Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কমতেই আছে ধানের দাম লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার ২ কেজি করে ঢলন, মনে ৭ টাকা করে খাজনা আদায়। এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব।উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর ২ বিঘা নিজের। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে। এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ। আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে। উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয়।একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না। ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা। আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় ২ মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার ও রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে। কিন্তু চালের বাজর কমেনি।কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন। সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না। চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি। আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি। এক বস্তায় ২ মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ও ২০০ টাকা করে কমে গেল। কোন কারন ছাড়ায় মিলার ও আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম। কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত। কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব। কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয়। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন। যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে। তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা ও নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে। আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি।

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে। ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে। আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা। এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে। কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে। সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয়। আর মটরে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই।সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ।

আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




থানার ভিতরেই নষ্ট হচ্ছে ৩ কোটি টাকা মুল্যের মোটরসাইকেল, কারও মাইক্রোবাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় শতাধিক দামি মোটরসাইকেল পড়ে আছে সৈয়দপুর থানার খোলা আকাশের নিচে। শুধু মোটরসাইকেল নয়, পাশেই রয়েছে জরাজীর্ণ মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার, সহ অন্যান্য যানবাহন। নিত্যদিনের রোদ, বৃষ্টি,আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে গেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকায় অধিকাংশ যানবাহন অকেজো হয়ে গেছে।এ যানবাহনগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধে জব্দ করা মামলার আলামত। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এগুলো। আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না এসব।  অন্যদিকে আইনি জটিলতার কারণে নিলাম না হওয়ার কারনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জব্দ করা প্রায় শতাধিক যানবাহন। সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন খোলা স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। 

থানার কর্মকর্তাদের দাবি, জব্দ করা যানবাহন রাখার জন্য আলাদা  নির্দিষ্ট কোন গ্যারেজ নেই। গ্যারেজ থাকলে জব্দ করা যানবাহন গুলো নষ্ট হতো না। সরকারের কোষাগারে জমা হতো পর্যাপ্ত রাজস্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর থানায় জব্দকরা যানবাহনগুলো একই স্থানে পড়ে আছে বছরের পর বছর। ১০/১২ বছর আগে আটক করা গাড়িও আছে সেখানে। যার অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলোর ভেতরে, বাইরে ধুলা, ময়লা জমে যন্ত্রাংশ ক্ষয়ে খসে পড়ছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, জব্দ করা মোটরসাইকেলের সংখ্যা  প্রায় শতাধিক। এ ছাড়া ৩ টি প্রাইভেটকার ১ টি মাক্রোবাস সহ অন্যান্য যানবাহন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বিভিন্ন অপরাধে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় সঠিক মালিকের কাছেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন বলে তিনিও মনে করেন। কিন্তু গ্যারেজের মত সেড না থাকায় সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘দৈনিক অথবা মাসে যে পরিমাণ গাড়ি আমাদের এখানে জমা হচ্ছে, সে অনুসারে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আইনি জটিলতার ফলে জব্দ হওয়া বাহনের সংখ্যা বাড়ছে। অল্প জায়গায় অধিক যানবাহন রাখার কারণে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। জায়গা না থাকায় এগুলোকে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন গাড়ি রাখার ভালো কোন জায়গা না থাকায় অনেক সময় অনলাইনের মাধ্যমে জরিমানা করে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়। ভালো জায়গা থাকলে ও কাগজ পত্র বিহীন গাড়ির দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হলে, খোলা আকাশের নিচে যানবাহন নষ্ট হতো না এবং সরকারও পেতো রাজস্ব। 


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




নাসিরনগরে ভুয়া বি এড সনদে চাকুরীর বিরোদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২১১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ভুয়া বি,এড সনদ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরোদ্ধে।ওই শিক্ষকের নাম  মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ । তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় শাহাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত  প্রধান শিক্ষক।প্রায় এক যুগ ধরে তার নিয়োগের বৈধতা ও জাল সনদে চাকুরী নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অত্র  বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে। এ ঘটনায় শেখ শরিফ হাসান নয়ন নামে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর  অভিভাবক মোস্তাক উদ্দিনের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন।


শরিফ হাসানের রিট আবেদনে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের বিএড সনদের বৈধতা ও আগের প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালত তাঁর আবেদনটি আমলে নিয়ে গত মাসের ২১ তারিখ চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের প্রতি রুল জারি করেছেন।অভিযোগে বলা হয়, হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ফরিদউদ্দিনের ছেলে মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে ' বিএড ডিগ্রির জাল সনদ দিয়ে হরিণবেড় শাহজান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।


শর্তে ছিল, ওই পদের জন্য আবেদন করতে হলে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড সনদ থাকতে হবে। কিন্তু মোস্তাক উদ্দিন তা না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান থেকে একটি ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেয়। নিয়োগের সময় তিনি তাঁর আগের প্রতিষ্ঠান হরিপুর মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্রও নেননি।বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন  সভাপতি খালেদ মোবারক বলেন, ওই শিক্ষকের নিয়োগটি তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়েই হয়। কিন্তু তাঁর বিএড সনদটি যে অবৈধ এবং ছাড়পত্র না নিয়ে যে নিয়োগ পেয়েছেন তা প্রমাণ হয়েছে ২০১৭ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিটের পর।


হরিপুর সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সময় মোস্তাক উদ্দিন তাদের মাদ্রাসা থেকে কোনো ছাড়পত্র নেননি। এখনও মাদ্রাসার ওই পদে তিনি পূনর্বহাল রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিরিন চৌধুরী  বলেন,বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে,সেখানেই নিষ্পত্তি হোক।


এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ কে মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহার উদ্দিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি আপনারা যেমন শুনেছে আমিও তেমনি শুনেছি।তিনি আরো বলেন,বিষয়টি শুনেছি আদালতে রিট হয়েছে।তবে আদালতের উপরতো কোন কমেন্টস করা যাবে না।বর্তমানে অফিস বন্ধ।অফিস খোলার পর খোঁজ নিয়ে দেখবো।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরমে বাড়ছে শিশুরোগী হাসপাতালে শয্যা সংকট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ৩ দিনে প্রায় ৮০০ শিশুরোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১ বছরের শিশু মেসবান  ৩/৪ দিনের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডাইরিয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির মা আমেনা বেগম বলেন কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর।এরপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত। বেবি নামের অপর এক নারী বলেন, তাঁর ৬ বছরের শিশু আরমান হোসেন, গত তিন দিনের গরমে ১০২ ডিগ্রি জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালের ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয়ের চিকিৎসায় জ্বরের সাথে সাথে ডাইরিয়াটাও কমেছে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের অধিকাংশ শিশুই মেসবানের মত অবস্থা।হাসপাতালের সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪০০/৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই হলো শিশু।  গড়ে প্রতিদিন ৭০/৮০ শিশু রোগী জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্তে ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে। গত ৩/৪ দিন থেকে ৪০/৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় অসুস্থ হওয়া শিশুদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাবা মায়েরা ছুটছেন হাসপাতালে। কিন্তু শয্যা সংকটের কারনে কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার অনেকেই শিশুকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।  

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আফরোজা সিমু জানান,গত বছরের তুলনায় এবছর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া রোগীর চাপ বেড়েছে।  তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০%। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিলেও শয্যা সংকটের কারনে সব রোগী ভর্তি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়লে হিট ষ্ট্রোক হতে পারে। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীর থেকে পনি শুন্যতা রক্ষায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর মুখ ও ঘাড় ভিজিয়ে নিতে হবে। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন,গত বছরের তুলনায় বর্তমানে যেভাবে গরম পড়েছে, তাতে শিশুদের অবস্থা কাহিল। তীব্র গরমে শিশুদের প্রথমে জ্বর, এরপর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক শিশু ডাইরিয়ার সাথে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবার ব্যাবস্হা রয়েছে।  শয্যা সংকট হলেও ঔষধ সংকট নেই। তবে প্রতিটি বাবা - মাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এরপরেও যদি শিশুর জ্বর, কাশি,ডাইরিয়া ও শাসকষ্ট হতে দেখা যায়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




হিলিতে সেমাই কারখানায় অভিযান, ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে পৃথক দুটি সেমাই তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে দুই কারখানার মালিককে ৮৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন আদালত।

শনিবার বিকেলে হাকিমপুর উপজেলার খাট্টামাধবপুর ইউনিয়নের ডাংঙ্গাপাড়ার রিমা ফুড কারখানায় অভিযান চালায় আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন।

অভিযানে লাইসেন্স না থাকায়,লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করায় উপজেলার ডাংঙ্গাপাড়ার মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে ও রিমা ফুড কারখানার মালিক আব্দুর রাজ্জাককে ৫০ হাজার টাকা এবং রমজান আলীর ছেলে ও আকাশ মারুফ ফুড কারখানার মালিক হবিবর রহমান ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় বলেন,ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর একাধিক ধারার অপরাধ করায় দুটি সেমাই তৈরির কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে।


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না, বলেছেন মিয়ানমার ইস্যুতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে।

সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়” এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


আরও খবর