Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ১১৩টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার;টেকনাফের হাজম পাড়া সমুদ্র সৈকতে ১১৩টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার হাজম পাড়া ও উত্তর শীলখালী কাছিমের হ্যাচারি থেকে এসব বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।

সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে জেলে সম্প্রদায়সহ স্থানীয় জনসাধারনের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প এ কাজ করে যাচ্ছে।কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের কাছিম হ্যাচারিতে বাচ্চাগুলো ফোটানো হয়।ডিমগুলো৬০থেকে৬৫দিন হ্যাচারিতে রাখার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে।

টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া এবং উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে সামুদ্রিক সৈকতে প্রকল্পের উদ্যোগে কাছিমের ৩টি হ্যাচারী স্থাপন করা হয়েছে।এ বছর এ পর্যন্ত ৯৯টি কাছিমের বাসা থেকে১০৮৯৫ ডিম সংগ্রহ করে উক্ত হ্যাচারী ৩টিতে সংরক্ষন করা হয়।নিদিষ্ট প্রজনন সময় পর হ্যাচারীগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৫৪৩কাছিমের বাচ্চা পাওয়া গেছে।যা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়।আর গুলো হ্যাচারীতে প্রজনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রজনন পরবর্তী বাচ্চাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হবে।এ বিষয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক অসীম বড়ুয়া জানান,দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে কোডেক ২০২০ সাল থেকে সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষনে কাজ করছে।কাছিম সংরক্ষনে বিষদ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে কোডেক ইতিমধ্যে একটি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কোডেক উপ-নির্বাহী পরিচালক কমল সেনগুপ্ত,অধ্যাপক ড.আকতার হোসেন,ফরেষ্টি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অধ্যাপক ড.বায়েজিদ মাহমুদ খান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান ইউসুফ,কোডেক নেচার এন্ড লাইফের প্রকল্প পরিচালক শীতল কুমার নাথ,উপ-প্রকল্প পরিচালক নারায়ন চন্দ্র, দাস,প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক অসীম বড়ুয়া,সাইট কো-অর্ডিনেটর মোঃশরিফুল আলম তুহিন ও মোঃ লিয়াকত আলী।




আরও খবর



ব্যাংক পরিদর্শনে বান্দরবান যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার ৪ দিন পর বান্দরবান যাচ্ছেন । শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রুমা উপজেলা কমপ্লেক্স এবং ব্যাংক পরিদর্শন করবেন তিনি।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, বান্দরবান জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার (এসপি)

ব্যাংক পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদ ঘেরাও করে ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্যাংকে তাণ্ডব চালায় বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন (কেএনএফ)। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা তছনছ করে এবং ব্যাংকের কাউন্টার ও উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর আজ তাকে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে র‌্যাব।


আরও খবর



বিরামপুরে বন্ধুর ব্যাগ তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃবন্ধুর পড়ে যাওয়া ব্যাগ তুলতে গিয়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর রেলষ্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সোয়া ৯টার দিকে বিরামপুর রেলষ্টেশনে পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের ধাক্কায় নিহত শিক্ষার্থী বকুল হোসেন (১৫) বিরামপুর উপজেলার হাবিবপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র এবং হাবিবপুর গ্রামের মেহেদুল ইসলামের ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বকুল হোসেন বন্ধুদের সাথে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিরামপুর স্টেশনে চিলাহাটি এক্স্রপ্রেস ট্রেনে ওঠে। ঘটনাক্রমে তার এক বন্ধুর ব্যাগ ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। বন্ধুর পড়ে যাওয়া ঐ ব্যাগটি তুলতে নিচে যায় বকুল হোসেন।  এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করাকালে বকুল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস তাকে মৃত: ঘোষণা করেন।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে এবং মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সাথে সম্প্রতি এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। এ এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে, মেটলাইফে ইন্টার্নশিপ, চাকরি ও ক্যারিয়ার গঠনের দিক নির্দেশনা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশের বীমা খাতে আস্থা বৃদ্ধি ও মেধাবীদের নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে মেটলাইফের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখ; কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ; অধ্যাপক ড. নাহিদ রব্বানী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদিয়া নূর খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ।

মেটলাইফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমডি ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার আলা উদ্দিন; এএমডি ও চিফ এইচআর অফিসার তৌহিদুল আলম এবং এএমডি ও চিফ মার্কেটিং অফিসার নওফেল আনোয়ারসহ ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক ঘটনায় ২জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের সুরেশ রবি দাস (৪০) ও তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের নুর হোসেন (২৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাসন নগর ভুবির পয়েন্ট এলাকায় মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি চালিতো অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় সিএনজিতে থাকা যাত্রী সুরেশ রবি দাস ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় আহত হয় চালক জীবন মিয়া (২০) ও যাত্রী কৃঞ্চ রবি দাস (৩২)। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর মৃত সুরেশ রবি দাসের লাশ ময়না তদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এর আগে গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টায় তাহিরপুর উপজেলার সন্তুষপুর গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নুর হোসেনসহ ১৫জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর নুর হোসেনের অবস্থা আশংকাজন হওয়ার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সিলেট পাঠানো হয়। এঘটনায় এঘটনা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নুর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর