Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে সাইবার বুলিং-এর অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে সাইবার বুলিং-এর অভিযোগে উদয়ন ত্রিপুরা (২৭) নামের এক শিক্ষককে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর  জানান,  স্কুল শিক্ষিকা খাগড়াছড়ি সদর থানায় এসে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি চৌকস টিম বর্নিত ফেইক ফেইসবুক আইডিধারী ও ব্লাকমেইলকারীকে অভিযান পরিচালনা করে দূর্গম এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন এবং বর্ণিত আসামীর ব্যবহৃত ডিভাইস গুলিকে জব্দ করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী -উদয়ন ত্রিপুরা (২৭)বলং হামারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। অভিযুক্ত শিক্ষক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার অমৃত পাড়া এলাকার রঞ্জিত ত্রিপুরা ছেলে

খাগড়াছড়ির ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে অভিযুক্ত শিক্ষক ভিকটিমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করেন।এছাড়া অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ দেন। ব্যক্তিগত ছবিকে এডিট করে অশালীনভাবে উপস্থাপন করে ভিকটিমের ফেসবুক আইডিতে মেসেজ দিয়ে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনের  প্রস্তাব দেন।প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ভিকটিমের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
 
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত ফেইক ফেইসবুক আইডিধারী ও ব্লাকমেইলকারী উদয়ন ত্রিপুরা (২৭)কে অভিযোগ দায়ের করার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) জানান, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষককের বিরুদ্ধে  খাগড়াছড়ি সদর থানায় পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



গাংনীতে পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এরা হচ্ছে- গাংনীর করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন(৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন(৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ(৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ(৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল(২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় করমদি গ্রাম থেকে স্বপন ও লিটনের কাছ থেকে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, হিন্দা গ্রামের রাস্তায় টেফেনের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি জনসেন মোটরসাইকেল ও মাদক বিক্রির ১৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বাওট গ্রামের রাস্তা থেকে মামুনর রশীদ ও বামন্দী বাজারের রাস্তায় স্বজলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



রৌমারীতে হাট বাজারে টোল আদায় সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:স্থানীয় সরকার বিভাগ রৌমারী উপজেলার আওতাধীন সরকারি হাট-বাজার সমুহের ১৪৩১ বাংলা সনের টোল আদায়ের হার নির্ধারণ, পয়পরিস্কার, পেরিফেরি হাট-বাজারের বাইরে টোল আদায় না করা, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষ করে চলাসহ নানাবিধ বিষয়ের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান, এমপির প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মিনু সহ-সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, হাট বাজার ইজারাদারগণ, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকার নির্ধারণের বেশি টোল আদায় করা যাবে না, উভয় পক্ষ হতে টোল আদায় করা যাবে না এবং উভয় পক্ষ থেকে টোল আদায় প্রমানিত হলে দন্ডবিধি মোতাবেক আদায় কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইজারাদ কর্তৃক টোল আদায়েল তালিকা লিখে হাট বাজারের প্রকাশ্য জায়গায় টানানোট নির্দেশ, ইচ্ছাকৃত ভাবে জনসাধারণকে ধোকা ও ঠকানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, হাট-বাজারের অলিগলিসহ কোন বিক্রয় স্থানকে সাব ইজারা বা এককালিন ইজারা দেয়া যাবে না, টোল আদায়ের রশিদে টাকার অংক উল্লেখ করে স্বাক্ষর থাকতে হবে, হাট-বাজারের পেরিফেরির বাইরে কোন টোল আদায় করা যাবে না, বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন অন্যায় ও অনিয়ম হলে তার দায়-দায়িত্ব হাট-ইজাদারের উপর বর্তাবেও বলে ব্ধসঢ়;ক্তাগণ উল্লেক করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি নিয়ম মাফিক হাট-বাজার চালানো ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের টোল আদায়ের প্রস্তাবনা তালিকা প্রেরণের জন্য আলোচনা সভাটি করা হয়েছে। তবে সরকারি টোল আদায়ের হার নির্ধারণের বাইরে অতিরিক্ত টোল ও উভয় পক্ষের নিকট টোল আদায়ের কোন সুযোগ নাই।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, সরকারের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নাই। সরকারি ভাবে টোল আদায়ের নির্ধারিত তালিকার নিয়ম মাফিক টোল আদায় করতে হবে। 


আরও খবর



বিএনপিসহ সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সব অপশক্তিকে প্রতিহত করব,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এ দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী সব অপশক্তি, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব। আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমাদের কোনো অর্জন বাকি আছে যেটা আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অর্জন করার বাকি আছে সেটা আমি নিজেই আমার বক্তব্যে বলেছি। বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো, বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, অশুভ শক্তি। এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপি দিবসটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার যে দাবি জানিয়েছে সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি তো কোনো দাবি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বলতে পারি না। মন্ত্রিসভা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা এত বছর পর দাবিটা তুলছেন, কেন তুলছেন এটাও জানার দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।


আরও খবর



নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় নিহতদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার নওগাঁ- বগুড়া মহাসড়কের শাহাপুর এলাকায়। নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের এনামুল হক (৪৯) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী একটি মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সড়কের উপর ছিটকে পড়েন এবং দূর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা তাদের আহত সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেল আরোহী একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জাহিদুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের আরোহীরা ছিটকে সড়কের উপর পড়েন। প্রাথমিক ভাবে স্থানিয়রা ধারনা করছেন যে, সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দূর্ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল তথ্য ও আলামত জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর