Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইসলাম ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক; যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ দিন দিন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণেও নিচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তা। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই প্রযুক্তি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখে না। মানুষের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের বিপদে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়।

এখন বেশির ভাগ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। কখনো কখনো এই স্মার্টফোনই মানুষের বিপদের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন অ্যাপ বা স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম সাইবার অপরাধীরা। এতে করে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে, ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি।

ইসলামের দৃষ্টিতে এভাবে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে তার ওপর নজরদারি চালানো নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা বেশি অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কারণ কিছু কিছু অনুমান তো পাপ এবং তোমরা কারোর গোপনীয় দোষ অনুসন্ধান করো না। ’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার রক্ষা করে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন, তা হলো মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার। অহেতুক মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত দোষত্রুটি খোঁজার জন্য তার পেছনে লেগে থাকা, প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ফোনে আড়ি পাতা জায়েজ হবে না।

তবে কারও মাধ্যমে যদি রাষ্ট্রের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে বৃহত্তর স্বার্থে আইনসিদ্ধ পদ্ধতিতে তার ওপর নজরদারি চালানোর অধিকার যাদের আছে, তারাই শুধু যৌক্তিক ব্যবস্থা নেবে। ইসলামের দৃষ্টিতে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধারের জন্য এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।

মানুষের ক্ষতি করার লক্ষ্যে যেকোনো ধরনের চক্রান্তকারী ব্যক্তিকে হাদিসের ভাষায় অভিশপ্ত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অভিশপ্ত সে, যেকোনো মুমিনের ক্ষতি করে অথবা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)

স্মার্টফোনে আড়ি পাতাও অন্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করারই অংশ। যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।

রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের কথা গুপ্তভাবে শুনল, অথচ সে তাদের কথাগুলো শুনুক তারা তা পছন্দ করছে না অথবা তারা তার অবস্থান টের পেয়ে তার থেকে দূরে পালিয়ে যাচ্ছে, কিয়ামতের দিন এ জন্য তার কানে সিসা ঢেলে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৭০৪২)

আরেকটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হে লোকেরা, তোমরা যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছ, অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে ঢোকেনি, তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দিও না। তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কারণ যে ব্যক্তি তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করল, আল্লাহ তাআলা তার দোষ অনুসন্ধান করবেন। আর যার দোষ আল্লাহ তাআলা অনুসন্ধান করবেন তাকে অবশ্যই তিনি লাঞ্ছিত করে ছাড়বেন, যদিও সে নিজ ঘরের অভ্যন্তরেই অবস্থান করুক না কেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২)

নাউজুবিল্লাহ, এই হাদিসগুলো দ্বারা বোঝা যায়, অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, তার গোপন তথ্য হাতানোর অপচেষ্টা করা মুমিনের কাজ নয়। এগুলো মানুষের অধিকার হরণের শামিল। এগুলোর দ্বারা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়, শত্রুতার বীজ বপন হয়, যা ইসলাম সমর্থন করে না।

নবীজি (সা.) তার উম্মতদের অন্যের দোষত্রুটি খুঁজতে বারণ করেছেন, বরং প্রত্যেককে ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।

আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত, তোমরা কারও প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করো না। কেননা খারাপ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। একে অপরের দোষত্রুটি খুঁজো না, একে অন্যের ব্যাপারে মন্দ কথায় কান দিও না এবং একে অপরের প্রতি শত্রুতা পোষণ করো না; বরং ভাই-ভাই হয়ে যাও। (বুখারি, হাদিস : ৫১৪৩)

তা ছাড়া স্মার্টফোনে আড়ি পাতা এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যের সম্ভ্রমহানির শামিল, যার শাস্তি ভয়াবহ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয় সেদিন আসার আগে, যেদিন তার কোনো দিনার বা দিরহাম থাকবে না। সেদিন তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তার কাছ থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯)

মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের জঘন্য পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ (এমডি) প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ'র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

অবৈধ গ্যাস ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।গত দুই বছরের অধিক সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছেন দেশের শীর্ষ গ্যাস বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। তার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ কোম্পানির লোকসানের বোঝা কমিয়ে আনা সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অবৈধ সংযোগ অপসারণের পাশাপাশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণের কারনে নিরবিচ্ছিন্ন বিতরণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয়েছে।সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তার এসব সুদূর প্রসারী কর্মকান্ড ইতিবাচক অবদান রাখছে।দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর দুর্নীতি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে ধরেছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস)। গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর বদলির মাধ্যমে শুদ্ধাভিযান চালান কোম্পানির মধ্যে।তাছারাও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারনে পরিস্থিতি বেশ অনুকূলে নিয়ে আসেন।গত এক দশকের মধ্যে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ গ্রহনকারীদের কোণঠাসা করে ফেলেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্। তার নির্দেশে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬৬৮ দশমিক ৫০কিলোমিটার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অবৈধ লাইন থেকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময়ে আবাসিক ছাড়াও অবৈধ ব্যবহারের কারণে ২৫০ টি শিল্প, ৩২৯ টি বাণিজ্যিক, ৫৫ টি ক্যাপটিভ, দশটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অভিযানে ৬ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয় হয় যার বিপরীতে ৩১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল এবং ৯১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয় ।যার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল ও ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন লাইন কেটে দেয়ার পর আবারও লাইন বসলে সে অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।এদিকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্যাস বিক্রয় বাবদ তিতাসের বকেয়া ছয় হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া রয়েছে এক হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই হাজার ৩৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এক হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন বকেয়ার পরিমাণ কমে এক হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বেসরকারি খাতে ৩১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এখন পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রয়েছে।তার এই শুদ্ধাভিযানে বিশেষ অবদান রয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান এবং সাধারন সম্পাদক আয়েজ উদ্দিন সহ অন্যন্য নেতাদের।গ্যাস লুটে জড়িত ভয়ঙ্কর শক্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজটা খুব কষ্টসাধ্য। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।২০২১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর যোগদানের পর পরই তিতাসের সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে টিম ওয়ার্ক করে কঠোর হাতে দমন করেন এসব অনিয়ম দুর্নীতি।জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী তিতাসের এমডি প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ নিজের চাকরি জীবনে সফলতার স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের মন জয় করে টানা তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।


আরও খবর

ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাগুরায় ৪৬৪ টি ঈদগাহ প্রস্তুত প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় নোমানী ময়দানে

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮ টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। মাগুরা পিটিআই জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করবেন মাগুরা ১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া মাগুরা মডেল মসজিদে, পৌর গোরস্থান মসজিদ, জজকোর্ট মসজিদ, মাগুরা পুলিশ লাইনস প্যারেড গ্রাউন্ডে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা,  পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য এবং এলাকাবাসী এ জামাতে নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া জেলা জজ কোর্ট মসজিদ,সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান, মুন্সীপাড়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলাসহ সর্বত্র  ঈদের জামাত অনু্ষ্ঠিত হবে। জেলায় মোট ৪৬৪ ঈদগাহ ময়দান প্রস্তিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরারা সদর উপজেলায় ২২৮ টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৮২ টি, মহম্মদপুর উপজেলায় ১১২ টি এবং শালিখা উপজেলায় ৪২ টি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে জেলার ৭৩০ টি গ্রামের প্রায় ২৩০০ টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন এলাকাবাসী। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ জানান, জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য  মাগুরা জেলা পুলিশেরর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



খুশির ঈদ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিরাজ করছে ঈদের আনন্দ।

গতকাল চাঁদ দেখার পর থেকে রেডিও-টেলিভিশনে বেজে চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সেই গান, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...।

ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়ে বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ। আসুন, আমরা আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রধান জামাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর

ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা যেসব অঞ্চলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস দেশের ৩ অঞ্চলে ওপর দিয়ে । এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা দুয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হয়।


আরও খবর

ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪