Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

জিম্মি মার্কিনি মা-মেয়েকে মুক্তি দিল হামাস

প্রকাশিত:শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২৩৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলের হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা মার্কিন দুই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

তারা হলেন জুডিথ রানান (৫৯) এবং তার মেয়ে নাতালি রানান (১৮)। মা ও মেয়ে বেড়াতে গিয়ে যুদ্ধ অবস্থায় পড়েন ও জিম্মি দশার শিকার হন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আল জাজিরা বলছে, মুক্তির পর দুই মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।হোয়াইট হাউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই নাগরিককে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

আল-জাজিরা জানায়, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেছেন-মানবিক কারণে দুই মার্কিন জিম্মিকে তারা মুক্তি দিয়েছেন।আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কাতারের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে আল-কাসাম ব্রিগেড মানবিক কারণে দুই আমেরিকান নাগরিককে (একজন মা ও তার মেয়ে) মুক্তি দিয়েছে।’

আবু ওবাইদা দাবি করেন, দুজনকে মুক্ত করে তারা আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চান যে-বাইডেন এবং তার প্রশাসনের দাবিগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।এর মাধ্যমে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ ইসরাইলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ তৎপরতা শুরুর বিষয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সদ্য অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বৈশ্বিক বিজয়ী (গ্লোবাল উইনার) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আইফার্মার লিমিটেড।

অর্থায়ন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর, কৃষি সামগ্রী সংগ্রহ আরও সুবিধাজনক, বিশেষজ্ঞ কৃষি- পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইফার্মার। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল আইফার্মার।

এএফআই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত একটি পলিসি লিডারশিপ অ্যালায়েন্স যা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফিনটেক এবং রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) উদ্ভাবকদের কাজ প্রদর্শন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে এবং পরিষেবাগুলোর মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এই আয়োজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এএফআই সদস্য, ফিনটেক খাত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ অতিথিদের বিবেচনার জন্য ফাইনালিস্ট ১২টি প্রতিষ্ঠান এ বছরের এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টের জন্য তাদের উদ্ভাবন উপস্থাপন (ভার্চুয়ালি) করে। এএফআই সদস্য এবং বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আইফার্মার প্রথম স্থান, মোসাবি (সিয়েরা লিওন) দ্বিতীয় স্থান এবং রেভফিন (ভারত) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সকল বিজয়ী এল সালভাদোরে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামে আমন্ত্রণ, এক বছরের জন্য এএফআই এর পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লুক্সেমবার্গ হাউস অফ ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে এক বছরের জন্য সদস্যপদ পাবেন।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন আইফার্মারের হেড অফ নিউ বিজনেস অপরচুনিটিস মোহাম্মদ ইখতিয়ার সোবহান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কৃষকরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কৃষকদের সহিষ্ণু মনোভাব ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ফাইনালিস্ট এবং বিজয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি আমাদের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অর্জন কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশব্যাপী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা খুবই আনন্দিত যে, কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার প্রয়াস একটি বৈশ্বিক মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করার জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”

২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়।বাকি ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিল - ডটস ফর ইনকর্পোরেটেড (পশ্চিম আফ্রিকা), ইমাইশা পে (আফ্রিকা),জিসেকে+ডেভরিয়েন্ট (জার্মানি), গুডটেক ইনফরমেশন সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড (ফিলিপাইন), হ্যালো ট্র্যাক্টর কেনিয়া লিমিটেড (কেনিয়া), আইফার্মার লিমিটেড (বাংলাদেশ), জুমো (ঘানা), মোসাবি (সিয়েরা লিওন), মাইস্ট্যাশ (নাইজেরিয়া), পারটেন্স (মোজাম্বিক), রেভফিন (ভারত) এবং এক্সচেঞ্জ বক্স সলিউশন (নাইজেরিয়া)।


আরও খবর



নাসিরনগরে জমিতে সেচের পানি দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে, আহত ১৫

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৪৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান দুই মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।১৩ এপ্রিল ২০২৪ রোজ শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ।নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাইল গ্রামে হওয়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল পাঠানের বংশের মাসুদ পাঠান কৃষি জমিতে সেচের পানি পাম্প পরিচালনার ব্যবসা করেন।

জমিতে পানি দেওয়ার বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি সাবেক ইউপি সদস্য মারফত আলীর বংশের এক ব্যক্তির জমিতে পানি দেওয়ার পরও সে মাসুদকে টাকা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে শনিবার দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা হলে তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।এরমধ্যে সাত জনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
এমরান আলী রানা সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় জনসচেতনতার লক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছেন পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী বিচে এসব বিতরণ করেন পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা মো. এমরান আলী রানা।

লিফলেট বিতরণকালে পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলন  ও সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। একটি গাছ কাটার আগে অন্তত ৫ থেকে ১০টি সমকক্ষ গাছ লাগাতে হবে। প্রকৃতিতে আজ বিরুপ প্রভাব পড়েছে। চলছে তাপদাহে প্রচন্ড গরম আবাহাওয়া  আগের মত ব্যাঙের ডাক, ঝিঝি পোকার ডাক শোনা যায়না। তার মানে প্রকৃতি থেকে এসব প্রাণী আজ হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন বন্ধ করতে হবে। কারণ একটা সময়ে হয়তো কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেলে দেশে ধানের উৎপাদন কমে যাবে তখন বিদেশ থেকে ধান চাল আমদানি করতে হবে। ধুলাবালি থেকে নিজেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে। নিজের জন্য এবং আপনার আমার সন্তানদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যই পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।

আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে মারা গেলেন ৪০৭ জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবার ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি । এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্র্টস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান।

সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ঈদযাত্রায় রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।


আরও খবর