Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কাতারকে হারিয়ে ইকুয়েডরের শুভসূচনা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ এর পর্দা উঠল। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ইকুয়েডর। দুটি গোলই করেন এনের ভ্যালেন্সিয়া।

কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। আসরের প্রথম গোলটি আসলো ইকুয়েডরের এই স্ট্রাইকারের পা থেকে। পরে তিনি জোড়া গোল পূর্ণ করেন।

আজ রোববার আল বায়াত স্টেডিয়ামে নজর কাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর খেলতে নামে ‘এ’ গ্রুপের দুদল কাতার ও ইকুয়েডর। যেখানে খেলার ১৬তম মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে লিড এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া। এক মিনিট আগে আক্রমণে আসা এক ইকুয়েডরের ফুটবলারকে প্রতিহত করেন কাতারের গোলরক্ষক আল শায়েব।

পরে রেফারি আল শায়েবকে হলুদ কার্ড দেখান ও ইকুয়েডরের দিকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সেখান থেকেই ১-০ গোলে এগিয়ে ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়। এই ফরোয়ার্ড অবশ্য খেলার শুরুতেই একটি গোল করেছিলেন। তবে রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন।

ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইকুয়েডর। দলীয় আক্রমণ থেকে আনহেলো প্রিসিয়াদো গোলমুখে ক্রস করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যালেন্সিয়া হেড থেকে নিজের জোড় গোল পূর্ণ করতে ভুল করেননি।

প্রথমার্ধে একেবারে শেষ মুহূর্তে দারুণ একটি সুযোগ পায় কাতার। তবে গোলবারের কাছ থেকে গোল বঞ্চিত হন আলমোয়েজ।

বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ইকুয়েডর। কাতারও একেবারে পিছিয়ে ছিল না। তবে আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ পেল কাতার।


আরও খবর



মধুপুর কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান  ছরোয়ার আলম খান  আবু।


উক্ত ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্টিনা নকরেক, শিক্ষা ও  সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সামছুল আরেফিন শরিফ, মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী তালুকদার, বেরীবাইদ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।


অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বিকেল থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত হতে থাকেন। বিকেল পাঁচ টার মধ্যেই ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বাকেরগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন!

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে কাজ না করেই কর্মসৃজন কর্মসূচির সিংহভাগ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ কামরুজ্জামান এ প্রকল্পের অনুকূলে মোট বিলের অর্ধেক টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির (৪০ দিন) আওতায় মাটি কেটে জিরাইল চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন উত্তর গোবিন্দপুর শাহজাহান হাওলাদারের বাড়ি থেকে কাঁটাখালি শাহজাহান মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করে।

এ প্রকল্পের সভাপতি হলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য শতাধিক শ্রমিক তালিকাভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ২০০ টাকা। শ্রমিকদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোনের সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার দুজনে মিলে নিজেদের পছন্দের লোককে শ্রমিক দেখিয়ে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন। পরে ওইসব তালিকাভুক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে প্রকল্পের সভাপতি কৌশলে এসব শ্রমিকের বিকাশ নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করছেন।

গত ১১ মার্চ দুপুরে ওই প্রকল্পে গিয়েও কোনো শ্রমিকের দেখা মেলেনি। প্রকল্প এলাকার দেড় কিলোমিটার রাস্তায় গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে ফেলা হয়েছে। অথচ এ বছর ওই রাস্তায় মাটি কাটার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় তিন লাখ টাকার বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর লিয়াকত আলী খান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ, মানুষের বাড়িতে কাজ করি। মাটিও কাটি। কিন্তু, চেয়ারম্যান-মেম্বার আমার নামড্যা দেয় নাই। নাম দিলে কাম কইরা কিছু টাহা পাইতাম।

উত্তর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মিলন বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত এ মাটির রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল করেন। তিনি বলেন, গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে এ রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এ বছর এ রাস্তায় কোন মাটির কাজ হয়নি। 

একই ধরনের কথা বলেন, উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের জাফর হাওলাদার, জেলে সোহাগ খান, বৃদ্ধা খাদিজা বেগম ও গৃহবধূ মাহিনুর বেগমসহ আরও অনেকেই।

এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার গত বছর বেকু দিয়ে মাটি কেটে অগ্রিম এই রাস্তার কাজটি করিয়ে রেখেছিলেন। তাই এ বছর উক্ত প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শ্রমিকদের কোন টাকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি মুচকি হেসে বলেন, আপনারাতো সবি জানেন, আমাকে আবার জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিচ্ছেন কেন। আমি প্রকল্পের সভাপতি না খেলার পুতুল বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে দুর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার জানান, ভালো কাজ করার জন্য তিনি গতবছর এ রাস্তায় অগ্রিম কাজ করে রেখেছেন। এ বছর প্রকল্প দেখিয়ে সেই টাকা উত্তোলন করেছেন। অগ্রিম প্রকল্প দেখিয়ে লেবার দিয়ে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করার কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।  

পিআইও মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই প্রকল্পের অনুকূলে মোট বিলের অর্ধেক টাকা ছাড় করা হয়েছে। আপনি কি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাইল নোট না দেখে অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। তবে প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘কোনো কাজেই অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করব। কাজের গরমিল পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশী: আইনুল ও শাকিলের পরিবারের আকুতি জীবিত ফিরে পেতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ জন নাবিককের মধ্যে দুই জনের গ্রামের বাড়ি  মিরসরাইয়ে। তারা হলেন নাবিক মোশাররফ হোসেন শাকিল ও ওয়েলম্যান আইনুল হক অভি। মোশাররফ হোসেন শাকিল উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কয়লা পশ্চিম সোনাই গ্রামের শামছুল হক ও আনোয়ারা বেগমের তিন পুত্রের মধ্যে ৩য়। অপরজন আইনুল হক অভি ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ভূঁইয়া গ্রামের দলিল কোম্পানী বাড়ীর সুজাউল হক ভোলা মিয়ার পুত্র। মোশারফ হোসেন শাকিল নাবিক ও আইনুল হক অভি ওয়েলম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪ মাস পরেই দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল মোশাররফ হোসে শাকিলের (২৪)। জলদসু্যুদের হাতে আটকের পর তাকে ঘিরে পরিবারের সদস্যদের আশা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ৪ মাস আগে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগ দেন তিনি। এ চাকুরি তার পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছিল। পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী এই সদস্যের জিম্মি দশায় আতঙ্কিত পুরো পরিবার।সোমালিয়ার জলদস্যুরা যখন এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয়, তখনই বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের মোবাইল নম্বরে কল করেন মোশাররফ হোসেন শাকিল। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুর দুইটা থেকে সর্বশেষ রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রায় ২০ মিনিটের মতো তার কথা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘আমার ফোন কিছুক্ষণের মধ্যে সোমালিয়ান জলদস্যুরা নিয়ে নেবে। আমার জন্য দোয়া করবেন।’ শাকিলের বড় ভাই আবু বকর বলেন, ‘মঙ্গলবার কথা বলার সময় ভীষণ আতঙ্কিত ছিল শাকিল। ভয়ার্ত কণ্ঠে আমাদের জানায়, সোমালিয়ান জলদস্যুরা তাদের জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। সবাইকে একটি কক্ষে আটকে রেখেছে। সর্বশেষ রাত আটটার সময় কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে শাকিল। জীবিত ফিরে আসতে সবার কাছে দোয়া চায় সে। আমার বাবা, মা, পরিবারের সদস্যরা কেউই সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। আমরা সবাই তার জীবিত ফিরে আসার অপেক্ষা আছি।’

আবু কবর বলেন, ‘বাবা, মা, তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে উপার্জনক্ষম হচ্ছে শাকিল। আমার একটি ব্যবসা থাকলেও সেটি এখন নেই। আমার আরেক ভাই রবিউল হোসেন বিদেশী জাহাজে চাকুরি করলেও এখন দেশে।তার এমন পরিণতিতে পরিবারের অর্থিক অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে। আমার ভাই ৪ মাস পর দেশে ফেরার কথা ছিলো। দেশে ফিরলে তাকে বিয়ে করানোর পরিকল্পনা ছিল আমাদের।’

করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আমার ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন শাকিল নামে একজন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজে রয়েছে। তাকে ফিরে পেতে পরিবারের লোকজন আকুতি করছে। আমরা যতটুকু দেখছি সরকার তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি আটক হওয়া সবাই সুস্থ্যভাবে দেশে ফিরে আসবে।

অপরদিকে আইনুল হক অভির বড় ভাই মুন্না বলেন, আমাদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাত ৮ টায় অভির সাথে শেষ কথা হয়েছে। তখন সে বলেছে, ‘আমাদেরকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ওইখানে যেতে দুই থেকে তিন দিন লাগবে। আমাদের মোবাইলসহ সবকিছু নিয়ে ফেলবে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া শাকিল ও আইনুলের বাড়ীতে চলছে আহাজারী। পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সবার দাবি, বাংলাদেশ সরকার যেভাবেই হোক তাদের যেন জীবিত ফিরিয়ে আনে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায়। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহগ্রাধিক গ্রাহক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুর এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩। ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহগ্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে। টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অফিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে হচ্ছে দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়। ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহগ্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে। সর্বশান্ত করছে এলাকার মানুষকে। কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কোন গ্রাহক। এর দায়ভার কার? কে নিবে এদের দায়িত্ব?


আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




প্রতি ৯৯০ জনের জন্য হাসপাতালে বেড রয়েছে একটি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন,দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯৯০ জন লোকের বিপরীতে মাত্র একটি বেড রয়েছে বলে ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে প্রতি ৫০ জন লোকের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ০.০২১১।

প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও সংসদকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত,, ২০২২ সালের হেলথ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৬০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৫টি।

সর্বমোট বেড সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ৬৩৫টি। সে হিসেবে প্রতি ৯৯০ জন লোকের বিপরীতে একটি বেড রয়েছে।



আরও খবর