
বজলুর রহমানঃ
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫২নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর মাদ্রাসা রোডে অবস্থিত ১৬৫ নং হোল্ডিংয়ের নির্মানধীন রাজউকের অনুমোদন বিহীন ভবনটির দক্ষিন পাশের একাংশ ধসে পড়েছে পার্শবর্তী বাড়ির উপড়।গত ২৩ জুন বৃস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।তবে ঘটনার সময় পাশের বাড়ির মালিক মোঃ ফাহাদ হোসেনের ঘরে কোন লোকজন না থাকায় দুর্ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ধসে পড়া ভবন মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেন ৬ তলা বিশিষ্ট পুরাতন একটি ভবন রাজউকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঝুকিপুর্নভাবে ভবনটির নির্মান কাজ চালিয়ে আসছিল।গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে ঝুকিপুর্ন ভবনটি নিয়ে দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।স্থানীয় কাউন্সিলর কে বিষয়টি অবগত করা হয়।তবে শত অভিযোগের পরেও রাজউক কিংবা ঢাকা দক্ষিন সিটিকর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে কোন ব্যাবস্থাই গ্রহন করা হয়নি।
তাছারাও একই স্থানে আরো ৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে দীর্ঘ বছর যাবৎ।এসব ভবনেও যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।ধসে পড়া ভবন মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেনের কন্যা বিলকিস এর ৩ তলা ভবনটি অধিক ঝুকিপুর্ন বলেও জানায় পার্শবর্তী বাড়ির লোকজন।বাড়ির মালিক বিল্লাল ও তার ছোট মেয়ে বিলকিস এর সাথে কথা বললে তারা জানায়, "আমাদের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এটা নতুন কিছু না।স্থানীয় কমিশনারসহ এলাকার সকলেই অবগত আছেন, কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তারা এ বিষয়টি দেখবেন।"
স্থানীয়রা জানায় রাজউক কর্মকর্তা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েকবার এসেছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনে কিন্তু ওই কর্মকর্তারা বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে গোপনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বার বার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন গুলোর দিকে নজর নাই রাজধানী উন্নয়ন রাজউক কর্তৃপক্ষের, এমনকি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্তব্যরতদের। কয়েকজন ভাড়াটিয়ার সাথে কথা হলে তারা জানায় স্বল্প ভাড়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনে বসবাস করছেন তারা।
স্থানীয় ৫২ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ রুহুল আমিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ তা সত্য তাছাড়াও আমার এলাকায় অগণিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে যা রাজউক কর্তৃপক্ষের নজরে নাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে জরুরী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছি।