আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে মোতায়েনকৃত রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ বা লভিভ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এমন সময় তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, বাখমুত শহর দখলের আক্রমণে রুশ সেনারা মোমেন্টাম হারাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে নিয়মিত হুশিয়ারিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। শুক্রবার মেদভেদেভ বলেছেন, কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যায় না। যদি কিয়েভ পর্যন্ত যেতে হয়, তা হলে কিয়েভ যেতে হবে। যদি লভিভ যেতে হয়, তা হলে এই সংক্রমণ ঠেকাতে লভিভ যেতে হবে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এটাই রাশিয়ায় প্রথম সফর শির।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশে ওই সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। আক্রান্ত দেশটি ও এর ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা মিত্ররা একে যুদ্ধ বললেও মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোয় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্ত হুমকির মুখে পড়ছে- এ চিন্তা থেকে দেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মেদভেদেভ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিদেশে পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকে মস্কো যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে।
সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে তখন পুতিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর তিনি ক্রমশ যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন।