:কুয়েতে বাংলাদেশীদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও এক প্রতারক। নাম তার আব্দুর রশিদ ওরফে কুয়েত রশিদ নামে পরিচিত। কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলমবাজার সিঙ্গুর গ্রামের বাসিন্দা। বসবাস করতেন কুয়েত সিটির ফান্টাস এলাকায়। প্রবাসি বাংলাদেশিদের কাছে তিনি পরিচিত ভন্ড প্রতারক।
জনশক্তি রপ্তানির বাজারে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। যার দরুন কয়েক হাজার বাঙ্গালী প্রবাসী কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে। ফলে কোটি কোটি টাকার রেমিড্যান্স পাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে আব্দুর রশিদ নামে এক প্রতারকের কুকর্মের কারণে কুয়েতে বাংলাদেশীদের উজ্বল ভাবমূর্তি ম্লান হতে চলেছে।
তিনি মুলত একজন ভিসার দালালি সহ ভিসা আকামা, ভালো চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নামে সরল মনের প্রবাসীদের বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করার পাশাপাশি মাদক ও স্বর্ণচোরা চালান, দেহব্যবসা করে আসছেন। এহেন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে তিনি জড়িত নন।
ভুক্তভোগী কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত জুন মাসে কুয়েত সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে আব্দুর রশিদ ভিসার দালাল হিসেবে আটক হন। এ সময় পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কুয়েতি দিনার পাসপোর্ট জাল ভিসা মাদক ও তার কথিত নেপালি স্ত্রীসহ আটক করে। এরপর টানা ১৫ দিন জেল খেটে অবশেষে কুয়েত সরকার তাকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।
দেশে ফিরে তিনি কুমিল্লায় নিজের গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই উধাও হয়ে যান। ভুক্তভোগী কয়েকজন তার সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করে এক পর্যায়ে নিশ্চিত হন তিনি বর্তমানে ঢাকার রামপুরা এলাকায় অবস্থান করছেন। আর এখানে বসেই তিনি তার অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। আর এসব কর্মকান্ড পরিচালনায় তিনি কুয়েতের একটি নাম্বার দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি কুয়েতে বাংলাদেশি স্বনামধন্য বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হুমকিধামকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন, এবং তার কাছে পাওনা টাকা দাবি করলে তিনি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ওইসব ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তিকর সংবাদ বানিয়ে তথাকথিত ফেক ইউটিউব টিভি চ্যানেলে মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানি হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি তাদের ব্যবসায়ীক ক্ষতিসহ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা আব্দুর রশিদের ভয়ে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে জীবন যাপন করছে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব