ইউনিয়ন পরিষদ ঘরে দরিদ্র দের ১৫ বস্তা চাল মজুদ
ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
সিরাজগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন
ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
ছাতকে ৩শ, বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ২জন চোরাকারবারী গ্রেপ্তার
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:ছাতকে সীমান্ত এলাকায় ১টি নীল ও হলুদ রংয়ের এস.কে কার্গো সার্ভিস নামে একটি কাভার্ড ভ্যান গাড়ী থেকে ৩শত বস্তা(১হাজার ভারতীয় চিনিসহ ২ জন চোরাকারবারী গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। প্রায় ৬৬ লাখ ৫০হাজার টাকার মালামাল জব্ধ করেছে থানা পুলিশ।
গত শুত্রুবার সকালে থানার ওসি শাহ আলম,এস আই এস.এম. মাইনুল ইসলাম,এসআই আসাদুজ্জামান, এএসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব একদল থানার বিশেষ অভিযান চালিয়ে দু জন চোরাকারী,কাভার্ড ভ্যান ভারতীয় ৩শ বস্তা চিনি আটক করে পুলিশ।
ধৃত আসামীরা হলেন,-যশোর ২ জেলার -কোতয়ালী থানার ৯নং ওয়ার্ড,মুড়লী (মুরালী মোড়) মৃত মুছা মিয়া, মাতা-বদরুন নাহার ছেলে রিপন মিয়া (২৮), ও সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানা সুরমা ইউপির মইনপুর গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর ছেলে আব্দুল মনাফ (৩০)কে কাভার্ড ভ্যান গাড়ী ভতি চিনিসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
জানা যায়, গত শুত্রুবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক থানাধীন ভাতগাঁও গ্রাম থেকে জাউয়াবাজার যাওয়ার রাস্তায় এ অভিযান চালায় থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা ১টি কার্ভাটভ্যানে করে ভারতীয় চিনি পরিবহন করছিল। তাদের কাছে থাকা কার্ভাট ভ্যানটি তল্লাশি করে ১৫ হাজার কেজি (৩শত বস্তা) ভারতীয় চিনিসহ কার্ভাটভ্যানটি জব্দ করেন পুলিশ ।
উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানী সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করায় তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসআই এস.এম মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে ধৃত আসামীদ্বয় এবং পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন থানায়।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে গত শুত্রুবার সন্ধ্যা রাতে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ওসি শাহ আলম।
সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
নওগাঁর মান্দার মাছবাহী ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত
এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় মাছবাহী ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে রাসেল হোসেন (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার প্রসাদপুর-জোতবাজার আঞ্চলিক সড়কের জোতবাজার মীরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল আহম্মেদ উপজেলার কশব ইউনিয়নের তালপাতিলা গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে ও নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেল হোসেন তার মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদর প্রসাদপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছবাহী ঘাতক ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পোরশায় সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০টাকা নির্ধারণ
বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪
তানোরে গণহত্যা দিবস পালন
মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪
লাশের সঙ্গে আশরাফের ৪৯ বছর!
লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর সংবাদদাতা:১৬ বছর আগের কথা। জামালপুরের ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে একটি লাশ ভ্যান গাড়িতে তোলা হয়। ততক্ষণে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে। কিন্তু নিহতের বাড়িতে লাশ দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে।
তাই বাধ্য হয়ে অন্ধকার রাতেই রওনা হতে হয়। ইসলামপুর জামালপুর মহাসড়কের কাঙ্গালকুর্শা এলাকায় আসতেই হঠাৎ পিছনে ঘোংড়ানোর শব্দ হয়। ফিরে তাকাতেই কলিজাটা লাফ দিয়ে উঠে। সাহস নিয়ে ভ্যানটা আবার টানা শুরু নিহতের বাড়ীর উদ্দেশ্যে। প্রথমে ভূত ভেবে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। হাত-পা কাঁপতে থাকে। সামনে একটা দোকান দেখে ভ্যানগাড়ি থামিয়ে বসে পড়ি। বুকের মধ্যে ধুকধুক করছিল।
ইসলামপুর পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামে মৃত-শহিদ শেখের ছেলে আশরাফ আলী। এই পেশায় কীভাবে আসলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,জন্মের পর থেকেই অভাব অনাটনের মধ্যে বড় হয়ে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে। হঠাৎ ভ্যান চালক ওস্তাদ আবু বক্করের সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাধে এ পেশায় জড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভয় করলেও জীবিকার তাগিদেই এই পেশায় জড়িয়ে পড়ি।
আশরাফ জানায়, তার ওস্তাদ বক্কর প্রায় ৬০বছর লাশ টেনেছে। তারি সাথে জীবনের ৫০টি বছর অতিবাহিত করে আজো লাশ টানছে। তার ওস্তাদ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভয় পেয়ে মৃত্যু বরণ করেছে॥
একদিন সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে জামালপুর মর্গে রওনা হয় ওস্তাদ বক্কর। জামালপুর ইসলামপুর মহা সড়কে শ্যামপুর পথের মধ্যে হঠাৎ পিছন ফিরে তাকায় বক্কর। ফিরে তাকাতেই লাশটি বসে রয়েছে দেখেই ভ্যান ফেলে দৌড়ে পালায়। পরে প্রতক্ষদর্শীরা দেখে তাকে আবার সাহস যুগিয়ে রওনা হতে বলে। তারপর থেকেই ওস্তাদ বক্কর বিছানা থেকে উঠে দাড়াতে পারেনি। অবশেষে মৃত্যু হয়েছে তার। নিজের ও ওস্তাদের লাশবহন করা পেশার ৫০ বছরের দুটি ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই এ প্রতিবেদকের নিকট বলছিলেন আশরাফ আলী।
বিচিত্র এই পেশায় এসে কম পক্ষে সহশ্রাধিক লাশ বহন করেছেন আশরাফ। লাশ বহন করতে এখন তার মনে ভয়-ডর নেই। গভীর রাতেও একাকী লাশ নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে যান। ভ্যান চালানোর সময় বারবার পেছনে ফিরে দেখেন লাশটা ঠিক আছে তো।
আশরাফ জানান, উপজেলায় কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ইসলামপুর থানা থেকে ডাক পড়ে তার। এরপর ভ্যানগাড়ি নিয়ে লাশ উদ্ধার করার জন্য বেরিয়ে পড়েন তিনি। কখনো দড়িতে ঝোলানো বীভৎস লাশ, কখনো ক্ষত-বিক্ষত, কখনো পচা- গলা লাশ, কখনো আবার দেহের ছিন্নভিন্ন হাত-পা বা মাথার অংশ নির্ভয়ে ভ্যানে তুলে নেন। এরপর লাশ থানায় আনা, ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়া, আইনি সকল প্রক্রিয়া, সর্বশেষ নিহতের লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটাও আশরাফ নিজেই করে থাকেন।আশরাফ বলেন, ‘পরিচয়হীন হলে লাশের ময়নাতদন্ত ও বহনের জন্য তিন হাজার টাকা না হলে পুষে না। এ টাকা লাশের ওয়ারিশদের নিকট থেকে নিতে থাকি। মাঝে মাঝে উপার্জন ভালোই হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামে তার বাড়ি।সেখানেই ছোট একটি ঘরে তার সংসার। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। তবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অভাবের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় তাকে।
কারণ প্রতিদিনি তো আর লাশ মিলে না। আর লাশ না মিললে উপার্জন বন্ধ। তাছাড়া তার নেই সরকারি বেতন-ভাতা। ঈদ-নবান্ন-বৈশাখেও জোটে না সরকারের উৎসবভাতা। তাই প্রতিদিন লাশের খবরের জন্য ভ্যান গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক শক্তিও কমছে তার। আশরাফ বলেন, অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করে আমার সংসার চলে। যখন লাশ থাকে তখন আমার সংসার চলে। আর যখন লাশ থাকে না তখন আমার ঘরে খাবারও জুটে না। তখন চলতে খুব কষ্ট হয়। তাই আমার চাকরিটা মাসিক বেতনের ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের জন্য পুলিশ বিভাগ ও সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। দয়া করে আমাদের দুঃখ-দুর্দশা একটু পত্রিকায় তুলে ধরেন।’
ইসলামপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিক মিয়া জানান, আশলাফ শুধু লাশ বহন করে না, লাশ পাহারাও দেয়। লাশ নিয়ে আশরাফের অসংখ্য ঘটনা শুনলে ভৌতিক মনে হয়, যা সত্য।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন তালুকদার বলেন, প্রতিটি থানায় লাশ বহন করার জন্য একজন করে চালক থাকে। তবে পুলিশ বিভাগে তাদের চাকরি স্থায়ী করার সুযোগ নেই। তারপরও আশরাফের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
ওরা নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদার এদের নিয়ন্ত্রনে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগ জট বাঁধে হোটেলে রহস্য জনক মৃত্যু। আবার অনেক সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা ফন্দি ফিকিরের পর লোম হর্ষক নরপিচাশ সন্ত্রাসী খুনিরা নানা স্বার্থ হাসিলের জন্য নারী পুরুষ শিশুকে হত্যা করে নদী নালা ডোবায়, পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে সটকে পরে হত্যাকারীরা। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলে হত্যার রহস্যে জট বাঁধে ২০১০ইং ২৮শে রমজান মাসে নারী পাঁচারকারীদের খপ্পরে পরে গুলশান থানাধীন লর্ডস ইন আবাসিক হোটেলে সিমা নামে এক নারীকে পাঁচারকারীরা কৌশলে এনে আটক করে উপযপুরি দল বেঁধে গণ ধর্ষক করে। এর পর মেয়েটিকে সেখানে পতিতা বানানোর নানা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হোটেল দালালরা মেয়েটিকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশটিকে ও মিথ্যা স্বামী পরিচয় দিয়ে লাভলু নামে এক ব্যক্তি সিমার লাশটিকে নিয়ে গায়েব হয়ে যান। এর মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাহা তৎকালীন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার ও সাড়া মিলে। এক পর্যায়ে নারী পাঁচারকারী দালালরা সংগঠনের তৎপরতা দেখে ২ দিন পর গায়েব হওয়া সিমার লাশ স্বামী পরিচয় দানকারী লাভলুগংরা গুলশান থানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সংস্থার লোকজন লাশটিকে উদ্ধার করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া কবরস্থানে মেয়েটিকে মাটি দেওয়া হয়। আজও সিমার পরিবারের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
২০১১ সালে এক গার্মেন্টস কর্মী সুমি-১৪ কে মালিবাগ মিরাজ আবাসিক হোটেলে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় নারী পাঁচারকারী দালালরা হোটেলের ভবন হতে ফেলে দিয়ে পাশের বাড়ির গেইটের উপরে থাকা ধাঁরালো ৪টি শুল সুমির বুকের ভিতর দিয়ে এ ফোর ও ফোর হয়ে মেয়েটি কাটা মুরগির মতো ছটফট করে রাস্তায় শত শত পথচারীদের চোখের সামনে ছটফট করে মারা যায়। এ নিয়ে তৎকালীন রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার সহ বেশ কিছু পাঁচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থা জনস্বার্থে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া ২০২৩ সালে যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় শাহিন আবাসিক হোটেলে এক নারী হত্যার শিকার হয়। এমন হত্যা দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায় অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা ঢিলে ঢালা থাকায় সহজেই নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা রাজধীন সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মোটা অংকের সালামি দিয়ে ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করছে। স্থানীয় থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সহজেই ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় হোটেল গুলোকে নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে
শত শত দালালদের মাধ্যমে প্রেম, বিয়ে, চাকুরী দেওয়া সহ নানা ফন্দি ফিকির করে দেশের আনাচে-কানাচ হতে মেয়েদের নানা ফাঁদে ফেলে গড ফাঁদারদের নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে এনে প্রথমে নিজেরা ধর্ষণ করে পরবর্তীতে অর্থ কামানোর লালসায় পতিতা ব্যবসায় নানা ফন্দিতে সংগ্রহ করা মেয়েদের নামানো হয়। যদি কেউ বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে না চায় তাহলে নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে টর্চার সেলের রুমগুলোতে আটক করে বিব¯্র করে রেখে রুমের বাহির হতে গেটে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। খদ্দের এলে তালা খুলে নানা শারীরিক নির্যাতন পূর্বক পুরুষদের সাথে মিলামেশা করানো হয় তবে বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার হয় ১১ হতে ১৫ বছরের শিশুরা। আবার কাউকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর যারা এক সময় পাঁচারকারী দালালদের বশে আসে তাদের দালালরা এক হোটেল হতে অন্য হোটেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে অর্থ কামানোর জন্য পাঠানো হয়। নাম গোপন রাখা শর্তে যাত্রাবাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন রাজধানী ওয়ারী বিভাগের প্রায় ৫ হতে ৬ শতাধিক নারী পাঁচারকারীরা গড়ে তোলেছে ফাইভ স্টার গ্রুপ। এদের নেতৃত¦ দিচ্ছেন গড ফাদার হিসেবে সদরঘাটের ত্রাশ জাভেল হোসেন পাপন (মোবাইলঃ ০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জামাল (মোবাইলঃ ০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (মোবাইলঃ ০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), বাট্টু সেলিম (মোবাইলঃ ০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), জাবেদ হোসেন মিঠু (মোবাইলঃ ০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), এদের মূল আস্তানা হিসেবে রয়েছে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল তার উল্টো পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল। সায়েদাবাদে রয়েছে নাহিদ, যাত্রাবাড়িতে শাহিন আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসিক হোটেল, বাবুবাজারে রয়েছে বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল, এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর, পটুয়াখালী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এই সিন্ডিকেটের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা
তবে মূল ঘাঁটি হচ্ছে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেল। সেখানে ফাঁদে পরা মেয়েরা একবার আসলে আর সুশীল সমাজে ভালো ভাবে ফিরে যেতে পারে না। সেখানে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ব্যাপক গোপন নিরাপত্তা, যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি, এম ফরমান আলী উক্ত হোটেলের গড ফাঁদারদের গোপন শোভাকাঙ্খি হওয়ায় গোপনে নিরাপত্ত দিচ্ছে। ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করলে তার আর কোন হয়রানির শেষ থাকে না। অনেকেই একাধিক বার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হোটেল দুটিতে চলা নারী ঘটিত অপকর্ম বন্ধ হয়নি। যারা ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বা কথা বলেছে তারাই বারবার হয়রানির শিকার হয়েছে। দালালদের খপ্পরে পরে যে সকল নারীরা সেখানে আসে ঐ টর্চার সেল হতে দুই একদিন পর বাছাই পূর্বক দেশ বিদেশের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী এক নারী নাম গোপন রাখা স্বত্ত্বে বলেন, নিউ বলাকা, নিউ পপুলার, আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অবস্থান করে হোটেলে খদ্দের ও মেয়ে সংগ্রহ পূর্বক রিসিভ করে রাত দিন অপকর্ম করে সে সকল কিছু পাঁচারকারী দালালদের নাম ও নাম্বার প্রকাশ করা হইলঃ নারী পাচারকারী ও খদ্দের সংগ্রহকারী দালাল ১। ইমরান, মোবাইলঃ ০১৭২৬-২৬৩০২৬ ২। সুলতান, মোবাইলঃ ০১৬০৯-৩০৯২১৬ ৩। রসিদ, মোবাইল ঃ ০১৭২৭-০৮১৬৯০ ৪। সুলতান-২, মোবাইলঃ ০১৭৩৮-১৮৭৬২৮৫। ইমরান-২ মোবাইলঃ ০১৩১৯-০৭০৩৩৩৬। ইমরান-৩, মোবাইল ঃ ০১৩২৭-২৭০০৭২৭। মাহিম, মোবাইলঃ ০১৯৯৮-৩৫৩৬২৭৮। সুলতান-৩, মোবাইলঃ ০১৯৩২-৫৫৮৭২৫৯। রাকিব, মোবাইলঃ ০১৭৩৮-৭২১৮০৭১০। রাকিব, মোবাইল ঃ ০১৯৯২-৪৭১১৬৩১১। ফাইম, মোবাইলঃ ০১৩৩১-৪০১৪২৫,১২। মিহিন, মোবাইলঃ ০১৭১৮-২৬৪৪৫০ ১৩। হুমাউন, মোবাইলঃ ০১৮৩৪-৯৮৬৯৬৯১৪। নিরব, মোবাইল ঃ ০১৭১৭-৩৪২৫৮৮১৫। মহিদুল, মোবাইলঃ ০১৮২৬-৪৫১৬৩১১৬। আপন, মোবাইল ঃ ০১৯১১-৯৩০১৩০১৭। সুমন, মোবাইল ঃ ০১৭২০২৪৩২৩৪১৮। আবজাল, মোবাইল ঃ ০১৭৯০-৬৪০৯৯৪১৯। তোফাজেল, মোবাইলঃ ০১৭১১-৬৭৪৮৯৮২০। তারেক, মোবাইলঃ ০১৯২০-৪০১৫৬৬২১। আনোয়ার, মোবাইলঃ ০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭ ২২। আরিফ, মোবাইলঃ ০১৭১২-৬৭৪৪১৩, ২৩। অভি ভাই, মোবাইলঃ ০১৯২৪-২৬৪২৩৫, ২৪। নাসির মোবাইলঃ ০১৮১৮-৮৭৬৫৯২০, ২৫। নাসির-২ মোবাইলঃ ০১৭২৫-৭২৯২২৭, ২৬। নাসির-৩ মোবাইলঃ ০১৮১৭-২৭১৪৪৫, ২৭। মানিক, মোবাইলঃ ০১৮৪৬-৮১৩১২৯, ২৮। ইউসুফ, মোবাইলঃ ০১৭২১-৬১৭৯৩৯, ২৯। সুমন, মোবাইলঃ ০১৭২০২-৪৩২৩৪ ৩০। সুমন-২ মোবাইলঃ ০১৮১৮-৫৫৮১৮২, ৩১। মনির, মোবাইলঃ ০১৭০৪৬০৫২১৪, ৩২। তারেক (০১৬০২-৮৮২৫৩৩), ৩৩। রিপন, ৩৪। তেল মনির, ২৭৩,
ধোলাইপাড় ও নারী সদস্য ৩৫। মলিনা আক্তার জুুঁই ৩৬। সাথী, ৩৭। লিজা ৩৮।আনোয়ারা ৩৯। আঙ্গুরী ৪০। বেবী, ৪১। রানী সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে। তবে গড ফাঁদারদের নামে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ডিএমপির শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ থানাসহ তাদের নামে বে-নামে বিভিন্ন থানায় মানব পাঁচার সহ তাদের নানা ধরনের অপকর্মের দায়ে একাধিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
রহস্যজনক কারণে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। যাত্রাবাড়ি হোটেল গুলোর টর্চার সেলে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। রুমগুলোতে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ব্যবসার খদ্দের চাহিদা বাড়াতে দেশ ব্যাপী ইন্টারনেটের মতো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে। গুগলে ইউটিউবে, ফেইসবুকে মতো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নারীদের ছবি ও পাঁচারকারীরা খদ্দের যোগান দাতা দালালদের মোবাইল নাম্বারও ঐ সকল ছবির পাশে দেওয়া থাকে। তবে ইন্টারনেটে যাত্রাবাড়ি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বলে সার্চ দিলেই চলে আসে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে খদ্দের যোগানদাতা দালালদের মোবাইল নাম্বার পথচারীদের মাঝে ছড়াতে দেশ ব্যাপী রাস্তার অলি গলি মেইন রোড কলকারখানা ও অফিস পাড়ার মতো জায়গায় দেখা যায় হোটেলের ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে কিছু যুবক এ রকম হাজার হাজার হোটেল ভিজিটিং কার্ড রাস্তাঘাটে চোখ পড়তেই দেখা যায় ঐ সকল ভিজিটিং কার্ডে শুধু নারী ব্যবসায়ী দালাল ব্যক্তির ছদ্দনাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে। ফোন করলেই লোকজন এসে নিয়ে যায় হোটেল নামে পতিতালয়ে। ঐ সকল পতিতালয়ে গিয়ে অনেক বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ খদ্দের সেখানকার ছিনতাইকারী দালালদের খপ্পরে পরে আটক হয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সৎ ইচ্ছা থাকলে যে কোন সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু রহস্য জনক কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে।
এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই নিজেদের নাম গোপন রাখা স্বত্ত্বে বলেন, নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল-শাহিন, মেঘনাসহ অন্যান্য হোটেলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। কেনানা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভাল করার ইন্সপেক্টর জেলা প্রশাসক, আবাসিক হোটেল রেজিষ্ট্রেশন শাখা কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় পরিবেশ কর্মকর্তা ঢাকা-৫ আসানের এমপি সহ স্থানীয় থানা পুলিশ র্যাব-১০ ও র্যাব-৩ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ কিছু না বলার কারণে উক্ত হোটেল গুলোতে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, নারী পাঁচার সহ নানাবিধ অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া এলাকার সচেতন যুবক, ভদ্র মানুষগুলো ও যাত্রাবাড়ি এলাকার মসজিদ, মাদরাসার সচেতন মানুষগুলো প্রতিবাদ মুখী হয়ে দাড়ালে যাত্রাবাড়ি সহ দেশের আনাচে কানাচে সরকারি অনুমতি বিহীন আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নারী পাঁচার ও অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই কমে যেত।
সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪