Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

কালবৈশাখীর তান্ডবে শার্শার আম চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩০২জন দেখেছেন

Image
ইয়ানূর রহমান : কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে শার্শার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তাদের চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ভবিষ্যতের স্বপ্নভেঙ্গে যেতে বসেছে ৷

উপজেলার বিভিন্ন বাগানে-বাগানে মাটিতে পড়ে থাকা আমের দৃশ্য চোখে পড়ে। বাগানে গাছের ডাল ভেঙে পড়া সহ ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ বাগানের আম।

স্বপ্ন ভঙ্গ আম চাষিরা বলেন, ঝড়ে আম বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আম ঝরে পড়ে গেছে। তবে, কৃষি বিভাগ বলছেন, তারা এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেননি।

উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকার আমচাষি রাজু বলেন, ৩০ বিঘা জমির ওপর আম বাগান রয়েছে তার। ঝড়ে বাগানের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে গেছে। অনেক গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। আম এখনও পরিপক্ক না হওয়ায়, ঝরে পড়া আম ৪ থেকে ৫ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। আর যে সব আম ফেটে গেছে, সে সব আম কেউ কিনবে না।

শার্শার বাগআঁচড়া, বেনাপোল, কায়বা, গোগা এলাকার কয়েকজন আম চাষী জানান, আম্ফান ঝড়সহ বিভিন্ন ঝড়ে গত কয়েক বছরে লোকসানের পরও এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছিল। এতে করে তারা স্বপ্ন দেখছিল লাভের। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ১০ মিনিটের কারবৈশাখীর ঝড়ে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।

একই সাথে, এ ঝড়ে আম চাষিদের পাশাপাশি ধান চাষিদেরও স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তাদের বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ধান গাছ হেলে পড়া ও জমিতে পানি জমে যাওয়ায় পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান কৃষকেরা। সেই সাথে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, শার্শায় এবার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার বাগানে আম ভালো ধরেছিল। তবে কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে আমের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি এবং ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ আ’লীগ ডোমার থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার ও মেধাবী কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনজারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু।

শিক্ষক রেজওয়ানুল হক উৎপলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী, পৌর কমান্ডার ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক অবঃ প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুল হক গোল্ডেন, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ লতিফুল মোস্তাকীম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান সাবিহা বিনতে বৃষ্টি মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৩৮তম স্থান অর্জন করায় ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে বিশেষ সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার ৩ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদ্য ও শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃতিতাস গ্যাস ফতুল্লা অফিসের সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জোবিঅ-ফতুল্লা অফিসের  সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।তার বিরুদ্ধে লাগামছাড়া অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার তথ্য মিলেছে অনুসন্ধানে। সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।চাকুরীর সুবাদে বসবাস করেন ঢাকায়।গত কিছুদিন পুর্বেও তিনি ছিলেন তিতাস গ্যাসের সাধারন একজন কর্মচারী।২০২১ সালের শেষের দিকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা (হিসাব) নিযুক্ত হন। তিতাস গ্যাসের জোবিঅ- ফতুল্লা অফিসে ৭ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে কর্মরত আছেন। একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন চাকুরীর সুবাদে তার সাথে অবৈধ গ্যাস সংযোগ চক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। 

অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে মাসোয়ারা আদায় মিল কারখানা থেকে উৎকোচ গ্রহনে সিদ্ধহস্ত এই সাহাবুর রহমান। তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসে বসেই গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করেন। পদ পদবী অনুযায়ী তিনি ফিল্ডে যেতে পারেন না কিন্তু নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই নানা গোঁজামিল দিয়ে তিনি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়মের ধুয়া তুলে অর্থ আদায় করেন।

এ ছাড়াও অফিসের বাইরে বসেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাসোহারা আদায় করেন সাহাবুর রহমান।তার এই অফিসের দুর্নীতিবাজ অন্যন্য কর্মচারী কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক।প্রতিমাসে অবৈধ সংযোগ থেকে বিকাশের মাধ্যমে বিপুল পরিমান মাসোহারার টাকা লেনদেন হয় সাহাবুর রহমানের।এসব অবৈধ উপার্জনের টাকা দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেন।এছাড়াও সঠিক সময়ে নিয়মিত অফিসে আসেন না বলেও জানান প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহাবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমার কোন বক্তব্য নাই, আপনার যা খুশি লেখেন।


আরও খবর



বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না, বলেছেন মিয়ানমার ইস্যুতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে।

সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়” এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


আরও খবর



আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ:৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা!

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি;আমতলী উপজেলায় ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

জানাগেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের ৬ শয্যার ডায়েরীয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

ডায়েরীয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পায়না নদী সংলগ্ন এলাকার বলে জানা গেছে। লবনাক্ত পানি ব্যবহারেই ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ১১ জন এবং বারান্দায় ১৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়েরীয় আক্রান্ত আমড়াগাছিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়েটিক ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তারপরও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন।চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের সাজেদা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না।

চাওড়া ইউনিয়নের ডাক্তারবাড়ী এলাকার জাহেদা বেগমের স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন নেই। স্যালাইন  বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার শিশু রোগী রেদওয়ানের স্বজন বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সব কিছু বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন হাসপাতালে বেড না থাকায় বাহিরের বেডে ছেলেকে নিয়ে থাকছি। এতে সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে আরো ডায়েরিয়া বেড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

কুকুয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী রুপশা বেগম বলেন, ওরে বাবা আল্লায় মোরে বাচাইবে কিনা হেইয়্যা কইতে পারি না। মুইএ্যাকছের বায়রায় যাই।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় রোগীদের সংখ্যা অনেক বেশী। ধারনা করা হচ্ছে নদীর লবন পানি ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইভি স্যালাইন সরবরাহ অব্যহত আছে। তবে আরো স্যালাইনে চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই স্যালাইন পেয়ে যাব। ডায়েরিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


আরও খবর