Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কর না দিলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৩৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আয়কর দেন না, এমন কেউ অংশ নিতে পারবেন না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সাথে আয়কর রিটার্নের সত্যায়িত কপি ও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে প্রার্থীকে।

বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ করা সহজ হবে।

এতদিন প্রার্থী হতে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে যিনি কর দিতেন, তার আয়কর রিটার্ন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে। গত জুলাইয়ে আরপিও সংশোধন করে জাতীয় সংসদ। এ সংক্রান্ত ধারায় আনা হয়েছে পরিবর্তন।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী জানান, এখন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীকে আয়কর রিটার্নের সত্যায়িত কপি ও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে। যা নির্বাচন কমিশন অন্য দলিলের সঙ্গে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন বিধান প্রার্থীদের কর প্রদানে বাধ্য করবে। নির্বাচনি ব্যয়ের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পদ যেমন মিলিয়ে দেখা যাবে।

২০০৮ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের আট ধরনের তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ও প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়।

তবে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এসব তথ্য তেমন যাচাই-বাছাই করা হয় না। ফলে অনেকেই অসত্য তথ্য দেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মতে, শুধু তথ্য নিলেই হবে না, প্রকাশও করতে হবে। একই সাথে নির্বাচন কমিশন ও আয়কর বিভাগকে তা নীরিক্ষা করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ হলে নির্বাচিতদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রবণতা কমে আসবে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহারও কমবে।

তবে কর খেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বিধিনিষেধ নেই সংশোধিত আরপিওতে। যদিও ঋণ খেলাপিদের বেলায় নিয়ম উল্টো।


আরও খবর



কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বালু ডাঙ্গা জুয়া ও নেষা মুক্ত করার ঘোষণা দিলেন শান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০৭জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:দশদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে নওগাঁ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন শান্ত এ সময় তাকে বালুডাঙ্গা চকগোবিন্দ এলাকাবাসী স্বাগত জানান। এর আগে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোশাররফ হোসেন শান্ত কে দেওয়া  আদালতের জামিনের কাগজপত্র নওগাঁ কারাগারে পৌঁছায়। 

জামিনে মুক্তি খবর পেয়ে ৫শতাধিক এলাকাবাসী জেল গেটের সামনে ফুলের মালা হাতে অপেক্ষায় থাকে মোশাররফ হোসেন শান্ত'র জন্য এ সময় তারা বলেন, শান্ত আমাদের গ্রামের ভালো ছেলে সে আমাদের জন্য সব সময় কাজ করে বিনিময় ছাড়া। বালু ডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ছোট বড় অনেক জুয়ার বোর্ড (ক্যাসিনো) বসে। শান্ত প্রথম থেকেই এ সব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাই এ-ই অবৈধ ব্যাবসার সাথে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন ও ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়িত হুমকি ধামকি দিত তার হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে যখন বালুডাঙ্গা এলাকা থেকে জুয়ার বোর্ড ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলে তখন মিথ্যা হয়রানি মূলক শান্ত সহ আরো ১০/১২ জনের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

মৌসুমি আক্তার (ছদ্মনাম) বলেন, শান্ত ভাইয়া পরোউপকারী একজন মানুষ তাকে বিপদে আপদে পাশে পাই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই এলাকার মাস্তান সাজ্জাদ হোসেন আমরা তার বিচার চাই কেন এক জন ভালো মানুষকে হয়রানি করবে।

মোশাররফ হোসেন শান্ত বলেন, সাজ্জাদ বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তো হতো দোকানীদের। সাজ্জাদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না। আমি বাধাঁ দিতে গেলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং বলে আমি যেন এ সবের ভিতর না জড়াই। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি বা ভবিষ্যতে দিবো না তাই আমি প্রতিবাদ করলে গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়া সহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ছেলে হৃদয়ের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়, আমার দোকান ঘর ভাংচু করে। আমি তার হামলা প্রতিহত করার জন্য রাস্তায় বের হলে তারা পালিয়ে যায় ওরা আমার নামে মিথ্যা হয়রানি, মূলক মামলা করে আমাকে জেল খাটায়। আজকে আমি আবারও কথা দিচ্ছি এলাকাবাসীকে বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় কোন মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ কাউকে করতে দিব না। সে যত বড়ই মাস্তান হোক না কেন এই বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড চকগোবিন্দ এলাকা হবে মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজ মুক্ত। 

উল্লেখ্য, গত (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের দিনে বাসস্টান্ডে শান্ত ও সাজ্জাদ হোসেন এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকে  কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন পরের দিন চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলা করে সেই মামলায় শান্ত সহ তিন জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরন করেন পুলিশ।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে তীব্র তাপদাহের মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে।আজ শনিবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। 

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টারা মাগুরা থেকে:মাগুরায় ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ বা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করে মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক (এমজেএন)। সংগঠনের সদস্য সচিব রূপক আইচের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ। ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক কাজী আশিক রহমান। সাংবাদিকদের পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেন  মাগুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, শরিফ তেহরান টুটুল, , শেখ ইলিয়াস মিথুন, মাগুরা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সাঈদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা সভাপতি এটিএম আনিসুর রহমান,  আইনজীবী শাহেদ হাসান টগর, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি এ বি এম আসাদুর রহমান,  পরিবেশ অধিকার কর্মী আবু ইমাম বাকেসহ সুধি সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন মফস্বলে কাজ করা সংবাদকর্মীরা। তাঁদেরকে স্থানীয় ক্ষমতাধর নানা শক্তির মোকাবেলা করতে হয়।  বিদ্যমান এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা মেনে কাজ করার উপর জোর দেন বক্তারা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করে এমন আইন বাতিলের দাবি তোলেন বক্তারা।

আরও খবর



অর্থের অভাবে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:টাকার অভাবে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি মোসলেমা আক্তার। এবার বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা শাখার এক দায়িত্বশীলকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি জানান মোসলেমা। তখন নগদ অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

আজ রবিবার (৫ মে) বেলা ১১ টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর শাখার সদস্যরা।এসময় সেখানে হিলিবার্তার প্রতিবেদক মোস্তাকিন হোসেন,বসুন্ধরা শুভসংঘ হাকিমপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুনিরা আক্তার,কোষাধ্যক্ষ সুমি আক্তার ও কর্ম ও পরিকল্পনার মৌ আক্তার।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলেন,আমার বাবা পানামা পোর্টে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে পোর্টে তেমন কাজ নেই। সারা দিনে কাজ করে যে টাকা পান,তাতে আমাদের সংসার ঠিকমতো চালাতে কষ্ট হয়।

তাই আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকাও বাবা দিতে পারছিলেন না। আমি অনেকের কাছে ধার হিসাবে টাকা চাইলেও কোথাও পাইনি।এমনকি একজন জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরদিন কলেজে যেতে বলেন। আজ রোববার কলেজে গেলে তারা আমার হাতে ফরম পূরণের টাকা তুলে দেন। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,এত অল্প সময়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে না থাকলে এবারও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এই কামনা করি। 

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন,আমি একজন দিনমজুর মানুষ। সারাদিন পোর্টে কাজ করি। এতে যে টাকা পাই তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়।আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মোসলেমা আমার ছোট মেয়ে। তার  পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। আজ আপনারা আমার মেয়ের পাশে এভাবে দাঁড়াবেন তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি,মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। আপনারা যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের হাকিমপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খাজিতা ইয়াসমিন বলেন,একটি কল রিসিভ করতেই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কল করা মোসলেমাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল,আপনারা তো শুভসংঘ করেন। আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দিন এনে দিনে খাই। তাই গেল বছর টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি।এবারও টাকার জন্য করতে পারছি না। শুভসংঘ থেকে সহযোগিতা পেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারব। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরপর বিষয়টি আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ও সাংবাদিক মোস্তাকিন ভাইকে বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন। আর রাসেল ভাই রাতেই টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সেই টাকা মোসলেমার হাতে তুলে দিই।


আরও খবর



জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন:স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সূচনা হয় প্রায় ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৯ দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে তখন হাতেগোনা কজন বাংলাদেশি অভিবাসী  বসবাস করতেন। ধীরে ধীরে কমিউনিটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন দেশটিতে। ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নির্ভর দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার বাঙালি অদিবাসী। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে। বাবারা অধিকাংশ কল-কারখানা, রেস্তোরাঁ বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। মায়েদের বড় অংশ ঘর-গৃহস্থলির কাজ করেন। কেউ কেউ চাকরিও করেন।

অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম জেনারেশন বা ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পূর্ণ যৌবনে পা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মজীবন শুরু করেছে। অনেকেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে সংসারও পেতেছে । কিন্তু ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ লেখাপড়া শেষ করেনি বা করতে পারেনি। বেশিরভাগই প্রাথমিক এবং 'ও' লেভেল থেকেই তারা ঝরে পড়েছে। সংসারের হাল ধরেছে। পরিবার তথা বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কর্মজীবনে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাদের একজন জুমা আক্তার কালাম। স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক।

রবিবার মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হসপিটালে যোগদান করে চিকিৎসা পেশা শুরু করেছেন। যেখানে অধিকাংস অভিবাসীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কর্মজীবন শুরু করে ঝরে পড়ছেন ছেলেমেয়েরা। সেখানে জুমা আক্তার মেধা তালিকায় উক্তীর্ণ  হয়ে চিকিৎসা পেশা শুরু করায়  বাবা-মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন ও অভিবাসীদের মধ্যে বইছে এখন খুশির ঝিলিক। ইউরোপে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে   দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসটিতে প্রথম বাঙালী নারী চিকিৎসক হওয়ায় প্রবাসীরা ও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। জুমা এখন প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

জুমা আক্তার ১৯৯৯ মাদ্রিদের ১৬ জানুয়ারী মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার  আবুল কালাম সেলিম। তিনি মাদ্রিদে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার আদিনিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তিনি (জুমা আক্তার) স্থানীয় স্কুলে পড়া -লেখা শেষ করে মেডিসিন বিষয় নিয়ে ভর্তি হন উনিভারসিদাদ অটোনোমো মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির এই যোগে মূলতঃ মেডিসিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতি আগ্রহ থেকেই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত যেই হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসক হওয়ার মাধ্যমে।

বাবা-মা, বড় বোন আর ছোট ১ বোনকে নিয়ে মাদ্রিদে বসবাস করেন জুমা আক্তার। তার বড় বোন সুমা নাহিদা আক্তার স্থাপত্য ও নগরায়ন নিয়ে উনিভার্সিটি অফ আর্কিটেচার আলকালা দে হেনারেসে অধ্যনরত রয়েছেন। ছোট বোন জান্নাত আক্তার লন্ডন কিং লো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

জুমা আক্তার বলেন,  'ছেলে-মেয়েদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার উৎসাহ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গুজব কিংবা অপ্রপচারবে কর্ণপাত না করে অর্থিক ও মানসিকভাবে ছেলে-মেয়েকে সহযোগিতা করতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও চেষ্টা, সাধনা থাকা প্রয়োজন।''অভিবাসী বাবা-মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। লেখাপড়া করে তাদের ও কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

এই সাফল্যে কমিউনিটর মধ্য়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তিনি আপ্লোত উল্লেখ করে বলেন, আমি ফুল টাইম চিকিসা সেবার পাশাপাশি আরো বেশি লেখাপড়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে চিকিসা বিষয়ে একজন প্রফেসার হতে চান বলেন তিনি।

জুমা বলেন, 'আমি জন্মসূত্রে স্প্যানিশ হলে বাবা মার সাহায্যে বাংলা ভাষার (কঠিন শব্দ ব্যাতিত) কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে গভীর আগ্রহ । আমি বাংলা এবং স্প্যানিশ উভয় সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। তাদের সেবা করে যেতে চাই।'

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন সভ্যতার চিত্রকর্ম ও সাহিত্য,রৌদ্রোজ্জ্বল জলবায়ু, সমুদ্রসৈকত এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর জন্য পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ এই দেশে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন জুমা আক্তারই প্রথম।জুমারব এই সাফল্যে তাঁর পিতা আবুল কালাম সেলিম বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠন আসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহীসহ কমিউনিটির তার কর্মস্থল মনক্লোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তার সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা স্পেনে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।


আরও খবর