Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কুকুর পাচ্ছে র‍্যাব মহাপরিচালক পদক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুরকে দেওয়া হচ্ছে র‍্যাব মহাপরিচালক পদক। আজ সোমবার র‌্যাব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করায় কুকুরটিকে এই পদক দেয়া হচ্ছে। এই প্রথম বীরত্বপূর্ণ পদক পাচ্ছে র‍্যাব ডগ স্কোয়াডের কোনো কুকুর।

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সেখানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল (বোমা নিষ্ক্রিয়করণ) ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।


আরও খবর



গাংনীতে শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ রমজান মাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শসা চাষিদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে রমজান মাস। বাজার দর বৃদ্ধি পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় হাঁসি ফুটেছে এসব শসা চাষিদের মুখে। ১০ টাকা দরের শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এমন দামে ভোক্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও চাষি আর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।

গাংনী বামন্দি কাঁচা বাজারের আড়ৎদার আব্দুল হালিম জানান, রমজানের দশদিন আগে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। শসা কেনার লোকও পাওয়া যায়নি। ফলে শসা পচে গেছে। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই শসার চাহিদা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। সেই সাথে বেড়েছে দামও।

শাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি মকসেদ আলী জানান, শসা বর্তমানে গাংনীর চাষিদের কাছে একটি জনিপ্রয় চাষ রমজানের আগে শসা কম দামে বিক্রি করে লেবার খরচ হয়নি। রমজান মাস আসায় শসা চাষিদের কপাল খুলেছে। শসা এখন আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জোড়পুকুর গ্রামের শসা চাষি ইমারুল জানান, যে ব্যবসায়ীরা শসা কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার্ধাসঢ়;ই এখন শসা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে চাষিদের কাছে। বাজার চড়া হওয়ায় এখন একই সাথে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। একই কথা জানালেন শসা চাষি কুঞ্জনগরের আব্দুল হাকিম।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, রমজানের আগে শসা কিনে মোটা অংকের লোকসান গুণেছি। কিন্তু রমজান মাস আসায় চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার দরও বেড়ে গেছে। এখন আগের লোকসান অনেকটায় কাটিয়ে উঠেছি।

ক্রেতা সাধারণ জানান, রমজানে দ্রব্য মুল্যের স্থীতিশীল রাখা দরকার। ১২ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকায়। এটা চাষি ও ব্যবসায়িদের স্বেচ্ছাচারিতা। সাধারণত ৫/১০ টাকা দাম বাড়লেও ক্রেতা সাধারনের নাগালের মধ্যে থাকে কিন্তু ৫/৬গুন মুল্য বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, তিনি দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন বাজারে আড়তদার ব্যবসায়ি এবং চাষিদের সাথে কথা বলছেন। ইতোমধ্যে আশানুরুপ সাড়া মিলেছে। কেউ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



মির্জাপুরে মাদকাসক্ত তরুণের করুন মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:"নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা।" মাদকবিরোধী এই সত্য এবং কঠিন স্লোগানের একটি বাস্তব ঘটনা ঘটলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের মৃত যুধিষ্ঠির বসাকের বড় ছেলে সুব্রত বসাক (৩৮) এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিন টার সময় সুব্রত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বসাক মাদকাসক্ত ছিল। প্রতিদিন সে মাদক সেবন করে গভীর রাতে ঘরে ফিরত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পূজা'র (৩০) সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্ত্রীকে মারধর করত। পূজা বলে, ঘটনার রাতে সে বারোটার দিকে নেশা করে ঘরে ফিরে। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকে হিরোইন সেবন করে। এরপর ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে।কিছুক্ষণ পর নিরব হয়ে যায়। শ্রী পূজা ভাবে সুব্রত ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে । সকালে সুব্রতর দেহে হাত দিয়ে দেখে নিস্তেজ হয়ে গেছে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আত্মীয়-স্বজন নিকটস্থ জামুর্কি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ছয় বছর পূর্বে সুব্রত বিয়ে করে। তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক ছিল। দুই মাস পূর্বে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয়। স্ত্রী পূজা আরো জানায়, গত বছর সে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জে জেল খেটেছে। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে জেল থেকে বের করে আনে। সুব্রত হিরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত ছিল। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে এক কন্যা সন্তান নিয়ে পূজা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



যশোরে চালের আড়ত থেকে কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে চালের আড়ত থেকে কর্মচারী বায়েজিদ নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে তাকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এ কর্মচারীকে। বায়েজিদ খুলনা জেলার বানরগাতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। রোববার রাত তিনটায় কোতোয়ালি পুলিশ লোন অফিস পাড়ার ওই চালের আড়ৎ থেকে বায়েজিদের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় আড়তের নাইটগার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে তারা।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বেশ কয়েকদিন আগে পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় বায়েজিদ। সেই টাকাকে কেন্দ্র করে খুলনা থেকে তাকে যশোরে ডেকে আনা হয়।খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বায়েজিদকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।  এ বিষয়ে চালের আড়তের মালিক বিএনপি নেতা মুল্লুক চাদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তিনি পাওনা টাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু হত্যা কে বা কারা করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া মুল্লুক চাঁদ যশোরের বাইরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন জুয়েল ইমরান।

এদিকে, মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। তার পরিবার জানিয়েছেন এ টাকার লেনদেনের বিষয়ে খুলনার স্থানীয় টিপু কাউন্সিলার তদারকি করছিলেন।  রোববার দুপুরে তিনিই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান বায়েজিদকে। পরবর্তিতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন বায়েজিদ মারা গেছেন। তারা যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুল্লুক চাঁদের কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।


আরও খবর



শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়হানকে আটক হয়েছে। বুধবার ভোররাতে শার্শার নাভারন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী রায়হান শার্শার যাদবপুর গ্রামের মোহাম্মদ আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাবের একটি সুত্র জানায়, রায়হান ২০১৭ সালের ০৮ মে ৫শ’গ্রাম হেরোইন সহ আটক হয়। ওই মামলায় সাত মাস হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যায় সে।

২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়হানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় যশোরের একটি আদালত। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলো। র‌্যাব তাকে ধরতে অভিযানে নামে। এক পর্যায় তথ্য প্রযুক্তি সহযোগীতা অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর



আইএসডিই এর উদ্যোগে মহেশখালীতে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন জনগোষ্ঠির মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৬ মার্চ ২০২৪ইং স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তারের কাছে নতুন ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ, কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ, আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার আমেনা বেগম, ব্র্যাক এইচসিএমপি কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রকল্প কারিগরী কর্মকর্তা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা রেসপন্স এর কক্সবাজারের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকী, আইএসডিই অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানাউল্যাহ, আইএসডিই মহেশখালী উপজেলা ব্যবস্থাপক মনজুর আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ বলেন, উপকূলীয়ীয় মহেশখালী উপজেলাটি যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুকল পরিবেশ না থাকায় এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন। সেখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই দীর্ঘদিন ধরেই এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেকারনেই আইএসডিই এর সাথে পার্টনাশীপের মাধ্যমে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো হয়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে এ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্ঠা করা হয়। কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্রাকের সহায়তায় এ ধরনের মানবতাবাদী কর্মকান্ড পরিচালনায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সীমিত বাজেটে একটি পরিপূর্ন ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। একই সাথে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরাই সহায়তা পেয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশী, তাই সহায়তার পরিমান বাড়ানোর জোর দাবি জানান। আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির জন্য পুর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আইএসডিইকে সম্পৃক্ত করায় ব্র্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আর ও বলেন, উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলা নানাভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত। একই সাথে বিদ্যুত খাতের সরকারী বেসরকারী নানা মেঘা প্রকল্প চলমান থাকায় এখানে জীবন জীবিকা নিয়ে ঠিকে থাকা কঠিন, পরিবেশ প্রতিবেশ হুমকির মূখে ও উদ্ববাস্তু জনগোষ্ঠির সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগনের সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের বাছাই করা অনেক কঠিন থাকলেও সীমিত সামর্থের কারনে তা সম্পন্ন করতে হয়েছে। নতুন ঘর গ্রহিতা কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্বামী হারা হবার কারনে নিজের ঘর তৈরী করার সামর্থ ছিলো না। সেকারনে ঘরবাড়ী হারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিলেন। আইএসডিই সেখানে ত্রাণ কর্তা হয়ে আশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি চির কতৃজ্ঞ থাকবো।

উল্লেখ্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে ০৮টি নতুন ঘর, ১১টি ঘর মেরামত, ১৪টি নলকুপের প্লাটফরম তৈরী, ১৮টি নতুন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করা হয়।


আরও খবর