Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার একটি বড় অংশ: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৩১জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার একটি বড় অংশ। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা প্রয়োজন। খেলাধুলা জীবন গঠনে ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টিতে সাহায্য করে। তিনি ২ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে খুলনার দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এই সরকারের আমলে কওমী মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতি পেয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হয়েছে। স্কুল কলেজের পাশাপাশি সকল মাদ্রাসাতেও কম্পিউটার শিক্ষার জন্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গীরব অসহায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য উপবৃত্তি চালু করেছে। শিক্ষার মানউন্নয়নে ভালো পরিবেশ প্রয়োজন। এজন্য দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ম্যাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক খোঃ রুহুল আমীন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান ও বিজেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান শরীফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ইয়াহ ইয়া মোল্লা। অনুষ্ঠানে কেসিসি’র ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আব্দুস সালাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, মহেশ^রপাশা শহিদ জিয়া কলেজের সভাপতি কাজী নাসিবুল হাসান সান্নু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ দাউদ হায়দার, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ রুহুল আমীন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আছিফুর রশীদ আছিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারিত দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় এককোটি ৭২ লাখ টাকা।

আরও খবর



কালিয়াকৈরে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও শিরনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গ্রীষ্মের গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গাছ-পালা কাটা ও বন উজার করায় বাতাসের গতিও কম। প্রচন্ড গরমে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচও। এমন অবস্থায় এক পশলা বৃষ্টির আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার বিশেষ নামাজ আদায় ও শিরনী করেছেন এলাকাবাসী। তবে আরো দুদিন সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,সারা দেশের মতো গাজীপুরের কালিয়াকৈরেও বেশ কিছুদিন ধরে তাপদাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রীষ্মের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গাছ-পালা কাটা ও বন উজার করায় বাতাসের গতিও কম।

এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছেন পশুপাখিরাও। প্রচন্ড গরমে গলে যাচ্ছে উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কের পিচ। সড়কের পিচে আটকে যাচ্ছে জুতার শোল ও পিচ লেগে যাচ্ছে গাড়ির চাকাতেও। এ উপজেলার কোথাও বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টো প্রতিদিন তাপমাত্রা যেন বাড়ছেই। এমন অবস্থায় এক পশলা বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ আদায় করছেন বিভিন্ন জেলার মানুষ। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মৌচাক কারল সুরিচালা এলাকায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এ বিশেষ নামাজ আদায় শেষে দোয়া করা হয়। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি চাল তোলে বৃষ্টির জন্য শিরনীও করা হচ্ছে। তবে কারুল সুরিচালা এলাকায় আরো দুদিন সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কারুল সুরিচালা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আলহাজ আব্দুল আওয়াল বলেন, বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের পাপের জন্য তওবা এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেছি। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্রিত হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি। তিনি আরো বলেন, সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ পর পর তিন দিন আদায় করতে হয়। তাই স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে আগামী দুদিন একই স্থানে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



ট্রেনের ভাড়া মে থেকেই বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে সব রকমের ট্রেনের ভাড়া।রেয়াদ সুবিধা প্রত্যাহার করায় এই ভাড়া বাড়ানো হবে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে কত টাকা বাড়ানো হচ্ছে তা এখনও জানানো হয়নি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। ৪০০ কি‌লো‌মিটা‌রের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত পান। দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক এই রেয়াত সুবিধা আর থাকছে না এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জা‌নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ।


আরও খবর



কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন,আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাই আমদানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই।

আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।

তিনি বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে।

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ বিশেষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কোরবানির আগে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।


আরও খবর



শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।


আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর