হন্যে হয়ে একটি ক্লাব খুঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সেটি অবশ্যই রিয়াল মাদ্রিদ নয়। তবে, তিনি যেভাবেই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে চান। সে সঙ্গে ৬ষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাটাও জয় করতে চান তিনি। শুধু তাই নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের গোল (মেসির চেয়ে ১৫ গোল এগিয়ে রোনালদো) এবং ম্যাচের (ক্যাসিয়াসের চেয়ে ৬ ম্যাচ এবং মেসির চেয়ে ২৭ ম্যাচ বেশি) রেকর্ডটাও বাড়িয়ে নিতে চান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিনি যদি খেলতে নাও পারেন এই মৌসুমে, আশা করা যায় রোনালদোকে আপাতত এই মৌসুমে কেউ পেছনে ফেলতে পারবে না।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩৮ বছরে পা দেবেন সিআর সেভেন। ক্যারিয়ারে অনেক ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছেন। কিন্তু খুব সম্ভবত ২০২১ সালে জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যানইউতে চুক্তি করাটা তার জন্য অনেক বড় ভুল ছিল। সবাই জানে, দ্বিতীয়ার্ধ খুব একটা সুখকর হয় না। রোনালদোর ক্ষেত্রে এটা রীতিমত প্রমাণিত।
রোনালদো এখনও পর্যন্ত ম্যানইউর সাইডলাইনেই রয়েছেন। যেখানে ম্যানইউ সফর করছে থাইল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। নতুন কোচ রায়ান টেন হাগের অধীনে নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ম্যানইউ।
বুধবার দুপুরের পরে কিছু নিউজ মিডিয়ায় চাউর হয়ে যায়, রোনালদোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের। কিন্তু স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা রিপোর্ট করেছে, এটা কোনো সময়ই ঘটেনি। অর্থ্যাৎ নিউজগুলো ভুয়া।
মার্কা বলছে, রিয়াল মাদ্রিদ আগামী মৌসুমের জন্য যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে, সেটা আপাতত পরিবর্তন হবে না। সুতরাং, তারা ম্যানইউ থেকে পূনরায় রোনালদোকে এনে দলের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করবে না।
মাদ্রিদিস্তারা মাঠে নামার অপেক্ষায়। মাঠে নামার পর খেলোয়াড়দের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে ক্লাবটি। এরপর তারা হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো বা কোনো খেলোয়াড়কে বিক্রি করবে না। তবে, প্রয়োজন হলে অবশ্যই দলবদলের বাজারে নজর দেবে। তবে, সেখানে অবশ্যই থাকবেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
মাদ্রিদে ২দিন কাটিয়েছেন রোনালদো। এটা ঠিক। তবে পেরেজ কিংবা অন্য কারো সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি। যদিও তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা একটি ক্লাবের খোঁজে রয়েছেন। মার্কা বলছে, এটা নিশ্চিত যে মাদ্রিদ (রিয়াল) কিংবা মিউনিখ (বায়ার্ন)- কোথাও রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা নেই। যদিও, ব্যক্তিগতভাবে রিয়ালের সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্ক খুবই দারুণ। বিশেষ করে, তার বড় ছেলে যখন মাদ্রিদে ক্যাম্পাস অব দি ফাউন্ডেশনের জুনিয়র দলের ফুটবলার।