Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুয়েতে ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

সালমান আহমদ, কুয়েত থেকে:নিজের বিভিন্ন সমস্যার কথা যেমন, অর্থ সংকটে অমানবিক পরিস্থিতি, ছেলেদের লেখাপড়া করানোর খরচ,আইনি ঝামেলা থেকে মুক্ত, রেসিডেন্স ইস্যু ও ব্যাংক এর ট্রানজেকশন সম্পন্নসহ নানান সমস্যার কথা বলে গত প্রায় দেড় বছরে ৪১ হাজার কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা) অর্থ ঋণ হিসেবে নেন কুয়েত প্রবাসী শামিম আহমদ। 

পরে সেই ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধ না করেই কুয়েত থেকে পালিয়ে যান শামিম আহমদ।সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মন্নান।  

ন্যায় বিচারের দাবিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হাজী আব্দুল মন্নান বলেন, গত দেড় বছরে বহু বার আমার পাওনা টাকা ফেরত চেয়েও আমি একটি টাকাও ফেরত পাইনি। যদিও টাকা ফেরত দেবেন বলে শামিম আহমদ অনেক বার আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রবাসী ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মন্নান। কীভাবে এত টাকা প্রবাসী শামিম আহমদকে দিলেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মন্নান বলেন, প্রায় দুই বছর আগে কোনো না কোনোভাবে শামিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একসময় শামিম তার কাছাকাছি আসতে শুরু করেন। 

পরবর্তীতে শামিম তার নানা সমস্যা দেখিয়ে টাকা নেন এবং খুবই অল্পদিনের মধ্যেই সেগুলো ফেরত দিয়ে দেবেন বলে জানান। কিন্তু সেটি তিনি করেননি।  আব্দুল মন্নান জানান, পাওনা টাকার জন্য শামিমের কফিল (স্পন্সর) এর কাছে অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতাদের কাছেও অভিযোগ করেন। এতে করেও যখন আব্দুল মন্নান সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার পাচ্ছিলেন না; তখন তিনি কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করেন। 

কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আব্দুল মন্নানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেয়, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন।কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং সেটি বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। 

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়ন এর বিরাইমাবাদ গ্রামের শামীম আহমদ প্রায় তিন যুগ আগে কুয়েতে আসেন। প্রথমে সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন শামিম। পরে স্থানীয় এক নাগরিকের কাছ থেকে লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে আকামা ব্যবসা শুরু করেন তিনি। 

দীর্ঘদিন ধরে শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি প্রবাসীদের কাছ থেকে আকামা বাবদ টাকা নিলেও আকামা না লাগিয়ে প্রবাসীদের আকামাহীন করে দিচ্ছেন।ভিসা ব্যবসার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।জানাগেছে, অনেক প্রবাসীদের ভিসা দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নিলেও পরে ভিসা দেননি, উল্টো সেসব প্রবাসীদের স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন শামীম।

এদিকে এক পর্যায়ে শামীম রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন। করোনার সময় বিল্ডিং মালিক পক্ষকে ভাড়া দেননি এই বলে যে, ভাড়াটেরা ভাড়া দেয়নি। কিন্তু মালিক পক্ষ সেটি মানতে নারাজ ছিল।ফলে বিল্ডিং মালিক পক্ষ স্থানীয় আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শামীমের কফিলের উপর। ক্ষুব্ধ কফিল শামীমকে সময় বেধে দেন এ সমস্যা সমাধানের জন্য।

এরই প্রেক্ষিতে শামিম তার কফিলকে আশ্বস্ত করেন যে, দেশে তার প্রপার্টি বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসবেন।ফলে কফিল তাকে সুযোগ দেন দেশ থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য; প্রায় ৫ মাস পর শামিম কুয়েতে ফিরেন ঠিকই, কিন্তু টাকা নিয়ে যাননি।এদিকে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানাগেছে, বিল্ডিং এর রেন্টাল মামলা থেকে শামীম পরিত্রাণ পেতে তার কফিলের ছেলের কাছ থেকে ১২ হাজার কুয়েতি দিনার "ব্যাংক এর চেক দিয়ে ঋণ হিসেবে নেন" ও সিলেট গোলাপগঞ্জ এর কুয়েত প্রবাসী হাজী আব্দুল মন্নান এর কাছ থেকেও "ব্যাংক এর চেক দিয়ে ঋণ নেন" ১২ হাজার কুয়েতি দিনার।

যদিও কথা ছিল দেশ থেকে টাকা নিয়ে এসে সেই টাকা পরিশোধ করবেন,কিন্তু দেশ থেকে ফিরে ২২ দিন কুয়েতে অতিবাহিত করলেও টাকা পরিশোধ করেননি শামিম।কুয়েত প্রবাসী আব্দুল মন্নান বলেন সবমিলিয়ে ৪১ হাজার কুয়েতি দিনার শামিম তার কাছ থেকে নিয়েছে।এছাড়াও আকামার লাগানোর জন্য ২.৩.৫.৭ শত কুয়েতি দিনার শামিমকে দিয়েছেন এরকম অগণিত বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা রয়েছেন; কিন্তু শামিম তাদের আকামা লাগাননি টাকাও ফেরত দেননি।

প্রায় ৭ মাস আগে শামিম কুয়েতে এসে ২২দিন ছিলেন। সেসময়েও অনেকের কাছ থেকে আকামা লাগানোর কথা বলে টাকা নিয়েছেন শামিম।


আরও খবর



বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন বোরো ধানের সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে। পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা ধান ঘরে তুলতে জায়গা প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু কওে প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এ কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই ছিল কম। ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে আত্রাইয়ের প্রধান আবাদই বোরো ধান। বিশেষ করে উপজেলার মানিয়ারী, বিশা, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়েনে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান বোপনের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ। আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আজম প্রামানিক, শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার,বজ্রপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই হলো বোরো ধান। বোরো ধানের মধ্যে আমরা জিরাসাইল ধানের আবাদ সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করে থাকি। কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।

কৃষকরা আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম রোপণকৃত ধান ৮-১০ দিনের মধ্যে কাটামাড়াই শুরু হবে। কাটামাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে। এ সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে তারা বলেন, ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে কৃষকরা মাঠে রয়েছেন। স্বপ্নের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ ফসলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি  মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান বোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। এটি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। কোনো কোনো সময় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস  অতিক্রম করছে। এটি অব্যাহত থাকলে ধানের শীষ হিটশকে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য কৃষকদের সবরকম পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। 


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস।

এতে বলা হয়, পাইপলাইনের কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এছাড়া, ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ষ্টাফ কোয়াটার এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।ঢাকা দক্ষিন সিটি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি ও এলাকাবাসীর অত্যন্ত পছন্দের মানুষ হিসেবে করো বোন,কারো ভাবি,কারো মেয়ে হয়ে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের মাঝে এান খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন ইতোপুর্বে।চলতি দাবদাহ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করে চলেছেন রাশিদা আক্তার শান্তা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৬৭,৬৮,৬৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ডিজিটাল হিসাবে গড়তে চান রাশিদা আক্তার শান্তা।নাগরিকের অধিকার সর্বোচ্চ বজায় রাখতে চান তিনি।নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু নারীকে কর্মসংস্থান ব্যবস্হা করেছেন রাশিদা আক্তার শান্তা।তিনি অসহায় গরীব মেয়েদের নিজের অর্থ সহোযোগিতা করেছেন। 

নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চান । নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামাগার নির্মাণ করতে চান সংরক্ষিত নারী আসনের এ প্রার্থী। এলাকার যানজট সমস্যা নিরসন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।রাশিদা আক্তার শান্তা বলেন, ওয়ার্ডের মাঠগুলোকে শুধু খেলাধুলা করার জন্য উপযোগী করে দেব। মেয়েদের খেলার সুযোগ তৈরি করব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়েদের মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দেব। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়াব। মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করব,আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকব। এলাকার অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি।আমি যেন আরও বেশি করে জনগণের সেবা করতে পারি এজন্যই জনগণের অনুরোধে এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।

মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের থেকে ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১ মে) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর