Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইভিএম নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কেও উনারা একটা প্রশ্ন করেছিলেন, যে ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস আছে কি না। বলেছি ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটা কেটে গিয়েছিল। তবে এটাও জানিয়েছি যে ইভিএম নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না, কারণ আদৌ ইভিএম এভেইলেবল হবে কি না।

সিইসি বলেন, ‘আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারব সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হইনি। উনাদেরে সঙ্গে আমাদের এতটুকুই আলোচনা ছিল। আমার মনে হয় যেহেতু উনারা আসছেন, উনারাই ভালো করে বলতে পারবেন।

ইইউ প্রতিনিধিদল কেন এসেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশনের রাষ্ট্রদূতরা এসেছেন। উনারা এর আগেও গত বছর জুলাইয়ে আমাদের এখানে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে তখন নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। এখন যেহেতু আমাদের ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে। আমরা নির্বাচন বর্ষে উপনীত হয়েছি। তাই উনারা এটাও পিরিয়ডিক্যাল বলে থাকেন, উনারা পুনর্বার মতবিনিময় করতে আসছেন। মূলত আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন তা জানতে এসেছিলেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা উনারদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছি নির্বাচনের কোনো কোনো বিষয় উনারা জানতে চান। উনারা বলেছেন, আমাদের ইলেকটোরাল রোল সম্পর্কে অবহিত করেছি। সংসদীয় আসনের সীমা পুননির্ধারণ, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে আমাদের কোনো উদ্যোগ আছে কি না, এই বিষয়গুলো তাদেরকে জানিয়েছি। আমাদের বর্তমান অবস্থানটা পরিষ্কার করেছি এবং আমরা প্রস্তুত আছি।

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘আমাদের যে রোডম্যাপ আছে, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং আমরা যথাসময়ে নির্বাচন করব। আমরা এটাও উনাদেরকে পরিষ্কার করে বলেছি। কিছু কিছু বিষয় এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপাথর্ক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে এখনো নির্বাচনী পরিবেশটা এখনও সহানুভূতি সম্পন্ন  নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে অচিরেই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে। শেষমেষ সব দলগুলো নির্বাচনে আসবে সে বিষয়ে আমরা আশাবাদী, তবে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করে..। আমরা বলেছি যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেলক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।

রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিকবার বলেছি যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন এবং ব্যাপক অর্থে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়। প্রথম থেকেই আমরা এই আবেদন করে আসছি, এখনও করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘মতপার্থক্যগুলো রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের জন্য ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতাদেরকে করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সেটা অনুধাবন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। তাদেরকেই সেটা অসুখ নিরাময় করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনটা প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে। সুন্দর, সুষ্ঠু হবে এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় যে নির্বাচন প্রত্যাশিত সে নির্বাচনটা ওভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।

ইইউ প্রতিনিধিদল নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা ছিল, একটাই; আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণটা কী ধরনের সহযোগিতা দিতে পারবে। আমরা বলেছি যে গণমাধ্যম আমাদের নির্বাচন কভার করে থাকে, পর্যবেক্ষকরাও করে থাকেন। অতীতেও যেভাবে করেছে কিন্তু এবার আমরা যেটা করব আমাদের তরফ থেকে আমরা ফুললি ওপেন হবো।

তিনি বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে কোনো অন্তরায় থাকবে না। ফরেন ওবজারভার সম্পর্কে আমাদের একটা পলিসি আছে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করবেন। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কারণ বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সুরাহা হতে হবে। কিন্তু এতটুকু আমরা বলেছি আমাদের তরফ থেকে কোনো অন্তরায় থাকবে না।

সিইসি বলেন, ‘জেনেছি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিদেশি পর্যবেক্ষক অ্যালাও করবেন। কারণ একটা ব্রিটিশ এমপি ডেলিগেশন উনার সঙ্গে মিট করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী সে আশ্বাস দিয়েছিলেন। উনারাও এতে আনন্দিত, আমরাও এতে আনন্দিত, যে হ্যাঁ বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও যদি এসে আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে, গ্লোবালিও সারাবিশ্ব দেখবে আমাদের দেশের নির্বাচনটা সুন্দর, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইইউ’র হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় প্রস্তুত র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষ্যে র‍্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে,বলেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, চেকপোস্ট, সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। চেকপোস্ট এমনভাবে করা হবে যাতে ঘরমুখো মানুষদের হয়রানির মুখে পড়তে না হয়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের নামাজে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। যে কোনো হামলা ও নাশকতা মোকাবিলার র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো জঙ্গী হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য বজায় থাকবে।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ট্রেনে কালোবাজারি রোধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, লঞ্চপথে হয়রানি রোধে র‍্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাসচালকদের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করাসহ বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস, পক্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর-এএফপির।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পাকিস্তান। পরিষদের ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এই প্রস্তাবে ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলে বাহিনী প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে এবারই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিল মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্ষদ।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী অধ্রাপক মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই অধ্যাপক সংবাদমাধ্যম বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে গাজায় ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

ইসরায়েলকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে এই প্রথম সহায়তা ও অস্ত্র বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন। এতে ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে বেশির ভাগ সময় ইসরায়েলের কূটনৈতিক ঢাল হিসেবে ভূমিকা রাখে ওয়াশিংটন।

তবে ইসরায়েল ও গাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, শিগগিরই ইসরায়েল তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে বলে ওয়াশিংটন আশা করছে।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসী তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  মালয়েশিয়া প্রবাসী এক তরুণ মোটরসাইকেলে যোগে আত্বীয়র বাড়িতে ঈদ উপহারের জিনিসপত্র পৌঁছানোর পর নিজের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন। এসময় তাঁর  মোটরসাইকেলটি চলন্ত  ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর একটি প্ল্যাটফার্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটকে পড়ে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টায় হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকের রাস্তা পারাপারে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমার ওরফে মুকুল হোসেন (২৮)। তিনি  আক্কেলপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেড় মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  শুক্রবার সকালে তাঁর খালার বাড়ি গণিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্বদিকে রাস্তা পারাপারের সময় চিলাহাটী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কায় মিজানুর  রেললাইনের পাশে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়।  ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে  জাফরপুর স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটক পড়ে। ট্রেনটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিজানুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল হক  বলেন, আমি হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড়শ গজ দূরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিলাম। ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে মোটরসাইকেল আটকে ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি মোটরসাইকেল চালকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন এসে লাশটি হাজরাপাড়া গ্রামের প্রবাসী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের মিজানুর রহমানের  খালা নাইচ আক্তার কাঁদতে-কাঁদতে  বলেন, মিজানুর শুক্রবার সকালে আমার বাড়িতে এসে ঈদের বাজার দিয়েছে। আমরাও তাকে ঈদের কিছু বাজার দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আধাঘন্টা পর  মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ভাগিনার এমন মৃত্যু সহ্য করতে  পারছিনা।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর  মালয়েশিয়াতে ছিল। সে প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছিলাম।  খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ধাক্কায় মিজানুরের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণিত হয়েছে। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, হলহলিয়া ব্রীজ এলাকায় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী আন্ত:নগর ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর



ওসির পর সাংবাদিকের বাসায় চোরের হানা; ঈদের আগে চুরি/ছিনতাই ও ডাকাতির আতঙ্কে রূপগঞ্জবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রুপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা এতে আতঙ্কিত রূপগঞ্জবাসী।রূপগঞ্জের জাঙ্গীর গ্রামের বাসিন্দা শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) নাজমুল ইসলামের বাড়িতে চুরির পর এবার পাশের গ্রাম  গুতিয়াবোতে দৈনিক যুগান্তর ও আনন্দ টিভির সাংবাদিক রাসেল মাহমুদের বাসায় লোহার গ্রিলকেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৩ এপ্রিল দিবাপূর্ব মধ্যরাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

এর আগে রমজান মাসের শুরু থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও মহা সড়কের স্থানে স্থানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছেন।আনন্দ টিভির রূপগঞ্জ প্রতিনিধি  ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক রাসেল মাহমুদ জানান, তার গ্রামের বাড়ি গুতিয়াবোতে সাধারণত রাতে কেউ থাকে না। তবে সপ্তাহে ৩ দিন থাকা হয়। এ সুযোগে অজ্ঞাত অপরাধী চক্রের সদস্যরা গতরাতে বারান্দার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সবগুলোর আলমারির তালা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় ঘরে থাকা দুটি পুরাতন মোবাইল ফোন, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, হিরের নাকফুলসহ নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।সাংবাদিকের বাড়িতে চুরির  খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই পরেশ বাগচী, মারুফ হাসান অরন্য ও এএসআই রাশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অধীনে পূর্বাচল ক্যাম্প ইনচার্জ পরেশ বাগচী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলমান। জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানা যায়, রমজান মাস শুরুর পর থেকে রূপগঞ্জে বেড়েছে চুরির ঘটনা।দিনে দুপুরে ঘরে প্রবেশ করে নিয়ে যাচ্ছে বাই সাইকেল, আইপিএস, মোটরসাইকেল।

আর নির্জন প্লটের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফটক, বাড়ির লোকজন না থাকলে দরজা, জানালা খুলে নেয়ার অভিযোগসহ সিসিটিভি ফুটেজ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে ভুক্তভোগীদের অনেকেই  অভিযোগ না করায় পুলিশের কিছুই করার না থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ করেছেন রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, রূপগঞ্জ থানায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নিয়মিত টহল অব্যাহত আছে।

যেকোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। চুরির ঘটনা বিষয়ে জানলাম। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন না। ফলে আমরা জানতে পারিনা। গত ১ মাসে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। মামলা হয়েছে। আসামী আদালতে প্রেরণ করেছি। তবে জনসাধারণকে অনুরোধ করবো, সড়কে পাশে বা যার যার বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন যেন করেন। এতে আমাদের আইনি ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। চোরকে সনাক্ত করা যায়। সরকারের পরিকল্পনা স্মার্টসেবা দানে আমরা তৎপর। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



হিলিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ’ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলিতে দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শণীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিনব্যাপি এই প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করা হয়।হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার,হাকিমপুর থানার (তদন্ত ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: কাজী মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাসরিন খাতুন।

মেলায় ৩২ টি স্টলে খামারীদের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ছাড়াও রয়েছে অধিক দুগ্ধ উৎপাদনশীল গাভি,মহিষ,বকনা, ছাগি,পাঁঠা, ভেড়া,কবুতর, তিতির, শৌখিন পাখি, কাকাতুয়া, ময়না, টিয়া, বাজুরিকা, খরগোশ।


আরও খবর