
নাজমুল হাসানঃ
খরস্রোতা নদীর তীরে দাড়িয়ে উজান গাঙয়ের নাইয়া হতে যেওনা।কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।উজানে ভেসে খরস্রোতা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব না বরং দুরুহ ব্যাপার তা সকলেই জানে।তার পড়েও অনেকে অসম্ভব কে সম্ভব করে ব্যাক্তি জীবনে খরস্রোতা নদীর মতো প্রতিকুল পরিবেশকে পাড়ি দিয়ে উজান গাঙের নাইয়া হিসেবে সফলতার দ্বাড়প্রান্তে পৌছে গেছেন।অসাধ্যকে সাধন করেছেন।অনেকে খরস্রোতা নদী পাড়ি দিয়ে জীবনটাকে উজান গাঙের সফল নাইয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।জীবনের চলার পথকে উচু নিচু,আঁকা বাকা আবার কখনো খরস্রোতা নদীর সাথে তুলনা করেছেন।তেমনি একজন সফল ব্যাক্তি রুপসী পল্লী টাওয়ারের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমজান আলী মাষ্টার।বাক্তি জীবনে তিনি একজন সফল সংগঠক ও ব্যাবসায়ী।
নিজ জীবনকে আলোকিত করে যারা অন্যের জন্য নিজেকে আইকন বানিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তেমনি একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব রমজান আলী মাষ্টার।এক সময়ে চরম দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে নিম্ন বিত্ত পরিবারে ছিল যার বসবাস আজ তিনি সমাজের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যাক্তি।এক সময়ের ১২০০ টাকা বেতনের স্কুল মাষ্টারের জীবন আজ রঙিন ও স্বপ্নময়।আলহাজ্ব রমজান আলী মাষ্টারের পিতা ছিলেন একজন কৃষক।কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় তার জন্ম।আলহাজ্ব মোঃ রমজান আলী মাষ্টারের পিতা আলহাজ্ব মোঃরুস্তম আলী,তার মাতার নাম তাজ বানু,স্ত্রীর নাম মোসাম্মৎ আমেনা বেগম গ্রামের বাড়ি-গ্রামঃ গল্লাই ইউনিয়ন গল্লাই থানা চান্দিনা জেলা কুমিল্লা।সন্তানদের নাম যথাক্রমে প্রিয়াঙ্কা মাহমুদ রথী,তাজরীমা মাহমুদ চৈতি,আদনান মাহমুদ অভি,অর্পিতা মাহমুদ অর্পি।
শৈশবকাল থেকেই প্রতিকুল পরিবেশে অর্থ সংকট মাথায় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।আজ তিনি জয় করেছেন সবকিছুকে।তার সন্তানদের তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন।ছেলে আদনান মাহমুদ অভি ব্যারিষ্টার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মাহমুদ রথী ডাক্তার হিসেবে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন,অন্য মেয়ে তাজরীমা মাহমুদ চৈতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্বঃবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত।তার স্ত্রীকে একজন রত্নগর্ভা জননী বললেও ভুল হবে না।তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ও স্বামীভক্ত।তিনি সব সময় রমজান মাষ্টারের পাশে থেকে উৎসাহ যুগিয়েছেন।রুপসী বাংলার পল্লী গ্রামের রমজান মাষ্টার আজকে ঢাকা শহরের ডেমরার রুপসী পল্লী টাওয়ারের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা।
অবারিত সবুজের সমারোহে বিস্তৃত নদীমাতৃক বাংলার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে বিমুগ্ধচিত্তে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ মনের গভীর থেকে উৎসারিত ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন -"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিত যাই না আর ৷ "
নদীবেষ্টিত আমাদের এই সোনার বাংলা সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমী৷ ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নদ-নদীই আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান। নদীর সাথে মিশে আছে আমাদের সুখ দুঃখ, আমাদের হাসি-কান্না। মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'কপোতাক্ষ'। বিদেশ বিভূঁইয়ে শত হাজার মাইল দূরে অবস্থান করেই কবি তাঁর শৈশবের সেই কপোতাক্ষকে ভুলতে পারেনি৷ জীবনানন্দ দাশের 'ধানসিড়ি'। তিনি লিখেন-
"আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে— এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়— হয়তো শঙ্কচিল শালিকের বেশে, আবার আসিব আমি বাংলায় নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে।"
মাইকেল মধুসূধন দত্ত এবং রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ দুজনেই স্বনামে পরিচিত।তাদের মতোই আজ স্বনামে প্রতিষ্ঠিত রুপসী পল্লী টাওয়ারের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা রমজান মাষ্টার।
ঢাকার শহরতলী ডেমরায় সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান।প্রতি বছর এ প্রতিষ্টানটি থেকে ভাল রেজাল্ট নিয়ে অগনিত শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশসেরা বিশ্ব বিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।এমন শিক্ষাঙ্গন থেকে চরম পরিশ্রম আর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এগিয়ে গেছেন রমজান আলী মাষ্টার।তার মাধ্যমে নির্মিত টাওয়ারগুলো যেন স্থাপত্য শৈলির সেরা নিদর্শন।তিনি স্বল্পমুল্যে সেরা নির্মানে মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন নাগরিকদের।
রমজান মাষ্টার বলেন আমি জিবনে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছি তবে সব কিছুর পিছনে একটি মানুষের ছায়া আছে।আমার জীবনে আইকন বলতে একজনই আর তিনি হলেন সামসুল হক খাঁন স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা।একটু একটু করে পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে জীবনকে কিভাবে উন্নতির চরম শিখরে এগিয়ে নিতে হয় সবি তার কাছ থেকে শিখেছি।কোন কাজই ছোট নয় ছোট আমাদের মন।কাজকে কাজ মনে করে এগিয়ে চলতে পারলেই আলহাজ্ব রমজান মাষ্টারের মতো সেরা ব্যাক্তি হওয়া যায়।যে কাজে সম্মান আসবে কি আসবে না তা ভেবে বসে থাকলে হবেনা।কাজকে আপন করে নিতে পারলে তাকেই আপন করে নেয় সাফল্য।