Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

কোনো দলের ব্যাপারে ‘হস্তক্ষেপ’ নয়, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় দেশটি। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এর মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য মার্কিন ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপের যে নীতিগ্রহণ করা হয়েছে, সেটাকে সরকার স্বাগত জানানোয় যুক্তরাষ্ট্র খুশি। সে কারণে আগামী দিনে সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে উন্মুখ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক দলের কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয়, সে বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। যেটা বলব, তা হচ্ছে– যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সমর্থন করে। এ কারণেই আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

 

ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘গতকাল মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা আমরা দিয়েছি সেটাকে সরকার স্বাগত জানানোয় আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। গণতন্ত্রকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে স্থায়ী উপায় বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর গত বুধবার জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক ও বিএনপির সাবেক সদস্য মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ‘অসাংবিধানিক পন্থায় সংবিধান সংশোধন করে’ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করেছে। সুশীল সমাজসহ সব রাজনৈতিক দল এই ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আহ্বান জানাবে কি না।

জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তার এই প্রতিশ্রুতিকে উল্লেখ করে বলতে চাই, আজ যে বিধিনিষেধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াগুলোকে বাস্তবায়ন করারই অংশ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমি শেষ যে কথাটা বলবো তা হলো- যেসকল বিষয়গুলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকারকে খর্ব করেছে সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়ে দিয়েছি।

নতুন ভিসানীতি নিয়ে করা এক জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সিগন্যাল যে আমরা কেবল অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে সমর্থন করবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন এ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন।

এতে বলা হয়েছে- ‘আজ, আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ)(৩)(সি)(থ্রিসি) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ের রাতে জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘মোখা’

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোলে জন্ম নেওয়া নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘মোখা’। শিশুটির পুরো নাম মোকাম্মেল হোসেন মোখা।

মোখার বাবা-মা হলেন, পেকুয়া উপজেলার রাজখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বামুলা পাড়ার মো. আরকান ও জয়নব বেগম।

গতকাল শনিবার রাতে পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে ওই নারী (অন্তঃসত্ত্বা) প্রসব বেদনায় কাতরাতে শুরু করেন। পরে আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে গাড়ি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার স্বামী আরকান। কিন্তু মধ্যরাতে তিনি কোনো গাড়ি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর আশ্রয়কেন্দ্রটির পর্যবেক্ষণে থাকা পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর হায়দার নিজের সরকারি গাড়িতে করে জয়নব বেগমকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই দুর্যোগের মধ্যেই পৃথিবীর আলো দেখে ছোট্ট শিশু মোখা।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। এসময় একটি খবর আসে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। পরে আমাদের গাড়িতে করে তকে সুস্থভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপর সেখানেই শিশুটির জন্ম হয়। আমাদের উপস্থিতিতে শিশুটির পরিবার মোকাম্মেল হোসেন মোখা নামকরণ করে।’


আরও খবর



তানোরে বাড়ি নির্মানে সরকারী তালগাছের মাথা কর্তন!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তন ও বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য রাজশাহীর তানোরে পাকা বাড়ি নির্মানের জন্য তাল গাছের মাথা গিলে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছেন ওয়ালটন শোরুমের মালিক শহিদুল ইসলাম নান্টু বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার পৌর সীমানার পশ্চিমে ও রাস্তার দক্ষিণে তালগাছের মাথা কাটার ঘটনা ঘটে রয়েছে। এঘটনায় বৃক্ষ প্রেমী ও পরিবেশ বিদরা গাছ কাটা ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তুলেছেন। নচেৎ  তার দেখাদেখি  আরো অনেকেই অনায়াসে কাটবে গাছে। 

জানা গেছে, তানোর টু মুন্ডমালা রাস্তার পৌর সীমানা পার হয়ে মুল রাস্তার দক্ষিণে পাকা বাড়ি নির্মান করছেন থানা মোড়ের ওয়ালটন শোরুমের মালিক শহিদুল ইসালাম নান্টু। বাড়ি নির্মানের জন্য সরকারি নয়নজলি ভরাট করেছেন এবং  বিএমডিএর রোপনকৃত তালগাছের মাথা কেটে ন্যাড়া করা হয়েছে। শুধু তাই না গাছে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। বাড়ি করার জন্য গাছ কেন মেরে ফেলবে এটা অমানুবিক কাজ মনে করেন পরিবেশ বিদরা।

শহিদুল ইসলাম নান্টু বলেন, বাড়ি আমার শ্বশুর করে দিচ্ছে। তালগাছ দুটি অন্যরা নষ্ট করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে থানা মোড়ে ব্যবসা করছি। উড়ে এসে বসিনি। গাছ নিয়ে আমার কিছু হলে আমিও দেখব। আপনি কি গাছের সমস্যার জন্য বিএমডিএকে অবহিত করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সামান্য দুটি গাছ কেন অবহিত করতে হবে বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ ভাবে তালগাছ রয়েছে। যে গুলোতে তালের শাস রয়েছে সেগুলো থেকে তাল শাস নামিয়ে প্রচন্ড গরমের কারনে শাসের পানি খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছেন পথচারিরা। কিন্তু সারিবদ্ধ গাছের মাঝে দুটির মাথা কর্তন করে প্রচুর ক্ষতি করা হয়েছে। যিনিই করেছেন তার চরম সাজা হওয়া দরকার মনে করেন পথচারিরা। কারন তালগাছ বিএমডিএর প্রকল্পের গাছ। 

বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনভাবেই গাছ কাটা যাবে না। কারো সমস্যা হলে অফিসে আবেদন করতে হবে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে নিলামে কর্তন করা হবে। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা।  সে যতই প্রভাবশালী হোক কোন ছাড় না।

আরও খবর



আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: শ্বশুরকে ভয় দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল আহমেদ হৃদয় বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু ।

রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।


আরও খবর



নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:নবীনগর একটি বৃহৎ উপজেলা, এখানে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে এবং সামনে আরো বাড়বে। কেণনা, হাতের নাগালে মানুষ কম খরচে উন্নত চিকিৎসা পেলে দূরে যেতে চাইবে না। তাই আগামী ৬ মাসের মধ্যেই নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট করার ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য মোঃ এবাদুল করিম বুলবুল। শনিবার সকালে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনিমির্ত নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোঃ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, সারা দেশের মধ্যে পরপর কয়েকবার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান। তিনি বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে ভোট চাইতে গেলে এক বৃদ্ধা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল ভোট শেষে এলাকায় থাকবাতো বাবা, আমি তখনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম আমাকে সবসময় কাছে পাবেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় অনন্ত সপ্তাহে দুই দিন হলেও এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখে অংশীদার হই, অন্যদের মত ভোটে জিতে বিদেশ চলে যাইনি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বানাতে চাচ্ছেন। তাই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পূর্ণরায় শেখ হাসিনা সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে আহব্বান জানান তিনি।

নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরি সাহান, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নাছির উদ্দিন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আরো বহু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নবনিমির্ত নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে সাংসদ মোঃ এবাদুল করিম বুলবুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনিমির্ত নতুন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি রাস্তার দুপাশের মানুষদের বেশ নজড় কাড়ে।

উল্লেখ্য, নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ৩১ জন ডাক্তার ও ২৭ জন নার্স নিয়ে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবায় নতুন করে যোগ করা হয়েছে মহিলাদের মাতৃত্বকালীন সিজার, চক্ষু সেবা দিতে কমিনিউটি ভিশন সেন্টার, যক্ষা রোগের কফ পরিক্ষা সেন্টার, মায়ের গর্ভে ভ্রূণের ঠিকমতো বেড়ে ওঠার ব্যাপারটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, হৃদরোগের জন্য কার্ডিওলজি বিভাগ, শিশু চিকিৎসার জন্য শিশু বিভাগ, সাধারন রোগীদের জন্য মেডিসিন বিভাগ ও অত্যাধুনিক জরুরি বিভাগ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৯ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি ২০১৪ সালে উদ্বোধন হলেও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি ছিল জরাজীর্ণ। এতে করে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ডাক্তার ও নার্সেরা। এছাড়া পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ভবন ঝুঁকিতে থাকায় বেশির ভাগ রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এসব জটিলতা নিরসনে স্থানীয় সাংসদ মোঃ এবাদুল করিম বুলবুল ২০১৯ সালে ৩১ শয্যার ৩তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে ঐ বছরের শেষের দিকে সরকারি ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে তা শেষ হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | ৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ রিট আবেদন করেন। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়। জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।

ওইদিন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি হাইকোর্টে যাব। আমার এই বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্টে স্টে ছিল, তারা এই স্টেটা আমলে নেয় নাই। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। এখন আমি সর্বোচ্চ আদালতে যাব। আগামী রোববার আমি হাইকোর্টে যাব।

গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।


আরও খবর