Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

কালিয়াকৈরে শ্রমিক-পুলিশের সংঘর্ষ কারখানা- যানবাহন ভাংচুরে যানজট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে কারখানা ও যানবাহন ভাংচুর করেছে শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সোমবার সকালে উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার কোকলা ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বেশ কিছু দিন ধরে সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু শ্রমিকদের দাবীর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই কারখানার মুল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে।

কিন্তু তাদের দাবীর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় ভাংচুর করে বাইরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অবস্থান করে। পরে তারা ওই মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর চালায়। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে প্রায় দেড় ঘন্টা চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ, মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় শ্রমিক ও

পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় পুলিশ বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকার ঘোষিত যে নতুন বেতন কাঠামো করা হয়েছে। সেটা আমাদের কারখানায় দেওয়া হচ্ছে না। পূর্বের বেতনের টাকায় তো সংসার চলে না। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে জীবন চলছে। তাই সরকার যে বেতন নির্ধারণ করেছে, আমরা সেটাই চাই। আমরা ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু বহিরাগতরা ও পুলিশ কেন আমাদের ওপর হামলা করবে? আমাদের অনেক শ্রমিক ভাই-বোন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে মালিকপক্ষ যদি সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না করে, তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্পপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক মজুমদার জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু শ্রমিকরা কোনো কথা না শুনেই কারখানা ভাংচুরে চেষ্টা চালায় এবং মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ কারণে পুলিশ অনেকটা বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


আরও খবর



রামগড়ে কৃষিজমির মাটি কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চার লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সদর ইউনিয়নে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাটার অপরাধে  মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক ব্যক্তিকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৯শে এপ্রিল) বিকেলে  উপজেলার  রামগড় সদর ইউনিয়নের রুপাইছড়ি এলাকায়  কৃষি জমি থেকে স্কেবেটর দিয়ে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাঁটার অপরাধে রামগড়  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযান পরিচালনাকালে রামগড় থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মোঃ ফারুক সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স, প্রশাসনিক কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন
বলেন,কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাটার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী এক ব্যাক্তিকে ৪ লাখ টাকা  জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৪জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান মাগুরা থেকে:প্রচণ্ড গরম আর তাপপ্রবাহে লিচুর গুটি ঝরে পড়া কোনোভাবেই ঠেকাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। এ অবস্থায় গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তীব্র তাপপ্রবাহে বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। প্রচণ্ড গরম আর খরায় ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। আর যা আছে তা আকারে ছোট। তাপপোবাহের কারনে লিচুর আকার বাড়ছেনা।

মাগুরার লিচুপল্লী বলে খ্যাত হাজরাপুরের চাষিরা জানান, লিচুর গুটি দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে তা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড খরায় কৃষি কর্মকর্তাদেরও পাশে পাচ্ছেন না লিচু চাষিরা।

তবে চাষিরা অসহযোগিতার অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন কৃষি কর্মকর্তা। প্রচণ্ড খরায় লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধ করতে পর্যাপ্ত পানি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

হাজরাপুরা গ্রামের লিচু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে লিচুর উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হবে। লিচু বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা পুঁজি উঠবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। আগে যে লিচু গাছ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হত এখন সেই লিচু গাছ ১৫শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। গেল কয়েকদিন তীব্র তাপদাহে এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন লিচু চাষিরা। জেলায় ১ শ' কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে আশংকা  করছে কৃষকরা।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর ৬৬৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এখান থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য জেলার মতো মাগুরায়ও  তীব্র তাপদাহ চলছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের করণীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এ সময় লিচুর ক্ষেত্রে গুটি ঝরে পড়ছে। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড,ইয়াসিন আলী  জানান, কৃষকদের তারা পরামর্শ দিচ্ছেন সকাল বিকেল সেচ দিতে যাতে গাছে রসের অভাব না হয়। লিচুর গুটি ঝরে পড়ে অনেক সময় পটাশের অভাবে এবং সারের অভাবেও লিচু অনেক সময় ঝরে যেতে পারে। এসময় বোরন স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরন এবং ১০০ গ্রাম পটাশ মিশ্রিত করে বিকেলে বা সন্ধ্যার আগ দিয়ে যদি গাছে স্প্রে করা হয় তাহলে লিচু ঝরে পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে। ফলে বাড়তে পারে লিচুর উৎপাদন।

আরও খবর



পোরশায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় সড়ক দুর্ঘটনায় লালচাঁন(৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত শিশু লালচাঁন উপজেলার নিতপুর ইউপির মনোহরপুর গ্রামের রুবেলের ছেলে।

জানা গেছে, গতকাল রোববার শিশু লালচাঁন তার মায়ের সাথে চিকিৎসার জন্য নিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। চিকিৎসা শেষে দুপুর ২টার সময় মায়ের সাথে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। রাস্তায় কপালির মোড়ে পটেটো খাবে বলে ভ্যান থেকে লাফিয়ে রাস্তা পার হয়ে দোকানে যাচ্ছিল লালচাঁন। এসময় বিপরিত দিক থেকে আসা একটি অটো চার্জার ভ্যান এসে চাঁপা দেয় শিশু লালচাঁনকে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ ব্যাপারে আবুল কালাম নামের এক অটো ভ্যান চালক ও তার অটো ভ্যানটি আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক আবুল কালাম নওগাঁ সদরের ভিমপুর মোনারপাড়া গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে। 

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



রাণীশংকৈল রাজবাড়ি'র পূর্ণরূপ ফিরে পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে: যুগ্ন সচিব আতাউর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল শনিবার (১০ মে)  বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের অবস্থিত শতাধিক বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন, রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আতাউর রহমান। 

এসময় ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সচিব সহ সফর সঙ্গীগনকে বরণ করেন, ঠিকাদার মাহফুজ হাসান বকুল,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, খালিদ মাহমুদ সুজন, তাহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইস ইমাম। 

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর নাহিদ সুলতানা, সহকারি প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন, সহকারি কাস্টোডিয়ান সিহাব হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মাহবুব আলম ও রাজবাড়ি কেয়ারটেকার কাজল ইসলাম সহ স্থানীয়রা। 

উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বরাদ্দে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কাজ প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বকুল ইলেকট্রনিক্স শুরু করে। টংকনাথের রাজবাড়ী সংস্কার কমিটির আংশিক সদস্যগণ এবং কমিটির পক্ষ থেকে রাজবাড়ী সংস্কারের জন্য ১০(দশ) টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ন সচিব বলেন, আগামিতে রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটি পুরনো রুপ ফিরে দিতে সংরক্ষণে জন্য বড় আকারের বরাদ্দে সংরক্ষণের কাজ হবে।

আরও খবর