মাজহারুল ইসলাম রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃবছর পূর্তি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সহকর্মী ও সমর্থকগনরা পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। কিন্ত চলে গেলেও রেখে গেছে তাদের সৃতি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন নতুন প্রজন্মের জনসাধারণরা।বালয়ামারী হাটের
উদ্যোক্তাঃ প্রয়াতঃ ব্যাক্তিরা হলেন আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন, বিদাশী মন্ডল, বানিজ উদ্দিন দেওয়ানি, জহর মামুদ, জুগলু বেপারী, হাসেন ব্যাপারী, আলহাজ্ব কামুল্লাহ বেপারী বেপারী, আলেক বেপারী, আবেদ বেপারী, গোলাম হোসেন বেপারী, ইউসুফ উদ্দিন বেপারী, মনির উদ্দিন বেপারী, সৈয়দ আলী দেওয়ানি, তথ্য সুত্র বালিয়ামারী বাজার পাড়া গ্রামের প্রয়াত আঃ জুব্বার দেওয়ানী। প্রয়াত আলহাজ্ব নতিবুল্লাহ ময়েজ উদ্দিন মন্ডল, আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেন আলহাজ্ব জয়েন উদ্দিন, গাদু বেপারী,আলহাজ্ব সেতাব আলী, শরিয়ত উল্লাহ, রহিম উদ্দিন খান, সোনা উল্লাহ মাল,এলাকাবাসীর পক্ষে তথ্য সংরক্ষনে সহযোগিতায় মতিউর রহমান সাংবাদিক সাবেক বালিয়ামারী ।১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন আইটেমের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো। বিশেষ অতিথিরা হলেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই, রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস মোহাম্মাদ মিরন, রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান সোহাগ, আয়োজনে বালিয়ামারী হাট ইজারাদার সাইদুর রহমান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মিন্টু, বনিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল শ্রেণী পেশাজীবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বালিয়াতারী হাটবাজারের একশোত বছর প্রর্তি এর মিলনমেলা।এসময় প্রবীণ নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে উঠেছে আসে ততকালীন ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটের জীবনকাহিনীর ইতিহাস। বিটিস শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকার উত্তরে কোন হাটবাজার ছিলনা। পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সবচাইতে পরিচিত ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী সোনাম ধন্য বড় হাট। এই হাটে আসতেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, রাজশাহী, রংপুর,কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, লালমনির হাটের লোকজন। হাটের বার ছিলো শুক্রবার,সোমবারসহ সপ্তাহে দুইদিন। হাটের দুদিন আগে হাটুরেরা নৌকা যোগে
নোঙ্গর তুলে এসে রাত্রিযাপন করে মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে চলে যেতেন তারা তাদের গন্তব্যস্থলে । অপরদিকে পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইয়ের চর হাট ছিলো।
প্রবীণের বরাত দিয়ে আরও জানা গেছে বিটিস শাসনামলে ভারত বাংলার কোন
ভেদাভেদ ছিলনা। ততকালীন পাশাপাশি ভারত বাংলা এই দুটি হাট করতেন পূর্ব
পাকিস্তান, ভারতের সকল রাজ্য থেকে ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাট করে চলে যেতেন হাটুরেরা। তারপর বিটিস শাসকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্নভাবে কৌশল অবলম্বনে বিটিস শাসনের হাত থেকে রক্ষা হয় সকল কার্যক্রম। এরপর বিভাজনে পরিনত হয় বিটিস শাসকরা অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। বিটিস চলে যাওয়ার পর ভারত পাকিস্তান নামে নামকরণ হরা হয় দুদেশের। সেই থেকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান ছিলো আজকের বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি সরকারের অমানবিক নিপীরিত
নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয় পূর্ব পাকিস্তানের সাদামাটা মানুষ জীবন। শুধু তাই নয়
মাতৃভাষার উপরও চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। মায়ের ভাষা বলতে দেবেনা ততকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা। এমনকি পাকিস্তানী ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করতে চালিয়ে ছিলো অমানবিক নির্যাতন। এসময় নির্যাতিত নিপীড়িত পূর্ব পাকিস্থানের প্রয়াত শহীদ বুদ্ধিজীবিরা পাকিস্থানের নির্যাতনে গর্জে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আনন্দলনে। সেই ভাষা আনন্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিল দেশকে পাকিস্থানের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি করা যায় সেদিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহসি নেতৃত্বে এই আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করেছেন। দুঃসাহসী নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,
তার আরও অনেক সাহসী সহযোগীদের সহযোগিতায় আজকে স্বাধীনতা পেয়েছি
আমরা। স্বাধীনতার কয়েকবছরের মধ্যে পাকিস্থানি দালালরা পরো পরিবারকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পরিবাকে। আজকে সেই দুঃসাহসী নায়কের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেন। এরপর আবারও ডিজিটাল বাংলাদেশের কাতারে দাড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে বাস্থবায়নের লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।