Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে: ডিবি প্রধান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির ডাকা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে  বলেছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্যসচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আল আমিন (২৯)।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় নেতাকর্মীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।

হারুন বলেন, শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটোয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন ‘দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি’। এছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু মেয়ে ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেপ্তারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে। পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল-আমিন নামে এক বিএনপিকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন আরও বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়ি বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন উঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



পানছড়ি পুলিশের অভিযানে ইয়াবা সহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শাহানাজ বেগম (৫৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫০ পিছ ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। 

রবিবার  (১২নভেম্বর)  দুপুরের দিকে  খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর  সুদক্ষ দিক-নির্দেশনায় পানছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক  এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ ইউছুফ, সঙ্গীয় ফোর্সসহ পানছড়ি থানা এলাকায় অবরোধ ও পিকেট ডিউটি পরিচালনা করাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পানছড়ি থানাধীন ০৫নং উল্টাছড়ি ইউপির ০১নং ওয়ার্ড মোল্লাপাড়া  আক্কাছ আলীর টিলার সামনে মোল্লাপাড়া হইতে ফাতেমানগর গামী পাকা রাস্তার উপর  আসামী শাহানাজ বেগম (৫৫),১৫০ পিচ কমলা রংয়ের ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাহানাজ বেগম (৫৫) পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়ন এর 
মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, এর স্ত্রী।

পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ জানান গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক অত্র থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে।

আরও খবর



আত্রাইয়ে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। এ বার্তার সাথে সাথে উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন সবুজের হাতছানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। ক্ষেতগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

পুবালি বাতাস, শিশির ভেজা কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষকেরা জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, ক্ষেতে পানি ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে নওগাঁ সদরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে এ উপজেলার কৃষকরা। সবুজে সবুজে ভরে উঠছে উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সীম গাছের ডগা, শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির চারা। তাই মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা। কাক ডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানী, বালতি, স্প্রে মশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে এখন কৃষকরা। ক্ষেতে নেমে পড়েন সবজি পরিচর্যায়। বিকেল অবধি মাঠেই চারার গোড়ায় পানি ঢেলেই ফিরছেন সবাই বাড়ি। তাদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন, অনেকেই গাছের গোঁড়ালির পাশ দিয়ে ঘোরাচ্ছেন নিড়ানী, কেউবা খালি হাতেই গাছগুলো ঠিক করছেন।

কেউ বা নুয়ে পড়া চারার স্থলে সতেজ চারা প্রতিস্থাপন করছেন, এভাবে শীতকালীন সবজি নিয়ে চলছে কৃষকের কর্মযজ্ঞ। বেড়েই চলছে কৃষকদের কাজের চাপ। ধান চাষে তেমন একটা সুবিধা করতে পারছেন না অনেক কৃষক। কোনোভাবেই লোকসান ঠেকাতে পারছেন না তারা। তাই রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন ও তারাটিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও মির্জাপুর গ্রামের কৃষক শ্রী নেপাল বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। তবে সেবা ক্রটি করা যাবে না।

কিন্তু রোগবালাই দমনে সবজি ক্ষেতে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রি উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হয়। ক্ষেতে সবজি থাকা পর্যন্ত প্রত্যেক কৃষকের হাতে কমবেশি টাকা থাকে। যা অন্য ফসলের বেলায় সম্ভব না। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে সবজি চাষকেই এসব কৃষকরা লাভজনক মনে করছেন। এ বিষয়ে উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, সবজির কদর সারাদেশেই রয়েছে। তবে তা আগাম চাষ করতে পারলে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করা সম্ভব।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন, শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন সবজি চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সবজি ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করবেই। সেজন্য কীটনাশক ব্যবহার না করেই আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা সম্ভব।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, কৃষকদের সবজি চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমানে সীম, বেগুন, লালশাক, মুলা শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো এর আবাদ চলছে বলে তিনি জানান। সবজি চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল। কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন। কৃষি বিভাগের লোকজনের নিয়মিত মনিটরিংয়ে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের মুনাফাও বেড়েছে কয়েকগুণ। চাষিরা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ করে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলেও জানান।


আরও খবর



আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে: মহিদ উদ্দিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, বাসে আগুন ঠেকাতে ৩০টি জায়গায় আমাদের পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। রাজধানীতে ছোটবড় ৫০০টি মোড় রয়েছে। সব জায়গায় তো আর পুলিশ থাকতে পারবে না, তাই একেকবার একেক জায়গায় তারা দায়িত্ব পালন করছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিদ উদ্দিন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এখন তাদের নির্দেশ মতো আমরা কাজ করব। নির্বাচনকালীন যে ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা দরকার, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্তরে সে কার্যক্রম চলবে। সেই জায়গা থেকে নির্বাচন কমিশন থেকে যে কাজগুলো করতে বলবে তা আমরা করব।

তিনি বলেন, যারা বিস্ফোরকদ্রব্য জোগাড় করতে চায় তারা ঝুঁকি নিয়েও জোগাড় করে। জনজীবনের জন্য জ্বালানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সে কারণে আমরা প্রতিটি জায়গায় তা বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারি না। বরং সেই জায়গাগুলোতে আমরা চেষ্টা করেছি যাতে লুজ (খোলা) বিক্রি না হয়। যারা নাশকতা করছে তারা কনডেন্স মিল্কের কৌটা নিয়ে আসে, টেপ নিয়ে আসে। এগুলো নিষিদ্ধ কোনো বস্তু নয়।


আরও খবর



মিয়ানমারে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী ও দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর থেকে মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১২ নভেম্বর) মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের এই সংঘর্ষ আরও নতুন দুটি ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি গোষ্ঠীর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে সমন্বিত হামলা শুরু করে। ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে কিছু শহর ও সামরিক চৌকির দখল নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু বিদ্রোহী ও সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতা ঝুঁকিতে পড়েছে। গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক বাহিনীর নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিদ্রোহ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমার ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র তান্ডব ॥ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ॥ বিধ্বস্ত প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী ॥ নিখোঁজ-১

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তান্ডব চালিয়েছে ভোলায়। প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসের গতিবেগ নিয়ে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তান্ডব চালিয়েছে পুরো জেলায়। এতে জেলা শহরসহ ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী। মিধিলি’র তান্ডবে তজুমদ্দিন ও মনপুরায় ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ১ জেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দুপরের দিকে লক্ষ্মীপুরের মঝুচৌধুরীর ঘাটে যাওয়ার সময় কলমি লতা নামের একটি ফেরীর তলা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহত কিংবা ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তান্ডব চালিয়েছে ভোলায়। প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসের গতিবেগ নিয়ে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তান্ডব চালিয়েছে পুরো জেলায়। এতে জেলা শহরসহ ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী। মিধিলি’র তান্ডবে তজুমদ্দিন ও মনপুরায় ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ১ জেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছপালা উপড়ে পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুরো জেলা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘন্টার ২৪৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

আরো জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ৪-৫ ফুট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মাছ ধরার অধিকাংশ ট্রলারসমূহ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলেও তজুমদ্দিন উপজেলার ৪ জেলে মলংচড়া সিডার চর থেকে মির্জাকালু ঘাটে আসার সময় সফিক মাঝির ট্রলার দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। তীরের উদ্দেশ্যে আসার সময় মাঝ নদীতে পৌছলে ডেউয়ের ধাক্কায় নৌকাটি উল্টে যায়। পাশে মাছ ধরারত অন্য জেলেরা ৩ জেলেকে উদ্ধার করলেও বাদশা মিয়া (৫০) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। তার বাড়ি বড় মলংচড়া ইউনিয়নের বলে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া সফিক মাঝি। এছাড়া মনপুরায় একটি ট্রলার ডুবের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ট্রলারে থাকা ৩ জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি টিম।

প্রায় অর্ধশতাধিক ঘেরের ও পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মৌসূমি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ইটভাটা গুলোতে। তাদের প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দুপরের দিকে লক্ষ্মীপুরের মঝুচৌধুরীর ঘাটে যাওয়ার সময় কলমি লতা নামের একটি ফেরীর তলা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে খবর পেয়ে ইউএনও’র নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেরী থেকে পানি অপসারণ করে বিদপ মুক্ত করা হয় এবং পূনরায় ভোলার ঘাটে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়। তাই হতাহত কিংবা ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলীর প্রভাবে একটি জেলে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাদশা মিয়া (৫০) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। সে মলংচড়া ইউনিয়নের মৃত মজিবল হকের ছেলে। শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে ৪ জেলেসহ নৌকা নিয়ে শফিক মাঝী মলংচড়া চর থেকে মির্জাকালু তীরে আসার সময় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।

উদ্ধার হওয়া শফিক মাঝী জানান, মলংচড়া চর থেকে আমরা ৪ জন তীরের উদ্দেশ্যে আসার সময় মাঝ নদীতে পৌছলে ডেউয়ের ধাক্কায় নৌকা উলটে ডুবে যায়। অন্য জেলেরা আমাদের তিনজনকে উদ্ধার করলেও বাদশা মিয়াকে পাওয়া যায়নি। মলংচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল জানান, তিনি নৌকা ডুবির সংবাদ পেয়ে নিখোঁজ জেলেকে খুজতে বড় ট্রলার পাঠিয়েছেন। রাত পর্যন্ত নিখোঁজ বাদশা মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে নৌকা ডুবির সংবাদ পেয়েছি। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেস্টা চলছে।

অন্যদিকে চরফ্যাশন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তা-বে ২শ’ ১৯টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ভেঙ্গে পড়েছে শতাধিক গাছ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরীন হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে রাতে আবহাওয়া খারাপ হয়। দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির দমকা হাওয়াসহ আঘাত হানে উপকূলের এই উপজেলায়। এটা অনেকটা টর্নেডোর মতো ছিল। পরে ঘূর্ণিঝড়টি ঢালচরের পূর্ব দিকে ধেয়ে যায়। এতে ঢালচর ইউনিয়নের বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় ও গাছপালা উপড়ে যায়। এবং কিছু মাছ ধরার ট্রলারও ডুবে যায়। পরে জেলেদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়।

উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকুকরি-মুকররি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, ‘ঝড়ে তার ইউনিয়নের বহু ঘর-বাড়ি ল-ভ- হয়ে গেছে। টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গাছের ওপর ফেলেছে। কয়েকটি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হবে। ইউএনও নওরীন হক বলেন, ‘ঢালচর, চরকুকরি মুকরি, ও জাহানপুরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঘূর্নিঝড় বয়ে গেছে। এতে প্রায় ২শ’ ১৯ ঘর-বাড়ির ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি এবং ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দ্রুত তৈরি করে জেলায় পাঠানো হবে।

অপরদিকে, মধ্য মেঘনার অদূরবর্তী চরসমূহ মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুর, মেদুয়া, নেয়ামতপুর, তজুমদ্দিনের চর জহিরুদ্দিন, চর মুজাম্মেল, চর নাছরিন, চর শাওনে বসবাসরত পরিবারগুলোকে দুপুর থেকে ট্রলার যোগে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। এসব এলাকায় স্বাভাবিক জোঁয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির কোন খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে ভোলা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ভোলার বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলের প্রভাবে সকাল থেকে ভোলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হওয়ায় জেলার ৭ উপজেলার (ভোলা- ঢাকা, ভোলার বোরহানউদ্দিন-ঢাকা, চরফ্যাশন-ঢাকা, লালমোহন-ঢাকা, মনপুরা- ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার) সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মিধিলা’র তান্ডবে সার্বিক বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্নিঝড় মিধিলা’র তান্ডবে ভোলায় গাছপালা, ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে একজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে ভোলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯ টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। এ সময় তিনি জানান, যেকোনো ধরনের দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম। এর সাথে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ত্রাণের চাল ও নগদ টাকাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনাসহ তাদের সচেতন করার লক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির আওতায় ১৩ হাজার সিপিপি, ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা গুলোকে। একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বেড়িবাঁধ যেনো ছুটে না যায় এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। পাশাপাশি রয়েছে ৩৪১ টন চাল ও শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ। এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপ-পরিচালক তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মামুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহ, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ ভোলার সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর