Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

হজের খরচ এ বছর আরও বাড়ল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব  প্রতিবেদক: চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী, প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে।

চলতি বছর হজের খরচ আরও বেড়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। এ মূল্য গত বছরের প্যাকেজ-১ থেকে ৯৬,৬৭৮ টাকা এবং প্যাকেজ-২ থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেশি।

আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।

গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ' এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।


আরও খবর



পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্লবী ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস-এ নবনির্মিত এই ফায়ার স্টেশনটির উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন অতিথিদের স্বাগত জানান। সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ পল্লবী ফায়ার স্টেশনে এসে পৌঁছালে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সেনাবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার দেন। অভিবাদন গ্রহণ করার পর জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ নবনির্মিত পল্লবী ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।

সেনাপ্রধান স্টেশন প্রাঙ্গণে একটি আম্রপালির চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি বেলুন উড়িয়ে পল্লবী ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন।

এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান কেক কাটেন।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, এই প্রথম কোনো সেনাপ্রধান ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করলেন।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আহত এক দলিল লেখক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তু”ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আসাদুজ্জামান বাবু নামে এক দলিল লেখক গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি এ উপজেলায় চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস প্রাঙ্গনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুজ্জামান বাবুকে উদ্ধার করে, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় আসাদুজ্জামান বাবুর মাথায় বড় রকমের ছোট পড়েছে, এতে তার মাথার উপরি ভাগ ফেটে গেছে।

প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত দলিল লেখক আসাদুজ্জমান বাবু পুর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। আসাদুজ্জামান বাবু ও তার স্বজনেরা জানায় কথা কাটাকাটি তর্ক-বিতর্কের মধ্যে একই অফিসে কর্মরত ষ্টেশনপাড়া গ্রামের বাসীন্দা দলিল লেখক আব্দুল ওহাব মনুর ছেলে, দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল তার মাথায় মোটা কাঠ দিয়ে আঘার করে, এতে তার মাথা ফেটে তিনি গরুতর আহত হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্র¯‘তি চলছিল।

এদিকে দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল বলেন ভুলবুঝাবুজিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

দুই দলিল লেখকের মারা-মারির ঘটনাটি উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পরিনত হয়েছে। 




সংবাদ প্রেরক

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

মোবাইল-০১৭১২৫৮১৫১২

তারিখ-২৫.০৩.২০২৩



আরও খবর



জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিশুরা যাতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত শিশু সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, শিশুদের কথা বিবেচনায় নিয়েই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। সব মিলিয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে ২ কোটি শিক্ষার্থী। কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী, যারা আগামীতে এগিয়ে নেবে দেশকে। শিশুদের খেলাধুলা, শরীরচর্চার দিতে নজর দিতে হবে।’

কোনো মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। তার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাব আমরা। কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সবাই পাবে মৌলিক অধিকার।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল এটা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো  লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন। আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনটিকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি।

এর আগে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী তাদের গার্ড অব অনার দেয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোনাজাতে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। পরে কেন্দ্রীয় ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ফিরলেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন শিশু সমাবেশে।


আরও খবর



অসময়ে বিলের পানি বৃদ্ধি ডুবছে বোরো ধান হতাশ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বিল কুমারী বিলে অসময়ে বন্যার কারনে ডুবছে কৃষকের রক্ত ঘামের বোরো ধান। জেলার নওহাটা এলাকার বারনই নদীর বাঁধ দেওয়ার কারনে এমন পানি বৃদ্ধি হচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। প্রায় দুই মাসের অধিক বয়সের বোরো ধান ঢুবে যাওয়ার কারনে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষীরা। পানির সাথে ম্যানহলের মলও এসে জমা হয়েছে বিলে। ফলে দ্রুত বাঁধ কেটে পানি বের করা না হলে ডুবন্ত ধান হবে না। এতে করে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিল কুমারী বিল সংলগ্ন শতশত কৃষকরা।

পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিলে ৫ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। তিনি জানান, গত শনিবার, রবিবারের বৃষ্টি হয়। এরপর দিন সোমবার থেকে বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে। গত মঙ্গলবার থেকে আরো বেশি পানি বেড়ে যায়। যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তাতে বিলের পানি তেমন বৃদ্ধি পেত না। কিন্তু নওহাটা এলাকার বারনই নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারনে শহর ও তার আশপাশের এলাকার নদী খাল ও বিল এবং ড্রেনের ম্যান হলের মল আসার কারনে পানি বাড়তেই আছে।

একইগ্রামের ফারুক নামের আরেক ভূমিহীন কৃষক জানান, বিলের একেবারে নিচে দুই বিঘা জমি রোপন করি। পুরোটাই ডুবে গেছে। সাহেব আরো জানান, আমার পার্শে সালামের ৩ বিঘা, পাতা বাবুর ২ বিঘা, আছানের ১ বিঘা সহ প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে। ধানের বয়স ২ মাস পার হয়েছে, অল্প দিনের মধ্যে শীষ গজাবে। আর এসময় ডুবে যাচ্ছে। যা খরচ হওয়ার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত এক বিঘায় নিম্মে ১০ হাজার টাকা উর্ধ্বে ১২ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। দুএকটি সেচ হলে সোনালী ধান ঘরে উঠবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, বিলের একেবারে নিচু জমিগুলোর ধান ডুবেছে এবং পানি উঠেছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে এঅবস্থা হয়েছে। তবে বুধবারের মত রোদ ও আবহাওয়া ভালো থাকলে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।  আর বৃষ্টি হলে পানি নামতে পারবে না ধানের ক্ষতি হবে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো হবে কৃষকের পরিশ্রম বৃথা যাবে না।

আরও খবর



কৃষকের আয় কমবে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষকের আয় কমে যাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ার  বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নেদারল্যান্ডসের পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডাম অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (ভিভিডি) এমপি ফিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষির ওপর প্রভাব পড়বে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় কৃষিতে কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই। ফসলে পানি দিতে না পারলে উৎপাদন কম হবে। তবে জমিতে সার দেওয়া নিয়ে কৃষকরা ঝুঁকি নিতে চায় না। ফলে এদেশের চাষিরা নিজের বউয়ের গয়না কিংবা গরু বিক্রি করেও সার কিনবেন। হয়তো চাষিদের কষ্ট হবে, তার আয় কমে যাবে। তার যে লাভ হওয়ার কথা, সেটা হবে না।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তো চাই কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হোক। আমাদের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তাদের জীবিকার জন্য কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যুতের দাম বাড়লে তাদের আয় কমে যাবে, সন্তানদের লেখাপড়াসহ তাদের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যেভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পড়েছে, তাতে সরকারেরও কোনো উপায় নেই 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ না নিলে এভাবে মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তো সারের দামও বাড়াতে বলে। সারে যে ভর্তুকি দিই, সেটিই তো আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মানে না। তারা সারাজীবন বাধা দিয়ে আসছে। বিএনপির সময় ৯০ টাকা যে সার ছিল, আমরা ১৬ টাকায় দিয়েছি।

ড. রাজ্জাক বলেন, ‘আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কথা শুনতে গিয়ে অনেককেই বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। তখন তো প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনেক চাপ ছিল। তারা বলতো, সারে ভর্তুকি দিলে তোমরা উন্নয়ন করবে কীভাবে? তাহলে স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের কী হবে? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি না, বিনিয়োগ করছি। আমরা সেই বিনিয়োগের ফল পাচ্ছি’’।

তিনি বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিরা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ২০০৮ সালে আমাদের তিন মিলিয়ন টন সবজি হতো, বর্তমানে তা ২২ মিলিয়ন টন। পৃথিবীর কোনো দেশে ১৩ বছরে সবজির উৎপাদন এত বেড়েছে!’


আরও খবর