নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ঈদের জামাত শেষ হয় ৮টা ৪০ মিনিটে।
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া চাওয়া হয়।
ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।
এর আগে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে চিল র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।