Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

ইসরায়েল ১ লাখের বেশি রিজার্ভ সেনা জড়ো করল গাজার কাছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কাছে ১ লাখের বেশি রিজার্ভ সেনা জড়ো করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা ১ লাখের কাছাকাছি রিজার্ভ সেনা জড়ো করেছি। এই সেনারা এখন দক্ষিণ ইসরায়েলে আছে।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো এই যুদ্ধের শেষ করা এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হামাস যেন হুমকি না হতে পারে তা নিশ্চিত করা। ইসরায়েলি সেনারা এখন তাদের সীমানায় ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনের গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের আকস্মিক ও নজিরবিহীন হামলার জবাবে ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকাকে ‘জনমানবশূন্য দ্বীপে’ পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

নেতানিয়াহুর এ হুঁশিয়ারির মধ্যেই সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য গাজা সীমান্তে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গাজার বাসিন্দাদের আবারও এক ভয়ানক মানবিক সংকটের মুখে পড়ার।

শনিবার ইসরায়েলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালান গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। মাত্র ২০ মিনিটে দেশটিতে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ার কথা জানায় হামাস। এ হামলা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া লড়াইয়ে ইতোমধ্যে কয়েকশ’ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে বন্দী করেছে হামাস।

৫০ বছর আগে ‘ইয়ম কিপ্পুর’ যুদ্ধের (১৯৭৩ সালে ৬ দিনের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধ) পর এমন রক্তক্ষয়ী হামলার মুখে দ্বিতীয়বার পড়েনি ইসরায়েল।

সূত্র: আল জাজিরা।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা আমির ওসমানের মটর সাইকেল মার্কার সমর্থনে সবাইকে ভোট দেয়ার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন।

আরও খবর



আনারুল ভাইয়ের এজেন্ট ছাড়া আর কোন এজেন্ট থাকতে পারবেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছেন, আগমী ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল) প্রতীক ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের স্কুল পাড়া ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাইসহ আরো প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাড়াতো তা হলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুল ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকতে পারবে। যে নিজের জমি বেঁচে আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরণের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুল ভাই ছাড়া এই ধরণের কোন লোক নেই। আর কোন প্রার্থী নেই। তাই আজকে সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মত ওই রকম ভোট চাই আনারুল ভাইয়ের জন্য। এক চেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কায় সিল মারতে হবে। অন্য কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরাণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি এমন বক্তব্য দেয় তাহলে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবীধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে। 

এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় খুব জনপ্রিয় নেতা। আমি এই কারণে অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি হাসেম আলী (আনরস), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন (কাপ পি‌রিচ), জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) এবং আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদস্য আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। 

সদর উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী (চশমা) এবং মোঃ শাহিন (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় দুজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাছিরা পলি (হাস)। আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের ৩ জন তুঙ্গে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃআসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়ধাপে  আগামী ২৯মে অনুষ্টিত হবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

আগামি২রা মে থেকে শুরু হচ্ছে নির্বাচনের আনুষ্টানিকতা।এবারে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রগহনের কথা থাকলেও তারা আর নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে তাদের দলীয় সুত্রে জানা গেছে।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থি হিসেবে আওয়ামী লীগের ৪জন ও জাতীয় পাটীর ১জন প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে জানা গেছে,,,,। 

প্রার্থিরা হলেন,,,, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান,আশরাফুল আলম লেবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি  উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান শফিউল আলম (আলম ডাক্তার,) উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,দহবন্দ ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল, ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খয়বর হোসেন মওলা,এবং জাতীয পাটীর সাবেক উপজেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা। 

নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মাঝে প্রার্থিদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ক্রমশই বাড়ছে। চায়ের স্ট্রলগুলোয় এনিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত  নির্বাচন বিষরদরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনমত যাচাইয়ে দেখা যাচ্ছে যে,,,প্রার্থি হিসেবে সব চাইতে বেশি আলোচনায় রয়েছেন,,,   ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা  ও খয়বর হোসেন মওলার  কে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে রংধড়গয়েছে। এছাড়াও দহবন্দব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলও প্রার্থি হিসেবে  ভোটারদের আলোচনার তালিকায় রয়েছেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের তেঁতুলবাড়িয়া রাতিন ষ্টোরে চুরি: পাহারাদারের গা ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে রাতিন ষ্টোর ‘মুদি দোকানে’ এক চুরির ঘটনা ঘটেছে।দুই সপ্তাহেও চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় আঃ ওয়াদুদ হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এতে ওই বাজার ব্যসায়ীদের মধ্যে দিনদিন আতংকে বাড়ছে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে গত (২৯ রমজান ৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাতিন ষ্টোরের ৪টি তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মালামাল হাতিয়ে নেয় চোরের দল।

ফারুক মৃধা ও হাকিম মোল্লা নামের দুই জন ওই রাতে বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ওই রাতে স্থানীয় ভ্যান চালক দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের বাচ্চু ফরাজী দেখতে পায় পাহারাদার হাকিম মোল্লা খালি গায়ে রাতিন ষ্টোরের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরের দিন সকালে তিনি শুনতে পায় রাতিন ষ্টোরে চুরি হয়েছে। সে সুবাধে থানা পুলিশ ভ্যান চালক বাচ্চু ফরাজীকে স্বাক্ষী নিয়েছে ও জড়িত সন্দেহে পাহারাদার হাকিম মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হাকিম মোল্লা ১০ দিনের মধ্যে চোরকে সনাক্ত করে নগদ টাকার উদ্ধারে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির ২০ এপ্রিল তারিখ শেষ হলে পাহারাদার হাকিম মোল্লা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।

রাতিন ষ্টোরের মালিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আ.ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন,তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে ১৫২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে আছি।এরকম চুরি পাহারাদার হাকিম মোল্লা পূর্বেও ঘটিয়েছে। চুরির ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাহারাদারের স্ত্রী নারগীস বেগম বলেন, আমার স্বামী গত দুই দিন ধরে বাড়িতে আসেনা। মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছে। ২০ এপ্রিল থানায় বসার তারিখ ছিল। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই অভিযোগের (তদন্তকারি কর্মকর্তা) বিকাশ দত্ত বলেন, তেতুলবাড়িয়া বাজারের চুরির ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাহারাদার গা ঢাকার বিষয়টি শুনেছি। সে পালিয়ে থেকে পার পাবে না।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে মারা যাওয়া আট বাাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন,মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন, ওই আটজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাঁদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।


আরও খবর