Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনে বিধ্বস্ত সেই বাংলাদেশি জাহাজ ক্ষতিপূরণ পেল ২৩৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পরিত্যক্ত করা হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এবার সেই জাহাজের ক্ষতিপূরণ মিলেছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন এ জাহাজটির ক্ষতিপূরণ বাবদ বিমা কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ২৩৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ২ মার্চ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকারের পর বিএসসি ক্ষতিপূরণ পেতে বিমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই সময় ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশি বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। বিএসসি সম্প্রতি সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ সম্প্রতি পেয়েছে।

সংস্থাটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ দাবি করেছিল তাই পেয়েছে।

এই নিয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. জিয়াউল হক আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির বিমা দাবির ২ কোটি ২৪ লাখ ডলার দেশে এসেছে। সরকারি বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশন হয়ে এ অর্থ বিএসসির হিসাবে জমা হচ্ছে।


আরও খবর



বগুড়ায় এবার পিতার চাকুর আঘাতে প্রাণগেল শিশুকন্যার,পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সাগাটিয়া গ্রামে পিতা আব্দুর রহিমের চাকুর আঘাতে প্রাণ গেল শিশুকন্যা রাহী মনি (৭)। বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশ রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়: বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার সাগাটিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র আব্দুর রহিম তার শিশু কন্যা রাহী মনিকে পড়তে বসতে বললে সে পড়তে না বসায় দিনমজুর আব্দুর রহিম রাগান্বিত হয়ে অসাবধানতা বসত তার হাতে থাকা ব্যাগ দিয়ে শিশুকন্যা রাহী মনিকে আঘাত করলে ব্যাগের ভিতর থাকা চাকু রাহী মনির শরীরের উরুতে ঢুকে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কাহালু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাহী মনি কাহালু সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। 

বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম-সার্কেল) ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিম উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তবে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে খুলবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তীব্র গরম থেকে রক্ষা করতে আপাতত স্কুলের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মাহবুবুর রহমান গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



সিরাজদিখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শেখ মনির হোসেন মিলন প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় মাঠে নেমে পড়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের সমর্থন ও দোয়া কামনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ ও চায়ের স্টল গুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে।

আসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে গরীব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পাশে সেবক হয়ে থাকতে চান সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরোপকারী ও জনগণের বন্ধুখ্যাত শেখ মনির হোসেন মিলন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সবসময় নিজের সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। সমাজের কল্যাণমূলক কাজ বিয়ে থেকে শুরু করে অসহায় গরিব ও অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে তিনি সমাজে বিশেষ অবদান রেখেছেন। গরিব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, বিয়ে-শাদী সামর্থ্য মত সাহায্য করে থাকেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অসহায় ও দুর্বলের পক্ষে কথা বলেন। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে কাছে টেনে আপন করে নিয়েছেন। অল্প সময়ে সকলের কাছে বিপদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

আগামী ১৮-০৫-২০২৪ ইং সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন লতব্দী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে শেখ মনির হোসেন মিলন বিএ। তার পিতা সিরাজদিখান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২১ বছর একটানা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তারপর সিরজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্ধক্যের কারণে জীবনের শেষ মুহুর্তে সিরাজদিখানের জননন্দিত নেতা মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদকে সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বভার অর্পণ করে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

শেখ মনির হোসেন বিএ সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি, বিক্রমপুর কে.বি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

তিনি ১৯৭০ সালের ১৪ আগস্ট সম্ভান্ত মুসলিম ও রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাট-বাজার ও মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারদের সাথে। সিরাজদিখান উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭-৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়তায় ও প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন শেখ মনির হোসেন মিলন বলে স্থানীয় ভোটারদের মাঝ থেকে জানা যায়।

আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েল জবাব দিলে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েলকে ইরান আবারও সতর্ক করে বলেছে দেশটি যদি ইরানের হামলার কোনো জবাব দেয়ার চেষ্টা করে তাহলে পরবর্তীতে আরও বড় পদক্ষেপ নেবে তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী ইরানের সামরিক বাহিনীর চীফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় কিছু হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া।

দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকেও সতর্ক করে বলেছে যে ইসরায়েলি প্রতিশোধকে সমর্থন দিলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। এদিকে জাতিসংঘে ইরানি মিশন জাতিসংঘ সনদে আত্মরক্ষার যে ধারা আর্টিক্যাল ৫১ সেটি উল্লেখ করে বলেছে, দেশটি মনে করেছে বিষয়টি ..শেষ হয়েছে'। একই সাথে দেশটি ইসরায়েলকে আর কোন ভুল না করার জন্য সতর্ক করেছে।

এদিকে ইরানের রাতভর হামলার ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। সেটা হলে পরিস্থিতি আসলেই অনেক গুরুতর হয়ে উঠবে।

কিন্তু কীভাবে ইসরায়েল সেই জবাব দিতে পারে? ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা হয় তো সেই বিষয়টি নিয়েই এখন আলোচনা করছে।

সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে, ইরানের যে ঘাটি থেকে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে হামলা করা।

কিন্তু ইসরায়েল হয়তো আরও একধাপ বেশি এগোতে পারে। তারা হয়তো ইরানের সামরিক ঘাটি এবং বিপ্লবী গার্ড কোরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে, যাতে মানুষজন হতাহত হওয়া ছাড়াও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এরপর নিঃসন্দেহে ইরানও পাল্টা হামলা চালাবে, যেমনটা তারাও ঘোষণা দিয়েছে।

সুতরাং আগের তুলনায় এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব উত্তেজনার একটা বিপজ্জনক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোও অপেক্ষা করে আছে ইসরায়েল কী করে সেটা দেখার জন্য, যার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

সূত্র:বিবিসি বাংলা


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর