Logo
আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

করোনা টিকার বুস্টার ডোজ আপাতত বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাময়িকভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ বুস্টার ডোজ দেওয়া বন্ধ হচ্ছে। নতুন করে টিকা হাতে পেলে আবারও  কার্যক্রম শুরু হবে। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে টিকাবিষয়ক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, বুস্টার ডোজ নিতে ততটা বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেকে নিতে চাচ্ছেন না। বিশেষ করে চতুর্থ ডোজে তেমন সাড়া মিলছে না। তারপরও বুস্টারের যত টিকা ছিল তা শেষ। এসব টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আনা হয়। ইতোমধ্যে চাহিদা দেওয়া হয়েছে, আসতে ৩-৪ সপ্তাহ লাগবে। আসা মাত্রই আবারও দেওয়া হবে। এ দফায় ৩০ লাখ টিকা আসবে। চাহিদা অনুযায়ী তারা আরও টিকা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।

ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটির কাছাকাছি। তৃতীয় বা প্রথম বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ছয় কোটি এবং চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন অস্থিতিশীল করতে সব সময়ই একটি পক্ষ সচেষ্ট থাকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব সময়ই একটি পক্ষ সচেষ্ট থাকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । সেসব যেন না হয়, এ জন্যই নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৫২ বছর’ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। এর অন্তরালে অনেক সময় বিপত্তি ঘটানোর, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি কিংবা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি পক্ষ অনেক পন্থা অবলম্বন করে। সে ধরনের কোনো ঘটনা যাতে কেউ না করতে পারে এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যারা আছেন তারা অত্যন্ত দক্ষ।

সন্ত্রাসীদের আটক একটি চলমান প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়তই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা আটক করা হচ্ছে। আমরা সবসময়ই তাদের চিহ্নিত করে আসছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাদের বেশিরভাগই এখন জেলখানায়, না হয় দেশত্যাগ করেছে। বিদেশে যারা আত্মগোপন করেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আনাও হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের মাঝে শুধু একটা সীমান্তরেখা রয়েছে। কিন্তু আমাদের পরস্পরের হৃদয়ের কোনো সীমা নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চির অটুট থাকবে সব সময়।

৫২ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা থামছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। এটা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও দফায় দফায় বৈঠক চলছে।

সীমান্তে অস্থিরতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়েও মিটিং হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, সীমান্তে নন লিগ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




সুনামগঞ্জে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার: অবৈধ মালামালসহ গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ:সুনামগঞ্জ জেলার ৬ উপজেলা সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীরা। তারা সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে গরু, মহিষ, ছাগল, কাপড়, কমলা, চিনি, সুপারী, কয়লা, চুনাপাথর ও কসমেটিকসসহ ইয়াবা, মদ, গাঁজা, নাসিরউদ্দিন বিড়িসহ নানান প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার নয়াহাটি গ্রামের মৃত ছানা উল্লাহর ছেলে এখলাছ মিয়া (৩৯), একই গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে ফজলুল হক (৫৮) ও তার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২৫)।

আজ সোমবার (৪ ডিসেম্ভর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে- গত রবিবার (৩ ডিসেম্ভর) দুপুরে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার নয়াহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১কেজি ২শ গ্রাম গাঁজাসহ চোরাকারবারী এখলাছ মিয়াকে তার নিজ বসতবাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (২ ডিসেম্ভর) রাতে ৯শ ৬০গ্রাম গাঁজাসহ একই গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসায়ী ফজলুল হক ও তার ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

অপরদিকে গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের শাহিদাবাদ বর্ডার হাটে সংলগ্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৬লাখ ৭০হাজার টাকার মূল্যের পাচাঁরকৃত অবৈধ কমলা জব্দ করে বিজিবি ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। এরআগে এই সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ ফুছকা ও কসমেটিস ঢাকা পাঠানোর সময় জগন্নাথপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাউড়গড়ের ২জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছিল। এব্যাপারে সীমান্তবাসী সূত্রে জানাযায়- লাউড়গড় সীমান্তের বডারহাট চালু হওয়ার পর সাধারণ ক্রেতাদের চাইতে চোরাকারবারীদের চাহিদা বেশি বেড়েগেছে। স্থানীয় চোরাকারবারীরা সোর্স পরিচয়ধারী জসিম ও বায়েজিদসহ আরো একাধিক দালালের মাধ্যমে বিজিবি ও কাসস্টমসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিয়মের চাইতে বেশি মালামাল সংগ্রহ করে। আর দীর্ঘদিন যাবত এই অনিয়ম চলার কারণে চোরাকারবারীদের দাপট দিনদিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও এই সীমান্তের যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা ও পুরান লাউড়সহ আরো একাধিক এলাকা দিয়ে অবাধে নাসিরউদ্দন বিড়ি, কসমেটিকস, গরু, পাথর, কয়লা, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল রবিবার( ৩ ডিসেম্ভর) রাত ১২টার পর টেকেরঘাট সীমান্তের রজনী লাইন ও বুরুঙ্গা ছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কাল আলী প্রায় শতাধিক লড়ি বোঝাই করে ভারত থেকে চুনাপাথর ও কয়লা পাচাঁর শুরু করে। পরে বিজিবির গোয়েন্দা সংস্থা বিএসবি ও ডিএসবির দায়িত্বে থাকা সদস্যদের সহযোগীতায় কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর বন্ধ করা হয়। টেকেরঘাট ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কোম্পানী কমান্ডার আনোয়ার হোসেন যোগদানের পর থেকে সোর্স আক্কল আলী ও তার সহযোগী কামাল মিয়া এক ট্রলি চুনাপাথর (৩ মেঃটন) থেকে ২হাজার টাকা ও ১বস্তা কয়লা (৫০ কেজি) থেকে ১৫০টাকা চাঁদা নিয়ে রাতে টহলে থাকা বিজিজি সদস্যদের সাথে রেখে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করে।

এছাড়া পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা যখন ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করা হয় তখন আবারো ১মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে ২হাজার ৩শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে সোর্সরা।

একই ভাবে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁরের পর সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া ও হোসেন আলী প্রতি বস্তা কয়লা ও মাদক থেকে ৩৫০টাকা চাঁদা উত্তোলন করে পুলিশ, সাংবাদিক, ডিবি ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। অন্যদিকে বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্তে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৮শত, থানার নামে ১ নৌকা (২০ মেঃটন) কয়লা থেকে ২৫ হাজার টাকা, টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির নামে ১বস্তা কয়লা থেকে ৭০টাকা ও ১ টন চুনাপাথর থেকে ১৫শত টাকা চাঁদা উত্তোলন করে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী সোর্স রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামাল, হযরত আলী, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শরাফত আলী ও শামসুল মিয়া। পরে উত্তোলিত চাঁদার টাকা নিয়ে সোর্সরা তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ মিয়ার অন্দর মহল কামড়াবন্দ গ্রামে যায়। সেখানে চোরচালান ও চাঁদাবাজির চাঁদার টাকা হয় ভাগভাটোয়ারা। সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গত ৩বছর যাবত ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে সোর্স ও তাদের গডফাদার কোটিপতি হয়েগেছে বলে জানা গেছে।

সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। কেউ যদি পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক ও টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য জানার জন্য তাদের সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ^ম্ভরপুর থানার এসআই মতিয়ার রহমান পৃথক অভিযানে মাদকসহ ৩জনের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



মন্ত্রীর আসনে সরবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলোচনা-সমালোচনায় সমর্থকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:রাজধানীর অদুরে গুরুত্বপূর্ণ আসনটি হচ্ছে গাজীপুর-১। টানা তিন বার এ আসনটি দখল করে রেখেছেন আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক (এমপি)। চর্তুথ বারের মতোও নৌকার আস্থায় এ মন্ত্রী। কিন্তু তাঁর আসনে অনেকটা সরবে আওয়ামীলীগ ও দলীয় সমর্থক তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সরগরম হয়ে উঠছে নিজেদের রাজনীতির মাঠ। এতে নানা জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত প্রার্থীদের সমর্থকরা।

নির্বাচন অফিস, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকা অর্থাৎ গাজীপুর মহানগরীর বাসন, কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানা এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৪ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা হলো ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৮। এছাড়াও মোট ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ২৩৭টি ও বুথ সংখ্যা হলো ১ হাজার ৫১২টি। টানা তিন বার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি দখল করে রেখেছেন আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনিসহ এ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। কিন্তু আবারও দলীয় মনোনয়ন পেলেন ১৯শে মার্চের মহানায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। দলের আস্থা ও জনগণের ভালবাসায় বিজয়ের মাধ্যমে চর্তুথ বারের মতোও আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান হেভিওয়েট এ মন্ত্রী।

এদিকে বিকল্প প্রার্থী (ডামি) রাখার দলীয় পরামর্শ, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আনতে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে- এমন বক্তব্য দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগনকে ভোটমুখী করতে স্বতন্ত্র কৌশল হিসেবে এবার কিছুটা নরম সুর আওয়ামী লীগের। ফলে দলীয় প্রতীকের বিপক্ষে প্রার্থী হতে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন নৌকা বঞ্চিতরা। তাই নৌকা বঞ্চিত অনেকে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে লড়বেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

এরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী সমর্থক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ কর্মী নূরে আলম সিদ্দিকী ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান সরকার রাসেল। নৌকার বিপক্ষে নিজেদের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরবে থাকায় সরগরম হয়ে উঠছে আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাঠ। আর গুঞ্জন উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন নৌকার প্রার্থী। এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত প্রার্থীদের সমর্থকরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বলছেন, নৌকার বিপক্ষে লড়াই করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেতে পারেন।

অপরদিকে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা বলছেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে আওয়ামী সরকার। আর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন মন্ত্রী। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচীসহ বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় মাঠে ছিলেন। ফলে উন্নয়নের ধারা ঠিক রাখতে মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে আবারও বিজয়ী করছেন বলেও জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দকী বলেন, আওয়ামীলীগকে ভালবেসে সবসময় মাঠে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। সেজন্য আমি নির্বাচনে অংশ নিবো। এছাড়াও দল থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা পালন করবো। তবে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। সে অনুসারে আমি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল বলেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যারা মনোনয়ন পাননি তারা ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সরকার রাসেল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এখন পর্যন্ত দলীয় কোন প্রভাব দেখা দেয়নি।

সামনে যদি দলীয় প্রভাব দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবো। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ের জন্য আমি শতভাগ আশাবাদী। নেতাকর্মীদেরকে ঘরে ঘরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়ে নৌকার প্রার্থী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, জনগনকে বুঝান আগামী ৭ জানুয়ারী তারা যাতে নির্বিগ্নে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে তারা যাতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে। আর তিনি যেন দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এ পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সেগুলো ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাই করা হবে। আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৫ জানুয়ারী থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ৭ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনী মাঠে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।


আরও খবর



তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা এবারের আলিম পরীক্ষায় সর্বোত্তম ফলাফল অর্জন করেছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃবাংলাদেশের শীর্ষ ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা এবারের আলিম পরীক্ষায় সর্বোত্তম ফলাফল অর্জন করেছে।। এবারের ২০২৩ সালের আলিম পরীক্ষায় সর্বমোট ২২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ২২১ জন উত্তীর্ণ হয়। সাধারণ বিভাগ থেকে ১৩১ জন অংশ নিয়ে ১২৮ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এবং তাদের মধ্যে ৫০ জন A+, ৫৩ জন A,২০ জন A- ,এবং ৫ জন B গ্রেড প্রাপ্ত হয়। এছাড়াও বিঞ্জান বিভাগের ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৮০ জন A+, ১৩ জন A গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে শতভাগ পাস করেছে। এবারের আলিম পরীক্ষায় তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় সর্বমোট পাশের হার ৯৮.৬৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৬২.০৯ শতাংশ। সাধারণ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৩৮.১৬ শতাংশ এবং বিঞ্জান বিভাগের জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৮৬.০২ শতাংশ।

তা‘মীরুল মিল্লাত ট্রাস্ট পরিচালিত তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি দেশের সকল মাদ্রাসার মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ফলাফল অর্জন করায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের চিঠি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। গত বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বুধবার (৮ নভেম্বর) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পাঠান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। চিঠিতে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়ার বিষয়টি ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও দ্বন্দ্ব নিরসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে।’

এএফপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের পাঠানো এ চিঠিটি দেখেছে তারা। এতে তিনি লিখেছেন, আমি তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই; যাতে তিনি দেশের বাইরে জরুরি ও বিশেষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।’

এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদেশে উন্নত চিকিৎসা না পেলে যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারেন।

এছাড়া ৭৮ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০২০ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এএফপি আরও বলেছে, খালেদা জিয়া বর্তমানে লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন চিকিৎসক বাংলাদেশে এসে তার একটি ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করেন। তবে তার পরিবার চাইছে জার্মানিতে নিয়ে তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নিয়মিত আন্দোলন করছে। এই মুহূর্তে যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় তাহলে দেশে বড় ধরনের আন্দোলন বা বিক্ষোভ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩