Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কালিয়াকৈরে এবার সাংবাদিকের গাড়িতে তালা ঝুলালেন ইউএনও

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের ভিতরে পাকিং করায় এক সাংবাদিকের গাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরেই ওই কর্মকর্তা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। সোমবার পর্যন্ত গাড়িটি তালাবন্ধ থাকায় নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন মহলের লোকজন।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক সূত্রে জানা গেছে, গত দ্বাদশ নির্বাচন সুষ্ঠ, সুন্দর নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ করার লক্ষে ঢাকার ধামরাই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বদলি করা হয়। তিনি কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর নৌকার বিপক্ষে কাজ করে সমালোচিত হন। এরপর তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটি খেকোদের চারটি ভেকু জব্দ করে। এতে আলোচিত হলেও কয়েকদিন পরই জব্দকৃত ভেকু ছেড়ে দিয়ে আবারো সমালোচিত হন ওই কর্মকর্তা। পরে তার অলিখিত অনুমোদনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাটি খেঁকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি, উচু জমি, খালের পাড়, টিলা, নদীর তীরসহ মাটি কাটার উৎসবে পরিণত হয়েছে। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রচারের লক্ষ্যে ওই কর্মকর্তা বক্তব্য নিতে গেলে দুজন টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর চটে যান।

এক পর্যায় তার আনসার সদস্য দিয়ে ওই সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ওই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে তার অফিস থেকে বের করে দেন ওই কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী অবৈধ ইটভাটায় লোক দেখানো অভিযান করে তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বৈষম্যের জরিমানায় ক্ষুব্দ হন ইটভাটার মালিক ও স্থানীয়রা। মনগড়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি করে আরো বিতর্কিত হন ওই ইউএনও। এসব বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর আক্রোশে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেনকে তার গাড়ি উপজেলা চত্ত্বরে পাকিং করতে নিষেধ করেন ওই কর্মকর্তা। এরপর থেকে ওই সাংবাদিক কয়েকদিন ধরে উপজেলা চত্ত্বরে তার গাড়ি রাখেন না। কিন্তু গত রোববার সকালে ওই সাংবাদিক তার গাড়িটি উপজেলা চত্ত্বরে রেখে অন্যত্র চলে যান। দুপুরের পরও তার নির্দেশে ওই সাংবাদিকের গাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেন তার দেহ রক্ষী আনসার সদস্য। পরে তালা সম্বলিত গাড়ির ছবি ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মুলত ইউএনও’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরেই তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। সোমবার পর্যন্ত গাড়িটি তালাবন্ধ থাকায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন মহলের লোকজন। তারা বলছেন, আসলে দেশে সাংবাদিকরা এখন নিরাপদ না, সেখানে সাধারণ জনগন কতটুকু নিরাপদ আছে? তিনি এখানে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব একজন ইউএনওর কারনে দেশের সকল ইউএনও, প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তারা। ওই গাড়ির মালিক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন আগে উপজেলা চত্বরে গাড়ি রাখায় ওই ইউএনর দেহ রক্ষী (আনসার) আমাকে গাড়ি রাখতে নিষেধ করেন। এর পরে আমি সেখানে আর গাড়ি রাখি না। কিন্তু রোববার অফিস সময়ে ওই চত্বরে গাড়ি রেখে বাহিরে গেলে গাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

মাটি খেঁকোদের পক্ষে সাফাই গেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, যদি মাটি কাটা বন্ধ হলে বাড়িঘর হবে কিভাবে? আইনে নিয়ম না থাকলেও বাস্তবে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এছাড়া সাংবাদিকের গাড়িতে তালা ঝুলানোর বিষয়ে তিনি মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা পরিষদ পাকিংয়ের জায়গা না।

এখানে কেউ অবৈধ ভাবে পাকিং করলে আমরা তালা বদ্ধ করতেই পারি। এখানে বক্তব্য নেওয়ার দরকার নাই। তবে ওনার আসার দরকার বলে তিনি উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, এটা কি নিউজ করার বিষয়?


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী ভোট কেন্দ্র স্থান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃরৌমারীতে প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে আসা কেন্দ্রটি অনত্র স্থান্তরিত হওয়ায় এলাকাবাসি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন ৩ নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামে। মানব বন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বন্দবেড় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্জ কদম আলী , বন্দবেড় ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু রেজাসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বন্দবেড় গ্রামের নামে বন্দবেড় ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়েছে দেশ স্বাধীনের পর হতে। যে গ্রামে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্রে নিয়মিত ভোটের কার্যক্রম চলে আসছিল।

হটাৎ করে ৪/৫ দিন আগে রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাযায়, বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট সেন্টারটি কেটে বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। এমন সংবাদে বন্দবেড় গ্রামের শতশত মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

যার পরিপেক্ষিতে বন্দবেড়ের শতশত ভোটার প্রতিকারের জন্য দফায় দফায় মানব বন্ধন ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসির প্রানের দাবী অবিলম্বে পূর্বের স্থানে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহাল করা হউক। তারা আরো বলেন, ভোট কেন্দ্রটি বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বহাল না রাখলে বন্দবেড়ের ২ হাজার ভোটার ভোট বর্জনের হুসিয়ারী প্রদান করেন। পরিশেষে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহালের  নিমিত্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, যেহেতু ভোট কেন্দ্রটি বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরিপের মাধ্যমে স্থানন্তরিত করা হয়েছে, পূর্বের স্থানে বহাল করার আমার এখতিয়ারের বাইরে। এব্যাপারে ঢাকা নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন।


আরও খবর



হিলিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুরের হিলিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ,গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি প্রশিক্ষণ হলরুমে ৪ শত ৫০ জন কৃষকদের মাঝে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।এসব বিতরণ অনুষ্ঠানে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: আরজেনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মেজবাহুর রহমান,পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম রব্বানী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইমাম কবিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ ধান, পাট ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ (নাবী) এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে।তিনি আরও জানান,এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রতি বিঘার জন্য আউশ ধানের বীজ ৫ কেজি, ১০ কেজি ডিএফপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি বিঘা ১ কেজি পাট বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সময়ে ৩০ জন কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মধুপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)  সকাল ১১ টার দিকে  উপজেলা পরিষদ হলরুমে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. শরফুদ্দিন ।  

এসময উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা শিরিন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনি সংকর রায় প্রমুখ।

উক্ত মতবিনিময় সভায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাগণদের সুষ্ঠু অবাদ ও  নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য দিক নির্দেশনা মুলক পরামর্শ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিক্ষা একাডেমিক অফিসার মহি উদ্দিন আলমগীর। 

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর



যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ বেশকিছু দিন ধরেই চলছে।বিশেষ করে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে।

বৈশাখের তপ্ত গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশের সাথে যশোরের মানুষ।  তীব্র তাপপ্রবাহে আগুন ঝরা রোদ থেকে রক্ষা পেতে যশোরের মানুষ একটু ছায়া খুঁজছেন।

চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। ভোগান্তিতে চরমে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাছাড়া  শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গরমে গলে উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর