Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ইমামকে রাজকীয় বিদায়, পেলেন ১০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩১২জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি ;গাজীপুরের একটি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা দিল এলাকাবাসী। তার নাম মো. হাসান। তিনি দীর্ঘ ৫৩ বছর গোসিঙ্গা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় হাদিয়া হিসেবে ইমামের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা।

গত শনিবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নে মো. হাসানকে ব্যতিক্রমী এ সংবর্ধনা দিয়েছে এলাকাবাসী। তৈরি করা হয় অনুষ্ঠানমঞ্চ। বিদায় মঞ্চে কয়েকশ মোটরসাইকেলের বহর ও গাড়ির বহরযোগে ইমামকে বাড়ি থেকে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। 

বিদায়ের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হাফেজ মো. হাসান। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানি গ্রামের বাসিন্দা। সংসার জীবনে পাঁচ সন্তান ও দুই মেয়ের জনক। পাঁচ ছেলের মধ্য তিনজন মাদ্রাসায় শিক্ষক ও দুইজন লেখাপড়া করছেন। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মো. হাসান বলেন, ‘৫৩ বছরের হিসাব থাকলেও এর চাইতে বহু বছর ওই মসজিদে একাধারে ইমামতি করেছি। আমাকে মসজিদ কমিটি, বাজারের ব্যবসায়ী, গন্যমান্য ব্যক্তিসহ এলাকার মুসল্লিরা যে সম্মানে বিদায় দিয়েছেন তা অন্যান্য ইমামদের ইজ্জত বাড়িয়েছে। এমন নজির সব জায়গায় চালু হওয়া দরকার।’

সম্মাননা পাওয়া টাকায় তিনি একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করতে চান। তিনি বলেন, ‘এ টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসার পুরো কাজ হবে না। আরও টাকার দরকার। আমি আমার সম্মাননা পাওয়া টাকায় কাজ শুরু করব। বেঁচে থাকাকালীন যতটুকু পারব করে শেষ করব। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ও আমার পরবর্তী প্রজন্ম বাকি কাজ সম্পন্ন করবেন।’

গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাইদুর রহমান শাহিন মোড়ল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মো. হাসান হুজুর এই মসজিদের ইমামতি করতে দেখেছি। সকল ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আন্তরিক। তার এ আন্তরিকতায় সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তারই প্রতিফলন তিনি অবসরকালে পেলেন। তার বিদায় উপলক্ষে সকলেই অশ্রুসিক্ত।’

তিনি আরও বলেন, সম্মাননা স্বরূপ বিদায়ী ইমামের হাতে নগদ ১০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রবাসীরাও এই আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির সভাপতি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাইদুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কাপাসিয়ার পীর সাহেব দেওনা ও মাদ্রাসা দাওয়াতুল হকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী, জামিয়া আনওয়ারীয়া মাদ্রাসার বরমী মোহতামিম আল্লামা আশেখে মোস্তাফা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হোসেন মোড়ল, গোসিঙ্গা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন মন্ডলসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদ পরিচালনা কমিটি, বাজার পরিচালনা কমিটির নেতা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দলের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



বালু চড়ে ঘোড়ার গাড়ীর একমাত্র ভরসা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সম্প্রতি তোলা গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। ধু ধু মরুপথে মানুষের চলার বাহন উট। উটের আরেক নাম এ কারণে মরুভূমির জাহাজ। গাইবান্ধায় মরুভূমি না থাকলেও আছে মরুপ্রায় বিস্তীর্ণ বালুচর, কিন্তু উট নেই। উট নেই তো কী! উটের বদলে আছে শত শত ঘোড়া। গাইবান্ধার দৃশ্যপটে তারা দিয়েছে ভিন্ন এক রঙের পোঁচ।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট। সেখানে না চলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যান, অটোরিকশার মতো বাহন; সেখানে না যায় হাঁটা। অতএব চড়ে বসো ঘোড়ার গাড়িতে। উট যদি হয় মরুভূমির জাহাজ, এই বালুচরের জাহাজ না হয় ঘোড়া।

বালাসী ঘাট গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত অঞ্চলে বর্ষামুখর ছয়টি মাস চলে নৌকা। বাকি ছয় মাস প্রায় শুষ্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত জেগে উঠেছে বালুচর,বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত। সেই বালুচর পাড়ি দিতে ঘোড়াই ত্রাণকর্তা! বালুচরের দুস্তর পারাবার ঘোড়াই যদি পার করিয়ে দেয়, বাহাদুরাবাদ ঘাটে যেতে বাকি পথ আর এমনকি! লঞ্চ বা শ্যালো ইঞ্জিনে চলা নৌকা তো আছেই। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হয়ে কম সময়ে গাইবান্ধার মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করছেন।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে করেই পাড়ি দিচ্ছেন এই পথ। শুধু এখানেই নয়, আর সব চরেও যাবতীয় মালপত্র আনা-নেওয়ায় ঘোড়াই ভরসা। চরাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ছেন মর্যাদা বাড়ানোর জন্য নয়, এ ছাড়া যে চলাচলেরই কোনো বন্দোবস্ত নেই।

ঘোড়াই তাই এই বালুচরের প্রাণ। শুধু সহযোগিতার নয়, উপার্জনেরও। যাঁরা একসময় দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন তাঁদের হাতে কাজ নেই। ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আয় রোজগার করছেন তাঁরা। বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাগুরিয়া-বাহাদুরাবাদ নৌকাভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা এখন শতাধিক। চরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান, পাট, গম, ভুট্টা, কাউনসহ বিচিত্র কৃষিপণ্য পরিবহন করে ঘোড়া টিকিয়ে রেখেছে গরিব মানুষের অর্থনীতি। ঘোড়ার কাজের শেষ নেই। জমি চাষাবাদেও রাখছে ভূমিকা। এলাকার মানুষ শখের বশেও ঘোড়া লালন-পালন করছেন।

বালাসী ঘাটে গেলেই চোখে পড়বে সারি সারি ঘোড়ার গাড়ি। কেউ গাড়িতে উঠছেন, কেউ নামছেন, গলা ছেড়ে হাঁক দিচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা। এক ব্যস্ত চিত্র। কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি ঠেলাগাড়িতে ট্রাকের চাকা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ি। গাড়ির ওপর তোশক বিছানো। তাতে চাদর পাতা। কায়দা একেবারে জমিদারি। সেখানে আয়েশ করে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানালেন, বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় যাওয়ার সময় মানুষ শখ করেই চড়ে বসেন ঘোড়ায় চালানো টমটমে। সহজে বালুচর পাড়ি দেওয়া যায়, মনে জেগে ওঠে ফুরফুরে অনুভূতি। আর একাকী যাঁরা ঘোড়ার গাড়িতে ঘোরাঘুরি করতে ওঠেন, তাঁদের আনন্দের তো সীমা নেই।

গাইবান্ধা থেকে নৌকায় বালাসী
বাহাদুরাবাদ রুট হয়ে ঢাকা যেতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। সড়কপথে ৯ ও রেলপথে ১০ ঘণ্টা। এই রুটের কয়েক কিলোমিটার চরে ঘোড়ার গাড়ির জনপ্রিয়তা আকাশে তুলে দিয়েছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৪টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। এসব ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি কেবল উপায় নয়, উপভোগও।

ইয়াসিন আলী (৪৫) বাগুরিয়া গ্রামের কোচোয়ান। ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রী টেনে ভালোই চলছে সংসার। তিনি বললেন, ‘বালুচরোত অ্যাকনা ভ্যান-অটোরিকশা চলে না। তাই ঘোড়ার গাড়ি বানাচি।’ একজন যাত্রী তুললে তিনি পান ৫০ টাকা। এভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা তাঁর রোজকার আয়। ঘোড়া তাঁর সংসারে দিয়েছে স্বস্তি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এই জেলায় ঘোড়ার সংখ্যা প্রায় ৫০০। একেকটা ঘোড়ার দাম ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা-পাঁচপীর এলাকায় বসে ঘোড়ার হাট। রোজগারের পাশাপাশি মানুষের মিলনেরও সেটা আরেক আনন্দময় উপলক্ষ।

ঘোড়া যেন এ অঞ্চলে ঘোষণা করছে মানুষের সঙ্গে প্রাণিকুলের হাজার 
 বছরের বন্ধুত্বের কথা।

আরও খবর

পত্নীতলায় পাঁচ ডাকাত আটক

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩




ভারতসহ যেকোনো দেশে যেতে ভ্রমণ কর দ্বিগুণ হচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:নতুন অর্থবছরের বাজেটে দেশে-বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে তিনি বাজেট পেশ করেন।

২০০৩ সালের ভ্রমণ কর আইনের সংশোধনী প্রস্তাবে দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করের নতুন হার নির্ধারণ করেছেন তিনি। বাজেটে ভ্রমণ কর দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান যাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি ছয় হাজার টাকা কর দিতে হবে। বর্তমানে এই করের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ টাকা।

আকাশ পথে সার্কভুক্ত কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান কর ৮০০ টাকা। উল্লিখিত দেশগুলোর বাইরে আকাশ পথে অন্য কোনো দেশে গেলে ৪ হাজার টাকা কর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এখন ১ হাজার ৮০০ টাকা।

আকাশ পথে দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে কোনো ভ্রমণ কর ছিল না।

স্থল পথে যে কোনো দেশে গেলে কর দিতে হবে ১ হাজার টাকা, জলপথে অন্য দেশে গেলেও একই কর দিতে হবে। অন্য দেশে স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন ৫০০ টাকা এবং জলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৮০০ টাকা কর দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ স্থল পথে ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন কর দ্বিগুণ হল।

তবে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ক্ষেত্রে উল্লিখিত হারের অর্ধেক হারে কর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয় যেন কংক্রিটের বিল্ডিংয়ে সীমাবদ্ধ না থাকে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘একটা সময় আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলাম। আমরা ক্ষমতায় এসে এ পর্যন্ত বহু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি। তবে চাঁদপুরের এ বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন কংক্রিটের বিল্ডিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 

আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীন-বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই। শিক্ষায় রূপান্তর ঘটানোর জন্য সারাবিশ্বে যে চেষ্টা চলছে আমরা তার অগ্রভাগে আছি। ইতোমধ্যে আমরা নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। যার মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা চিন্তা করতে ও সমস্যা সমাধান করতে শিখবে। তারা মননশীল ও সৃজনশীল মানুষ হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী।

মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন প্রতিযোগিতার চেয়ে সহযোগিতার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে সহযোগিতার মধ্যদিয়ে শিখতে পারে, সে সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গতানুগতিক পাঠদান ও কারিকুলাম থেকে বেরিয়ে এসে আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি, তার উপযোগী করে পাঠদান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান।

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচ এম আহসান উল্লাহ প্রমুখ।


আরও খবর



শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

ঢামেক প্রতিবেদক:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে আট জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রুপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ারে ‘ওটি সাংহাই এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে মো: রুবেল (৩৮) তার শরীরের ৪৫ শতাংশ, সোহেলের (৩৮) ৪৫ শতাংশ, ইমতিয়াজের (৪২) ৩০ শতাংশ, ইমনের (৩৫) ৬৭ শতাংশ, হুমায়ন কবিরের (৫৪) ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়াদের মধ্যে, রাহাদ (২৫) তার ১০ শতাংশ, রাকিবের (২৪) ১ ও নাজমুলের (৩৩) ১ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ‘পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, জাহাজে আগুনের ঘটনায় মোট আট জন রোগীকে বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের চার জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তবে ভর্তি পাঁচ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে আসা হয়। সেখানে তেল আনলোড করে জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডকইয়ারে গিয়ে ভেড়ানো হয়। রাত ১টার দিকে যখন জাহাজটি ডেকের উপরে ছিল তখন ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। এতে সেখানে থাকা শ্রমিকদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে সাঁতরে পাড়ে উঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।


আরও খবর



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোববারের পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজের আগামীকাল রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামী ১৪ মে রোববার অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তার আগে একই কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আগামী রোববারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া সারা দেশে এ দিনের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষাও স্থগিত থাকবে। তবে অন্য বোর্ডগুলোর রোববারের পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়।


আরও খবর