Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকদেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে একমাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলীর চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেছেন, কারাগারে অধিকাংশ গরিব মানুষ থাকে। চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান। ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য বলে মন্তব্য করেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

শুনানির শুরুতে রিটের পক্ষের আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, কারাগারে শূন্যপদে এখনও চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

তখন আদালত বলেন, বাংলাদেশে তো ডাক্তারের অভাব নেই। রাস্তায়ও ডাক্তার ঘুরতে দেখা যায়। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও অনেকে ডাক্তারি পড়ছেন। কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ১৪১ পদের মধ্যে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিচ্ছি।

আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিঠি চালাচালি থেকে বের হয়ে দ্রুত নিয়োগ দিন। এতদিনেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ক্ষমতা অ্যাবিউজ করার জন্য না, ক্ষমতা মানুষকে সেবার জন্য। এটা মনে রাখবেন।

আদালত বলেন, ‘কারাগারে তো গরিব মানুষ থাকে। ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। তাই কারাগারে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষকে বাঁচান। এরপর আদালত এক মাসের মধ্যে কারাগারের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।


আরও খবর



ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নিটারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এ ২৫শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ রোজ সোমবার দুপুর ২ ঘটিকায় নিটারের কনফারেন্স রুমে ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জুনাইবুর রশীদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার নুরুন্নবী, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতেহ আলী খান পান্নী, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং এর লেকচারার তানজিনা রিফাত টুম্পা সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধান, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার গন। নিটারের বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী ও নিটারের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে  নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভাটির সূচনা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের লেকচারার তানজিনা রিফাত টুম্পার সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সূচনালগ্নে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে দেখানো হয় যেখানে কিনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২৫শে মার্চে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতার নির্মম ইতিহাস ও গনহত্যা পরবর্তী ঢাকার থমথমে চিত্র ফুটে উঠে। পরবর্তীতে ২৫শে মার্চের ভয়াল কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা এর উপর চালানো পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে দেখানো হয়।

আলোচকদের মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব ইঞ্জিনিয়ার নুরুন্নবী বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাওরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শহীদ হওয়া সকলের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য শুরু করেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাওরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।  ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি ২৫শে মার্চের ভয়াল কালরাত্রির কথা স্মৃতিচারণ করেন। অতঃপর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব মোহাম্মদ ফাতেহ আলী খান পান্নি ওনার বক্তব্যে বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো শুধু উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সেগুলোকে নিজেদের মধ্যে লালন করে বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জনাব ড. মোহাম্মদ জুনাইবুর রশীদ উপস্থিত  সকলকে সালাম ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন, বক্তব্যে তুলে ধরেন মোট জনসংখ্যার মধ্যে  পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেশি থাকা সত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য অধিকাংশ বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির কথা, সেনাবাহিনীর উচ্চপদগুলোতে নিয়োগে বৈষম্য,  ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করা সত্বেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ কলা ভবনে পতাকা উওোলন ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্ন থেকে বিজয় অর্জন করা পর্যন্ত বাঙালির আত্নত্যাগের সকল ঘটনাবলী ধাপে ধাপে তুলে ধরেন উপস্থিত শ্রোতাদের নিকট।

সর্বশেষে, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল তার সমাপনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ কোষ (১০ খন্ড) বইটি রাখার জন্য অনুরোধ জানান। এভাবেই, স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আত্নত্যাগকারী সকল বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভাটির সমাপ্তি হয়।


আরও খবর



জলঢাকা পৌরসভার উপ -নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আসন্ন ২৮ এপ্রিল পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল  ২৮ মার্চ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে দু'জন জন নারী প্রার্থীও রয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দান কারীরা হলেন, প্রয়াত মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু'র ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন (নোভা) ও তাঁর   মা নাজনীন চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট ও তাঁর  সহধর্মিণী ইফফাত আরা জান্নাত। এছাড়াও সমাজসেবক শিক্ষানুরাগী  প্রভাষক সাদের হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম আজম প্রমুখ মনোনয়ন জমা করেছেন।

পৌরসভাটির ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি ভোটকেন্দ্রে এবারে মোট ভোট সংখ্যা ৩৭,১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮,৭৭৪ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৮,৪১৭ জন। 

নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,  পৌরসভার মেয়র  এর মৃত্যুতে এটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল উপ -নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজকে ছিল মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষদিন। আশা করি এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্ট।  উল্লেখ্য, মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ রাতে  হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও খবর



রূপগঞ্জে ইমাম সম্মেলনে গাজী গোলাম মূর্তজা---‘মুরুব্বিদের সমর্থনে নির্বাচন করবো’

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

রূপগঞ্জ উপজেলা ইমাম সম্মেলন -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় রূপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রূপগঞ্জ উপজেলা ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রূপগঞ্জ উপজেলা শাখা।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা বলেন।


নামাজ ছাড়া কোন উপায় নেই। সবাই নামাজ পড়বেন। ইমামরা মসজিদের নেতা। আপনারা (ইমাম) যে কোন সমস্যায় আমাকে ফোন করবেন, আমি আপনাদের পাশে আছি। সমাজের মাদক ,সন্ত্রাস, ইভটিজিং দূর করতে ইমামদের অবদান অনেক।গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা আরও বলেন, সমাজের মুরুব্বিরা চাইলে আমি রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবো। আমার দলের নেতা ও মুরুব্বিদের সমর্থনে আমি নির্বাচন করবো। সবার সমর্থন পাচ্ছি, অনেকেই এখন আমার জন্য প্রচার করছে।রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক (নারায়ণগঞ্জ) মো: জামাল হোসেন, রূপসী বাগবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারী মো: আব্দুল্লাহ খান মুন্না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার (রূপগঞ্জ)  আলহাজ্ব হাম্মদ আল-আমিন।পকিরে রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা মসজিদের ইমামদের মাঝে পুরস্কার ও কোরআন শরীফ বিতরণ করেন গাজী গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের কবরে গার্ড অফ অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কবরে ২৬ মার্চ সকালে গার্ড অফ অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান অংশ নেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন। সমাধিস্থলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনূষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

যশোর ৪৯ বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অফ অনার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা। দিনটি উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর সমাধিতে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ৮৫ যশোর, শার্শা ১ আসনের সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর-১ এর সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু,  যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছানুজ্জামান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সমাধিতে এদিন শ্রদ্ধা জানান, শহীদের সন্তান এসএম গোলাম মোস্তফা কামাল, মেয়ে হাসিনা খাতুন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৫৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পর ১৯৭০ সালের ১০ই জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্সনায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।

১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নূর মোহাম্মদ শেখ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।


আরও খবর