মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:রোগীসহ হাসপাতালে আসা জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি ও পরিবেশ দুষণের অভিযোগে গত কয়েক মাস আগে রৌমারী টু ঢাকা সড়কের উপজেলা সদর হাসপাতালের সামনে ফূটপাত দখল করে গড়ে উঠা প্রায় ১৫/২০ টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান। তবে উচ্ছেদ অভিযানের ৩ মাস যেতে না যেতেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে আবারও ফুটপাত দখল করে দোকানপাট নির্মান করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে চলছে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। রৌমারী খাদ্য গুদামের বাউন্ডারী থেকে সদর বিজিবি মোড় পর্যন্ত হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল লাগোয়া ৪ প্রস্তের ফুটপাতে বিভিন্ন চায়ের দোকানদারদের দখলে। চায়ের দোকানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে। ফুটপাত না থাকায় দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি। রোগীসহ হাসপাতালে আসা জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও হাসপাতালের পরিবেশ দুষণে পরিনত। এমন অভিযোগ ও উপজেলা মাসিক সভায় উত্থাপন এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেড নাহিদ হাসান খানের নেতৃত্বে পঃ পঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জানের উপস্থিতিতে গত প্রায় ৩ মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দোকান ঘর গুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। ৩ মাস যেতে না যেতেই কর্তৃপক্ষ ও কিছু কুচক্র মহলের যোগসাজসে আবারও অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মান করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে হাসপাতালে অসুস্থ্য রোগীদের সাথে আসা সোহরাব হোসেন, কাজিম উদ্দিন, শেফালী খাতুন, জহর আলী, মাহমুদা বেগমসহ অনেকেই কষ্টের সাথে বলেন, আমরা দুরদুরান্ত থেকে খুব কষ্টে হাসপাতালে আসি সেবা নিতে। হাসপাতালে প্রবেশের ফুটপাতে দোকানপাত থাকায় চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে দেখে ছিলাম দোকান গুলো ছিল না। বেশ সুন্দর একটা পরিবেশ ছিল। চলাচলে কোন সমস্যা ছিল না। আবারও দোকান পাট করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতর মসজিদে যাতায়াত মুসুল্লি নওয়াব আলী, শাজহান খন্দকার, কফিল উদ্দিন, আনছার আলীসহ অনেকেই জানান, হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে দোকানপাট নির্মানের কারনে হাসপাতালের পরিবেশের ক্ষতি। অন্যদিকে নামাজের সময় যাতায়াতসহ মসজিদের মুসুল্লিদের সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, দোকান গুলির কারনে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়েছিল। অন্যদিকে রোগীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবারও দোকান পাট নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসপাতালের ভেতরে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেমদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য খরচের বিষয়ে মসজিদ কমিটিদের সাথে পরামর্শ ও নবনির্বাচিত এমপির সাথে কথা বলে এবং এমপির প্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলামের মাধ্যমে আবারও দোকান গুলি উত্তোলন করা হয়েছে।
পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট ও চেয়ারম্যানের অফিস কার্যালয় নির্মান করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, দোকানপাট উচ্ছেদের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।