Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারী করোনাভাইরাস আর ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও সরকার দেশের শিক্ষার্থীদের কথা ভোলেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ার হার কমেছে।

এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। 

আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ, শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলা গড়ার জন্য শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের নতুন বই ছাপানোকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।

এ সময় সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনব না, আমরা সব করব। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীদের মুখস্থের পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সে (শিক্ষার্থী) কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাব, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাব। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ‘আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যত বেশি এই ছেলেমেয়েদের গাইড করব, তারা তত বেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। 

শীতে ডেঙ্গু হয়; তাই এটার দিকে খেয়াল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বাড়িঘর নিজের প্রতিষ্ঠান-ঘর পরিষ্কার রাখার কথাও জানান শেখ হাসিনা। 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বিয়ের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদের ছুটিতে সৈয়দপুরে বিয়ের ধুম পড়েছে।এই ঈদে আত্মীয়স্বজনকে কাছে পাওয়ার সুযোগে দেড় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।শহরের কমিউনিটি সেন্টার ও সংশ্লিষ্টজন বলছেন, রমজান মাসে মুসলিম পরিবারে বিয়ের বিধান নেই। কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরে এই ঈদে আত্মীয়স্বজন ও চাকরিজীবীরা এলাকায় অবস্থান করায় অনেকে বিয়ের জন্য এ সময়টিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান তারা। 

ঈদের ছুটিতে বিয়ের একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় বেশি ঝামেলায় পড়েছেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা। সৈয়দপুর শহরের পুরোনো মুন্সিপাড়ার ফকিরা ডেকোরেটরের মালিক সনু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এক দিনে তিন-চারটির বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়।  কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্র, শনিবার ও রবিবার ১০টি বিয়ের আসর ও প্যান্ডেল সাজানোর অর্ডার পেয়েছি।

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট গ্রামের শাহাজাদা হোসেন বলেন, ‘মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিন দিন ঘুরেও ডেকোরেটর সামগ্রী ভাড়া পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় নিজেই কম দামে কাপড় কিনেছি। পরে সেটা দিয়ে কোনো রকমে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেছি।’শহরের ইসলামবাগ এলাকার মাইক্রো বাসচালক কবির হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবার পর্যন্ত বিয়ের ভাড়া রিজার্ভ করা রয়েছে। যার বেশির ভাগ শহরের মধ্যে। একই দিনে তিন-চারটি বিয়ের আগাম ভাড়াও নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শহরের ভাড়ার পাশাপাশি দিনাজপুর, রংপুরের ভাড়া রয়েছে। তবে ঈদের এ সময়ে বিনোদন কেন্দ্রের ভাড়ার চাহিদার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিগুণ মূল্যে ভাড়া নিতে হচ্ছে।’সৈয়দপুরের হোটেল মালিক মমিনুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘গত তিন দিনে তার হোটেলে অন্তত ৫০ জোড়া হবু বর-কনে পরিবারের মধ্যে দেখা ও আলোচনা হয়েছে। এর ফলে হোটেলে বেচাকেনা বেড়ে গেছে অনেক গুণ।’ 

সৈয়দপুর শহরের বিয়ে নিবন্ধনকারী (কাজি) সাইদুল ইসলাম জানান, আগে ধান কাটা শেষে বিয়ের মৌসুম শুরু হলেও লোকজন এখন সরকারি ছুটিতে ছেলেমেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়। গত তিন দিনে ১০ টি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি। 

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘ঈদের পর দিন থেকে ১৪ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত ৪০টির বেশি বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি। একই দিনে একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় দাওয়াত রক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হয়েছি তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছি।’

আরও খবর



ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস, পক্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর-এএফপির।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পাকিস্তান। পরিষদের ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এই প্রস্তাবে ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলে বাহিনী প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে এবারই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিল মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্ষদ।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী অধ্রাপক মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই অধ্যাপক সংবাদমাধ্যম বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে গাজায় ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

ইসরায়েলকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে এই প্রথম সহায়তা ও অস্ত্র বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন। এতে ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে বেশির ভাগ সময় ইসরায়েলের কূটনৈতিক ঢাল হিসেবে ভূমিকা রাখে ওয়াশিংটন।

তবে ইসরায়েল ও গাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, শিগগিরই ইসরায়েল তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে বলে ওয়াশিংটন আশা করছে।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৭০জন দেখেছেন

Image

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিজ বাসভবনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চু।দলীয় নেতাকর্মী, পাড়া প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে  ২৫ মার্চ সোমবার এই ইফতার মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সাবেক সফল সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম । 

এসময় হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চুর পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের সাথে কুসল বিনিময় করতেও দেখা যায় মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে হাজী পিঞ্চুর পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক সাংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চুর সভাপতিত্বে অন্যন্যর মাঝে উপস্থিত ছিলেন , ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ মান্নান,   

জাকির হোসেন রনি সাবেক পরিচালক বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন  ।

প্রিন্স রবিন সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।


আরও খবর



ডোমারে চাকুরী দেয়ার নামকরে ২৫ লক্ষটাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক দুলাল পলাতক, থানায় মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত-আঃ কাদের এর ছেলে দুলাল হোসেন (৫২) এলাকার বেকার যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে এক ভুক্তভুগি দুলালের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানাযায় ডোমার ডিমলার সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শাহরিন ইসলাম তুহিন সাহেবের গাড়ী চালক ছিলেন দুলাল। বিএনপি ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরথেকে দুলাল তার ৬ষ্ঠ তম স্ত্রী রানু বেগমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। চলাফেরার ভাব ছিলো রাজকীয়, এলাকায় আসতেন বিভিন্ন ধরণের দামী গাড়ী নিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো স্টিকার লাগিয়ে মানুষের সাথে সক্ষ্যতা তৈরী করে। নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের গাড়ী চালকের পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকার

বেকার অনেক যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেয়ার পরথেকে ফোন থেকে শুরু করে সবধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক দুলাল। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভুক্তভুগিরা ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তারা কোন চাকুরী করে না, দুই স্বামী স্ত্রী এবং দুলালের ছেলে ইমরান খান (২৪) তারা একটি ঐক্যবদ্ধ চক্র ঢাকা তুরাগ থানা এলাকার ভাবনার টেক মাতবর বাড়ীতে হাজী আঃ রশিদের ৩ তলা ভবনে ভাড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় এধরণের প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়। গত ৬মার্চ ২৪ তুরাগ থানা এলাকার মাতবর বাড়ী হাজী আঃ রশিদের বাড়ীতে গিয়ে বাসা ওয়ালার কাছ থেকে জানাযায়, তার বন্ধু হাজী জাফর আলীর ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে ২ জনের কাছে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ৪ মাসের ঘড় ভাড়া না দিয়ে রাতে অন্ধকারে মালামাল রেখে স্বামী ও স্ত্রী ছেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাজী জাফর আলী জানান, আমি গতবার হজে¦ যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলে সক্ষ্যতা তৈরী করে। এক পর্যায়ে বলে আপনি হজ¦ থেকে এসে দেখবেন আপনার ছেলে চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে। এমনি ভাবে ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময় তার মা রংপুর মেডিকেলে ভর্তির কথা বলে এবং শেষে মা মারাগেছে লাশ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় দুলাল। অথচ পরে জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে, এমন প্রতারকের নামে

মামলা করবে বলে তিনি জানান। দুলালের ফুপা কেতকীবাড়ী চান্দখানা ইন্দিরার পাড় এলাকার আশরাফ আলী মুন্সি বলেন, দুলাল আমার ভাতীজা হয়,আমার ছেলে রবিউলের চাকুরী দেয়ার নামে প্রথমে বিশ^াস স্থাপন করার জন্য সামান্য কিছু। পরে ধাপে ধাপে ডিও লেটার, ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখীয়ে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখে। সে কতটা খারাপ লোক নিজ গ্রামে, ফুপা, বোনের শশুর এমন কি মেয়েকে উকিল দিয়ে সেই নতুন জামাইকেও ছাড় দেয়নি প্রতারক দুলাল। চিলাহাটি আদর্শ পাড়ার ওছমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলাম বলেন তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, সিরাজুল ইসলামের ছেলে গোলাম হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে ঐ প্রতারক চক্রটি। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভুগির অভিভাবক আনিছুর রহমান মানিক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ ডোমার থানায় দুলাল ও তার স্ত্রী রানু বেগম এবং ছেলে ইমরানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চক্রের মুল হোতা দুলালসহ সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান ভুক্তভুগি পবিাররের সদস্যগণ।


আরও খবর