Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

খুলনার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে বিএনপির বর্ধিত সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৭৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা  : আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়ন,আওয়ামী সন্ত্রাস নির্যাতনের বিরুদ্ধে,  বিদ্যুৎ,  গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে  মাগুরা জেলা বিএনপির এক প্রস্তুতিমূলক বর্ধিত সভা মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী দুপুরে ইসলামপুর পাড়া জেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত  হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক  জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহম্মদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক ফারুকুজ্জামান ফারুক, এড,শাহেদ হাসান টগর, খান হাসান ইমাম সুজা, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুদ খান কিজিল, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তুষার,  জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক মফিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি এড, ওয়াসিকুর রহমান কল্লোল, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম, সম্পাদক  গোলাম জাহিদ, শ্রীপুর মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ সকল অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা খুলনার সমাবেশ যে কোন মূল্যে সফল করতে সকল নেতা কর্মী উপস্থিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 


আরও খবর



ঈদে আসছে নির্মাতা কে এ নিলয়ের 'ও মেয়ে ঢং করোনা'

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image
বিনোদন প্রতিবেদক:আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পুবাইলের বিভিন্ন লোকেশনে নির্মিত হলো নতুন মিউজিক ভিডিও 'ও মেয়ে ঢং করোনা' ।আল আমিন জমাদ্দার সবুজ কথায় ও সুরে সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। মিক্স মাস্টার আশিক মাহমুদ।গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আকাশ মাহমুদ ও নওশীন অমি। মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসাবে কাজ করেছেন আলিফ চৌধুরী ও প্রণমি নাফি। মিউজিক ভিডিওটি নির্মান করেছেন নির্মাতা কে এ নিলয়। কোরিওগ্রাফার হিসাবে ছিলেন প্রিন্স খান।গানটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এজেএস ওয়ার্ল্ড। প্রযোজক আল আমিন জমাদ্দার সবুজ।'ও মেয়ে ঢং করোনা গানটি ঈতে মুক্তি পাবে।

এ প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী আকাশ মাহমুদ বলেন,'ও মেয়ে ঢং করোনা' নতুন গানটি বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি।এই গানটিও সবার পছন্দ হবে।

কোরিওগ্রাফার প্রিন্স খান বলেন, ‘ঈদের গান নিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। গানে সবাই এখন সুন্দর ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন। আমি চেষ্টা করেছি দর্শকদের পছন্দ অনুযায়ী ভালো একটি গান উপহার দিতে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

নির্মাতা কে এ নিলয় বলেন, ‘সেই ছোট্টবেলা থেকেই ঈদ আসলে আমরা আনন্দে ভেসে যেতাম। সেই ছোট্টবেলার স্মৃতি মনে করে আমরা চেষ্টা করেছি ‘'ও মেয়ে ঢং করোনা'
গানটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার। যদি গানটি সবার ভালো লাগে, তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।

আরও খবর



আজ থেকে ১ ঘণ্টা বেশি সময় চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ থেকে ১ ঘণ্টা সময় বাড়ল মেট্রোরেল চলাচলে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

তিনি জানান, মেট্রোরেল রাত ৯টার পরেও চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত আজ বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। তিনি বলেন, ১৬ রমজান (বুধবার) থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়াবে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

তিনি বলেন, ১৬ রমজান থেকে ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়বে। সেই সময় আরও ১০টি ট্রেন চলাচল করবে। এতে সেই সময় দিনে মেট্রো চলাচলের সংখ্যা হবে ১৯৪ বার। সেই সময় যাত্রী চলাচল করতে পারবেন দিনে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫২ জন।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলাচল করছে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।


আরও খবর



আগামী ১ বছরের মধ্যে ৫০০+ নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয়, প্রতিষ্ঠানের ত্রৈমাসিক নারী কর্মীদের সম্মিলন ‘মনের জানালা’-এর মাধ্যমে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে। রাজধানী ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নারী নেতৃত্বকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিক্রয়। অনুষ্ঠানে বিস্তৃত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে ৫০০ এরও বেশি নারীর ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়েছে বিক্রয়।

আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক; ‘পাওয়ার অব শি’ এর প্রকল্প প্রধান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা সাবিনা স্যাবি। আরও ছিলেন বিক্রয়- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঈশিতা শারমিন সহ বিক্রয়-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিক্রয়-এর ‘মনের জানালা’ উদ্যোগটি গত আট বছর ধরে লিঙ্গ সমতা প্রচারে এবং এর নারী কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী লালন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও, মুক্ত আলোচনা ও সহায়ক কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিক্রয় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতিকে উত্সাহিত করেছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একটি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

১২তম বছরে পদার্পণ করে, বিক্রয় ইতোমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি নারী উদ্যোক্তার জীবনে প্রভাব ফেলেছে। এখন এর সেবা প্রদানের মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় এ মার্কেটপ্লেস আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আগামী এক বছরের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি নারীর ক্ষমতায়ন। এছাড়াও, ২০২০ সালে ই-ক্যাব থেকে ‘ব্র্যান্ড লিডারশিপ’, ‘বেস্ট এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড ফর ইন্টারনেট ক্যাটাগরি’ এবং ‘ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড’-এর মতো স্বনামধন্য পুরস্কার পেয়েছে বিক্রয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের আরও বেশি এলাকায় পৌঁছে দেশের নাগরিকদের ব্যবসায়ের ডিজিটালাইজেশনে সহায়তা করে চলেছে। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এসব মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নেও সক্ষমতা অর্জিত হয়।

বিক্রয়-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঈশিতা শারমিন বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে নারী নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পেরে আমি আনন্দিত। এটি বাংলাদেশের ই-কমার্সের ক্ষেত্র গঠন করার পাশাপাশি অন্য নারীদের উন্নতির জন্য অনুপ্রাণিত করবে। আগামী বছরে ৫০০ জনেরও বেশি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের যে প্রতিশ্রুতি, তা আমাদের লিঙ্গ-সমতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের অটল অঙ্গীকারের প্রতিফলন। দেশব্যাপী উদ্যোক্তাদের একত্রিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায়, আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস হওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।”

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক; ‘পাওয়ার অব শি’ এর প্রকল্প প্রধান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা সাবিনা স্যাবি বলেন, “বিক্রয়-এর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বিশেষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের নারী কর্মজীবীরা অসাধারণ কৃতিত্বের উদাহারণ দিয়েছেন। তাঁদের এই অর্জন নির্ভীক পথচলায় অন্যদের সাহস জোগাবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব এবং আমাদের সকলকে কর্মক্ষেত্রে নারীর শক্তি এবং সহনশীলতাকে উদযাপন করতে হবে।”

একাধিক মেম্বারশিপ বেনেফিটস এর মাধ্যমে বিক্রয় বিভিন্ন উদ্ভাবনী সুবিধার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে। বাড়তি অ্যাড পোস্টিং, ট্রাস্ট-বিল্ডিং টুলস ও কমপ্লিমেন্টারি প্রোমোশন- এর মাধ্যমে ব্যবসায়ের পরিচিতি বাড়ানো সম্ভব। অটো রিনিউয়াল, ডিটেইলড অ্যানালিটিকস ও ডেডিকেটেড সাপোর্ট- এর মতো ফিচারের সাহায্যে কার্যক্রম পরিচালনা সহজতর হয়। এই ইকোসিস্টেম সকল সদস্যের প্রবৃদ্ধি ও সাফল্যের উপর অগ্রাধিকার দেয়, যা স্বচ্ছতা এবং সহজে বিক্রয়-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের উপযোগিতাকে প্রতিফলিত করে।


আরও খবর



দাপ্তরিক কাজে দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জনস্বার্থের কাজগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে গতিশীল রাখতে হবে। দাপ্তরিক কাজের ফাইলগুলো দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনও জনদুর্ভোগ পছন্দ করেন না। তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাপ্তরিক নথিপত্রগুলো মুভমেন্টের দীর্ঘসূত্রতা নিরসন করে দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার মনমানসিকতা প্রত্যেকেরই থাকতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কাজে কোনোরকম স্থিতিশীলতা নয়, গতিশীলতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

সোমবার (৪মার্চ)  সকাল ১০টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস ঝটিকা পরিদর্শন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি’র অফিস কক্ষে তাৎক্ষণিক এক মতবিনিময় আলোচনায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া ও দারিদ্র্যবিমোচনের দিকটিকে অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্যবিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোসহ সকল উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে দেশের উন্নয়ন কাজে শরীক থাকার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন দাপ্তরিক নথিপত্র চালাচালির দীর্ঘসূত্রতার কারণে সরকারের উন্নয়ন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই আমি চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্দেশনা অনুযায়ী পার্বত্যবাসীর কল্যাণে উন্নয়ন কাজগুলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক তথ্য কমিশনার সুদত্ত চাকমাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



গাংনীর পা হারানো আকলিমার জীবন সংগ্রাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃসড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর যন্ত্রনা ও মনো কষ্টে আল্লাহর কাছে মৃত্যুও কামনা করেছেন কলেজ ছাত্রি আকলিমা। একেতো নারী তার উপর আবার পঙ্গুত্ব। হাসপাতালের বিছানায় এক বছর অসহায় জিবন যাপন করেছেন তিনি। মৃত্যু কামনার পরও তার মৃত্যু হয়নি, বরং সাফলতা অর্জনের সাহসটুকু তিনি পেয়েছেন। গর্ভধারিনী মমতাময়ী মায়ের পরামর্শে আকলিমা পড়া লেখা চালিয়ে গেছেন। এখন তিনি একজন সুনামধন্য স্কুল শিক্ষক। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের হাজী জোয়াদ আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ মার্চ মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আকলিমা খাতুন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দুটি পা। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এক বছর তার চিকিৎসা করানো হলেও করিয়েও পা দুটি আর সচল করা যায়নি। কোমর থেকে নিচের অংশটি সম্পুর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তারমতো অসংখ্য মানুষকে দেখে আতœবিশ্বাস ফিরে পায়। আবার লেখাপড়া শুরু করে।

পঙ্গুত্ব বরন করার পর আকলিমা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে। জিবনের সব আশা ভরসা শেষ এই ভেবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের মৃত্যু কামনা করতেন আর অঝোরে কাঁদতেন। সেসময় তার পাশে কাউকে না পেলেও মমতাময়ী মা তাকে ছেড়ে যান নি। সব সময় আশা যুগিয়েছেন। মায়ের পরামর্শে আকলিমা আবারো পড়ালেখা শুরু করেন। অদম্য এই মেধাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেন এবং কৃতকার্য হন। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। পায়ে হেটে আসার সামর্থ হারালেও এখন সব ধরনের চলাচল তার হুইল চেয়ারে।

আকলিমা জানান, তার জীবনের এই গল্পটা এতটা সহজ ছিলনা। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে এতদূর। জীবনের সেই দুঃসময়ে একমাত্র মা ছাড়া পরিবারের কেউ তেমন সহোযোগিতা করেনি। ভাইয়েরা বলেছিল অযথাই ওর পড়াশোনার পিছনে টাকা খরচ করে কি লাভ? প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দিলে সমাজে তারাও যে ভালো ভূমিকা রাখবে সেটা পরিবারের লোকজনকে বিশ^াস করানোটা ছিল এক রকম চ্যালেঞ্জ। এখন পাশে অনেকেই আছেন এবং পরিবারের লোকজনও তার পাশে রয়েছে বলেও জানান আকলিমা।

আকলিমার মা মমতাজ খাতুন জানান, আকলিমা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দ’ুটি পা অচল হলেও লেখা পড়া বন্ধ করতে দেয়া হয়নি। ছোট বেলা থেকেই সে মেধাবী। তার উপর ভরসা ছিল তাই নানা ধরনের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এখন সে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। সে তার সংসারের নিজের সব কাজ নিজেই করে, যেটি পারেনা তখন তাকে সাহায্য করা হয়। প্রতিটি বাবা-মার উচিত তার প্রতিবন্ধী, অক্ষম সন্তানকে বোঝা মনে না করে ভালো কিছু করার সুযোগ করে দেওয়া।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আকলিমা অন্যান্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা দেন। ভাল ভাবে পাঠদান করান। সময়মতো স্কুলে আসেন। তিনি খুব আন্তরিক মানুষ। কেউ স্কুলে না আসলে হুইল চেয়ারে করে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কখনও কারো সাথে অসদাচরণ করেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান ফৌজিয়ারা খাতুন জানান, আকলিমা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলেও আর পাঁচজনের মতোই তার কাজ নিজে করেন এবং প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেন। তিনি কোনদিন দেরি করে স্কুলে আসেন না। শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করে পড়ালেখা করান।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আকলিমা দৈহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও মানসিকভাবে অবিচল। সাধারণ মানুষের মতই সব কিছু করেন। শিক্ষাদান বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া সঠিক সময়ে পাঠ দানে তার যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। তাকে দেখে সমাজের আরও যারা এরকম সমস্যায় রয়েছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর