Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন । আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হন। এ সময় কারাফটকে প্রথম আলোর সাংবাদিকরা ‍উপস্থিত ছিলেন।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত থেকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বেলবন্ড (জামিননামা) অফিসিয়ালি আমাদের কাছে পৌঁছানোর পরে সব নিয়ম মেনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষে ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন।

এর আগে দুপুরে রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেন শামসুজ্জামান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এদিন জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনেন বাদী আবদুল মালেক।

মামলা দায়েরের প্রায় ২০ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয় দিয়ে তুলে আনা হয়। পরে ৩০ মার্চ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, একই মামলায় গতকাল রোববার বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়া দূর্বাচারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশ ৫৪ বছরে পা দিলো। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংগ্রামী বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে। সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া দূর্বাচারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন মোশাররফ হোসেন, শাসছদ্দিন, ইউসুফ, মোকাদ্দেস হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান,সাবেক চেয়ারম্যান সাবু বীন ইসলাম সাবু , মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক শেখ সুভীন আক্তার। 
 আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নং উজানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লা, দূর্বাচারা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি়ল্লাল হোসেন ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মামুনূর রহমান।
 
এসময় জাতীয় সংগীতের সংগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল ,শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ ও ছানোয়ার হোসেন মোল্লা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পতাকা উত্তোলন করেন ,উপস্হিত সকল  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও মহান আল্লাহ তায়ালা কাছে সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আরও খবর



বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সব শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বঙ্গভবনে ক্রেডেন্সিয়াল হলে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন তিনি।

বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ১৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় তাক লাগাতে এবার স্যামসাং বাংলাদেশে নিয়ে এলো গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি। ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাধ্যমে এ অসাম ডিভাইস নিশ্চিত করবে দিনভর গেমিং ও স্ট্রিমিংয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা! 

এ বিষয়ে স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিকস প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “দেশে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এই ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জীবন আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে। এ১৫ এর শক্তিশালী ক্যামেরায় প্রিয়জনদের সাথে অথবা পছন্দের জায়গাগুলোর ছবি তোলা যাবে, যত ইচ্ছা তত। সাথে, এর সুবিশাল ব্যটারি ফোনটিকে দিনভর চালু রেখে আপনার জীবনের রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে করে তুলবে আরও রোমাঞ্চকর।”

ভিশন বুস্টার সহ ৬.৫-ইঞ্চি এফএইচডি+ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি ফোনে সকল কনটেন্ট দেখা যাবে একদম ঝকঝকে – এমনকি সরাসরি সূর্যের আলোতেও ফোনের ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখতে কোন অসুবিধা হবে না। ফোনটির ডিসপ্লেতে রয়েছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। ঘরের বাইরেও স্ট্রিমিংয়ে চমৎকার ছবি নিশ্চিত করতে এতে ৮০০ নিট পর্যন্ত ব্রাইটনেস বাড়ানো সম্ভব। এর পাশাপাশি, রাতে অথবা কম আলোতে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে এতে আছে আই কমফোর্ট শিল্ড, যা ক্ষতিকারক নীল রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।

স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীদের দেশ অথবা বিদেশ ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে ডিভাইসটির ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। পাশাপাশি, এর ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ফোনকে দ্রুত চার্জ করে ব্যবহারকারীদের রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত।

৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ও ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যমেরায় সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনে যেকোন মুহূর্ত অথবা জায়গার দুর্দান্ত ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে অনায়াসেই। বন্ধুদের সাথে সকল স্মৃতি ধরে রাখতে এতে আরও থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

স্যামসাংয়ের এই নতুন সংযোজনে যথেষ্ট স্পেস ও স্পিড নিশ্চিত করে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+এসওসি ও মালি জি৬৭-এমপি২ জিপিইউ। তিনটি ভার্সন-এ  গ্যালাক্সি এ১৫ পাওয়া যাবে: ৬/১২৮জিবি , ৮/১২৮জিবি এবং ৮/২৫৬জিবি। ইন্টার্নাল স্টোরেজ মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে ১ টিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর ওপর ভিত্তি করে ওয়ান ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মার্টফোনে। চতুর্থ প্রজন্মের ওএস আপগ্রেড ও ৫ বছরের সিকিউরিটি মেইন্টেনেন্স উপভোগ করতে পারবেন এই ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা। পাসওয়ার্ড, পিন ও প্যাটার্নের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সার্টিফায়েড ইএএল৫+ স্যামসাং নক্স ভল্ট এর সুরক্ষা রয়েছে এই স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন এ ডিভাইসটিতে।

আপনার দৈনন্দিন জীবনকে আরও রঙিন করে তুলতে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি পাওয়া যাবে দুর্দান্ত রঙ ও ডিজাইনে । প্রাইস শুরু ৩১,২৯৯ টাকা থেকে!


আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কারো যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে, বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। তবে ডেঙ্গু না হোক; সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়; সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।

তিনি বলেন, বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়; সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে আমি ঢালাওভাবে বলতে চাই না। আমি কী করেছি আপনারা নিজেরাই বলবেন। আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি তা আপনারাই দেখছেন। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম। ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা; তাও দেখতে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।


আরও খবর