Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামের রৌমারী জুতা পায়ে শহিদ মিনারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃভাষা শহিদরা আমাদের আদর্শ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বে আমরা একমাত্র বাঙ্গালি জাতি, যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে ভাষা শহিদদের অবদানের কথা স্মরণীয় করে রাখার জন্য। কিন্তু আমরা যেন সেই সব কথা ভুলে গেছি। শহিদ মিনারের অমর্যাদা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমড়ভাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহিদ মিনার অবমাননা ও অমর্যাদা করা হয়েছে। শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালের দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমড়ভাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সায়দাবাদ নতুন কুড়ি স্পোর্টিং ক্লাব এর আয়োজনে এই ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি উপভোগ করার জন্য শহিদ মিনারে খেলার অনুষ্ঠানের মঞ্চ বানানো হয়। যেখানে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ধসঢ়;ফর হোসেন, যাদুরচর ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি সাখওয়াত হোসেন সবুজ, যাদুরচর ডিগ্রি মডেল কলেজ এর অধ্যক্ষ সুরুজ্জামান মুকুল, যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। সেখানে উপস্থিত সকলেই জুতা ও সেন্ডেল পায়ে দিয়ে শহিদ মিনারে সাজানো মঞ্চে উঠেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যারা দেশের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলা ভাষাকে ইংরেজদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন,অথচ তাদের স্বরণের শহিদ মিনারটি অবমাননা কার মোটেও ঠিক করেননি।

কোমড়ভাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার কাছে শুধু ভলিবল খেলার জন্য মাঠের অনুমিত নিয়েছে,তবে শহিদ মিনারের বিষয়টি আমি জানিনা। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাখওয়াত হোসেন সবুজ জানান, শহিদ মিনারে মঞ্চ করেছে এটা আমি খেয়াল করিনি। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক।

যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর সাথে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতির বলেন, এটা আমাদের ভুল হয়েছে।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে একাধীকবার তার ফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি কল কেটে দেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, শহিদ মিনারে জুতা পায়ে দিয়ে ঊঠা ঠিক হয়নি। শহিদদের অসম্মান করা হয়েছে। বিষয়টি আমি দেখতেছি।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মাগুরার মহাম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে;মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামে মোটরসাইকেল-ড্রাম ট্রাক  মুখোমুখি সংঘর্ষে পারুল খাতুন (৩৫) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে  মন্ডলগাতি গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম। নিহত পারুল খাতুন শহীদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সুমন মাগুরা জেলা জর্জ কোর্টে পেশকার হিসেবে কর্মরত। অফিস শেষ করে সুমন তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা থেকে মন্ডলগাতী গ্রামে মোটরসাইকেল যোগে ফিরে আসছিলেন।

খলিশাখালি গোরস্থানের কাছে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়। উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার পারুল খাতুনকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ড্রাম ট্রাকে বালু ভর্তি করে নহাটা ইউনিয়নে ফুলবাড়ী গ্রামে রাস্তার কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছিল।

আরও খবর



মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শ্রীপুরে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত, ১২টি মটর সাইকেল এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জড়িত ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার রাতে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজন এবং মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষ পরবর্তি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজনের একটি নির্বাচনী অফিস চালু করা হয়। এ ঘটনার পর অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের কর্মীরা ওই বাজারে উপস্থিত হয়ে মিছিল শুরু করে। এ সময় উষ্কানীমূলক স্লোগানের সূত্র ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিমের নেতৃত্বে মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম সমর্থকরা শরিয়াত উল্লাহ রাজনের ওই বাজারের নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। প্রতিবাদে রাজন সমর্থকরা হালিম চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করলে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ মন্ডল, মোকতার হোসেন সহ অন্তত ১৫ জন কমবেশি আহত এবং ১০ টি মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সারা শ্রীপুরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ ঘটনার জন্যে উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজন এবং মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম প্রতিপক্ষকে দায়ি করে বক্তব্য দিয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও খবর



নাসিরনগরে ভুয়া বি এড সনদে চাকুরীর বিরোদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ভুয়া বি,এড সনদ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরোদ্ধে।ওই শিক্ষকের নাম  মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ । তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় শাহাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত  প্রধান শিক্ষক।প্রায় এক যুগ ধরে তার নিয়োগের বৈধতা ও জাল সনদে চাকুরী নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অত্র  বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে। এ ঘটনায় শেখ শরিফ হাসান নয়ন নামে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর  অভিভাবক মোস্তাক উদ্দিনের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন।


শরিফ হাসানের রিট আবেদনে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের বিএড সনদের বৈধতা ও আগের প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালত তাঁর আবেদনটি আমলে নিয়ে গত মাসের ২১ তারিখ চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের প্রতি রুল জারি করেছেন।অভিযোগে বলা হয়, হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ফরিদউদ্দিনের ছেলে মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে ' বিএড ডিগ্রির জাল সনদ দিয়ে হরিণবেড় শাহজান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।


শর্তে ছিল, ওই পদের জন্য আবেদন করতে হলে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড সনদ থাকতে হবে। কিন্তু মোস্তাক উদ্দিন তা না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান থেকে একটি ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেয়। নিয়োগের সময় তিনি তাঁর আগের প্রতিষ্ঠান হরিপুর মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্রও নেননি।বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন  সভাপতি খালেদ মোবারক বলেন, ওই শিক্ষকের নিয়োগটি তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়েই হয়। কিন্তু তাঁর বিএড সনদটি যে অবৈধ এবং ছাড়পত্র না নিয়ে যে নিয়োগ পেয়েছেন তা প্রমাণ হয়েছে ২০১৭ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিটের পর।


হরিপুর সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সময় মোস্তাক উদ্দিন তাদের মাদ্রাসা থেকে কোনো ছাড়পত্র নেননি। এখনও মাদ্রাসার ওই পদে তিনি পূনর্বহাল রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিরিন চৌধুরী  বলেন,বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে,সেখানেই নিষ্পত্তি হোক।


এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ কে মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহার উদ্দিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি আপনারা যেমন শুনেছে আমিও তেমনি শুনেছি।তিনি আরো বলেন,বিষয়টি শুনেছি আদালতে রিট হয়েছে।তবে আদালতের উপরতো কোন কমেন্টস করা যাবে না।বর্তমানে অফিস বন্ধ।অফিস খোলার পর খোঁজ নিয়ে দেখবো।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে হত্যার ঘটনায় ২৪ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত কৃষক হাকিম জোমাদ্দারের ভাই হারুণ জোমাদ্দার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি প্রতিবেশি বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার বেলা ১০টার দিকে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করেছে। এরা হচ্ছেন, আব্দুস সালাম ফকির, হাসান হাওলাদার, নাজমা বেগম, লাইজু বেগম ও জাহানারা বেগম।

এর আগে, শুক্রবার বেলা ৮টার দিকে গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারকে(৬২) পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। মারপিটে আরও ৭ জন আহত হন।

জানা গেছে, বারেক হাওলাদার ও হাকিম জোমাদ্দারের মধ্যে ৩.৪২ একর জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে ৪/৫ বছর ধরে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী হাকিম জোমাদ্দারের বসতঘরের সামনে থেকে বিাবদমান ওই জমির কিছু অংশে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। ওই সময় দখলে বাধা দিলে হাকিম জোমাদ্দার ও তার লোকজনদের ওপর হামলা করে শহিদুলের বাহিনী। হামলায় গুরুতর জখমী দুই সন্তানের পিতা হাকিম জোমাদ্দার ঘটনাস্থলেই মারা যান।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও খবর



সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর