ফরিদপুরের সালথায় ভাঙচুর মামলা না তোলায় বাদীর বাড়িতে ফের হামলা অভিযোগ উঠেছে বিবাদীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মতিউর রহমান মতি জাগো নিউজকে বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমার বাড়িতে মুক্ত মেম্বারের নেতৃত্বে প্রথম দফায় হামলা চালায়। সেই ঘটনায় চার ভাইসহ তার দলের লোকজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করি। যা আদালতে বিচারাধীন। মামলাটি তুলে নিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আসামিরা আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি বিনোকদিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। পথে কাজী কামরুজ্জামানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মুক্ত মেম্বার, শাহআলম, সজীব ও মাহমুদসহ ১০ থেকে ১২ জন আমার গতিরোধ করে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ সময় আমাকে পিটিয়ে জখম করে। আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে শাহআলমের নেতৃত্বে ২০-২২ জন লোক আমার বাড়ি ও আমার ভাইয়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আমার স্ত্রী ও ভাবিকে মারধর করে।’
এ বিষয়ে মতির ভাই হায়াৎ আলী মাতব্বর বলেন, ‘হামলাকারীরা একটি বরফকল ও চারটি বসতঘর ভাঙচুর করেছে। এ সময় নগদ টাকা, সোনার গহনাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।’

মতির স্ত্রী আমেনা আক্তার বলেন, ‘২০-২২ জন লোক এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় শাহআলম, মুক্ত ও সজীব আমাদের বলতে থাকে সোমবারের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে তোদেরকে মেরে ফেলবো।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মুক্ত জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা কোনো হামলা করিনি। মতি মেম্বার উল্টো আমার ভাইকে মেরে চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সালথা থানায় করা ভাঙচুরের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। বৃহস্পতিবার মালমার হাজিরা দিয়ে শাহআলম, মুক্ত মেম্বারসহ কয়েকজন আসামি বাড়িতে ফেরার পথে মতি মেম্বারের সঙ্গে দেখা হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির পরে শাহআলম ও মুক্ত মেম্বার তার দলবল নিয়ে মতি মেম্বার ও তার ভাই হায়াৎ আলী মাতব্বরের বাড়িতে হামলা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এজাহার দিলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এসআই।