নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানিতে আয়োজিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ সাত দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করবেন তিনি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ সফরের বিভিন্ন কর্মসূচির তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুওয়ারি) জার্মানির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফ হিউজেনের আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত সাতটি দেশ ও তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষনেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৫শ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণসহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ৪ দিনের সরকারি সফরে যাত্রা করবেন। পরে একইদিন সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছাবেন তারা।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে মিউনিখ ত্যাগ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি পৌঁছার কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ভেনজা শুলজ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটা’র গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি আনয়নের মূলমন্ত্র নিয়ে বিগত ১৯৬৩ সাল থেকে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ সম্মেলনের ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আসরে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ। সেইসঙ্গে একক দেশ হিসেবে জার্মানি বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপে সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার।
তিনি আরও জানান, তারা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।