নিজস্ব প্রতিবেদক:আয়কর দেন না, এমন কেউ অংশ নিতে পারবেন না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সাথে আয়কর রিটার্নের সত্যায়িত কপি ও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে প্রার্থীকে।
বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ করা সহজ হবে।
এতদিন প্রার্থী হতে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে যিনি কর দিতেন, তার আয়কর রিটার্ন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে। গত জুলাইয়ে আরপিও সংশোধন করে জাতীয় সংসদ। এ সংক্রান্ত ধারায় আনা হয়েছে পরিবর্তন।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী জানান, এখন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীকে আয়কর রিটার্নের সত্যায়িত কপি ও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে। যা নির্বাচন কমিশন অন্য দলিলের সঙ্গে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন বিধান প্রার্থীদের কর প্রদানে বাধ্য করবে। নির্বাচনি ব্যয়ের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পদ যেমন মিলিয়ে দেখা যাবে।
২০০৮ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের আট ধরনের তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ও প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়।
তবে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এসব তথ্য তেমন যাচাই-বাছাই করা হয় না। ফলে অনেকেই অসত্য তথ্য দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মতে, শুধু তথ্য নিলেই হবে না, প্রকাশও করতে হবে। একই সাথে নির্বাচন কমিশন ও আয়কর বিভাগকে তা নীরিক্ষা করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ হলে নির্বাচিতদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রবণতা কমে আসবে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহারও কমবে।
তবে কর খেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বিধিনিষেধ নেই সংশোধিত আরপিওতে। যদিও ঋণ খেলাপিদের বেলায় নিয়ম উল্টো।