Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জাপান সফরে এপ্রিলে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬০জন দেখেছেন

Image

বাসস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত জাপান সফর আগামী এপ্রিলে হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক (স্পিচ রাইটার) এম নজরুল ইসলাম।

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি

এম নজরুল ইসলাম বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্চ অথবা এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা ছিল। তখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, নতুন কোনো তারিখে সফরটি হবে। দুই দেশ এটা নিয়ে কাজ করছে। কেননা এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সফর দুটি দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যায়। 


আরও খবর



সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবার বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সমস্যাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ নিয়ে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে আরেকটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক।

জানা যায়, সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একিভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আরও খবর



রৌমারীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইমান আলী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথমধাপে তফসিল ঘোষণার পরেও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত উপজেলা পরিষদের গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, শোডাউন ও মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা পরিষদের কর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইমান আলীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার টাপুরচর ও চরশৌলমারী এলাকায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রা মঞ্চে ভোট চাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী এ অভিযাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার পরেও রৌমারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.ইমান আলী সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই উপজেলার টাপুরচর, চরশৌলমারী, লাউবাড়ি, খরানিরচর, শেখের বাজার, বাগুয়ার চরসহ বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী উঠান বৈঠক, যাত্রা মঞ্চ, মেলা, ধর্মীয় সভা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা,শোডাউন মহড়া ও দোয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী গতকাল সোমবার অনলাইনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করেছেন।

অথচ নির্বাচণী পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি,সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুয়োগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণকে ব্যবহার করতে পারিবেন না বলে উল্লেখ রয়েছে।এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে মুঠোফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির আহমেদ (অতি:) জানান, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে না। তবে বিষয়টি খোজ নিচ্ছি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি এখনি জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।


আরও খবর



হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী ।

বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে যুথির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যুথির জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।

এর আগে গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথি এক নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। গত ৮ মার্চ রাতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, ‘আসামিরা ১নং আসামির নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তন রুমের দরজা ৩নং আসামি ১, ২, ও ৪ নং আসামির পরামর্শক্রমে সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনি জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে। আসামিদ্বয়ের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে আমি বাধা দিতে গেলে আমার বাম পাশের কানের উপরে মাথার অংশে সজোরে আঘাত করলে আমি মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হই। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার পরা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ওই আসামিরা আমার সঙ্গীয় ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারপিট করে আহত করে। একপর্যায়ে ৫নং আসামির হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে আঘাত করে তার ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙে ফেলে ও তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২৬মার্চ) বিকেলে কেক কাটা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সহধর্মিণী, ভুটানের রাজার সহধর্মিণী, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্যদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে, সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা।


আরও খবর