Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

হার দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর শুর করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:টি-টোয়েন্টির এই জমানায় ৩০ ওভারে ২৪০ রান তারা করা খুব একটা কঠিন বিষয় না বলা যায়। বাংলাদেশও সেই পথেই হেঁটেছিল কিন্তু গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি ঠিকঠাক। ডানেডিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটা হেরে সফর শুরু করেছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রানের খাতা খোলার আগেই।

এরপর আনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ালেও শান্তর (১৫( ব্যর্থতায় জুটি ভাঙে ৪৭ রানের মাথায়। বিজয় একপাশ আগলে রেখে অর্ধশতকের কাছে পৌঁছালেও ৩৯ বলে ৪৩ রান করে কট এন্ড বোল্ড হন জশ ক্লার্কসনের বলে।

লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস করেন ২২ (১৯) রান। অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এদিন ৪ রান করে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। তাওহীদ হৃদয় জ্বলে ওঠার আভাস দিলেও নিভে যান ২৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করে।

আফিফ হোসেনের ব্যাটে আসে ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান। মেহেদী মিরাজ অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ বের করতে ব্যর্থ হন। ৩০ ওভারে বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে বরাবর ২০০ রান তুলে।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মিলনে, ইশ সোধী ও জশ ক্লার্কসন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামলে দুই কিউই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র আর হ্যানরি নিকলসকে শরিফুল ইসলাম ফেরান রানের খাতা খোলার আগে। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ান উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৪৫ রানে ১৭১ রান। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ ১৩১ রান ছিল ২০১৫ সালে মার্টিন গাপটিল ও রস টেলরের।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হন ৯২ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। ল্যাথাম ভুল করলেও ওপেনার উইল ইয়াং সেই ভুল করেননি। ৮১ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইয়াং তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০৪ (৮৩) রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন ইয়াং।

বাংলাদেশের পক্ষে ২টি উইকেট নেন শরিফুল, ১টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।


আরও খবর



ধরা ছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র আক্কেলপুরে একই রাতে ৮টি মিটার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে চিরকুটে ফোন নাম্বার ও সিরিয়াল লিখে পাশাপাশি দুইটি ফসলী মাঠের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়নের পাশাপাশি কাদোয়া ও গণিপুর জাফরপুর মাঠে ঘটে। একই কায়দায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ফোন নাম্বর থাকা সত্বেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চোরেরা।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নলকুপ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের গভীর নলকুপের দুইটি, মাসুদ রানার একটি, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের একটি, এনামুল হকের একটি, আবু সালেকের একটি, আব্দুর রহমানের একটি ও রামশালা গ্রামের সিরাজ মৃধার একটিসহ মোট আটটি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার তালাবদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে কাগজের চিরকুটে ০১৯৭৪-১৪৫১০৯ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা একটি সিরিয়াল নম্বরও লিখে রাখে। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে ৮ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকি দেয় চোরেরা। ওই দুটি মাঠে প্রায় ৭০ হেক্টর ইরি বোরো ধানের ক্ষেত রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই মাঠের কৃষকরা।

আরও জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়ন থেকে এক রাতে ছয়টি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছিল সিরিয়াল ও ফোন নাম্বার । ফোন নাম্বার থাকা সত্তে¦ও চোর ধরতে না পারায় সেচ পাম্প মালিক ও জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংযোগের মিটার নিতে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ওই অফিসে তিন ফেইজ মিটার মজুদ নেই। এছাড়াও  প্রতিটি বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আক্কেলপুর জোনাল অফিসে। কিছু গ্রাহক টাকার বিনিময়ে চোরের কাছ থেকে ফেরৎ নিয়েছে মিটার। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই দুইটি ইউনিয়নের আটটি গভীর নলকুপের সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে ইরি বোরো ধান। মিটার চুরির ঘটনায় এই সব জমিতে সেচ বন্ধ থাকায় ধান উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি দপ্তর ও কৃষকরা।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে গভীর নলকুপের মালিকরা জানিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া কোন মিটার উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  গভীর নলকূপের সংযোগ তিন ফেইজের হয়। মামলার পাশাপাশি চুরি রোধে গ্রাহকদের স্থায়ীভাবে ট্রান্সফরমার এবং মিটার পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহক সচেতনতায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই চুরি রোধ হচ্ছে না।

তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া গোপীনাথপুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মাসুদ রানা বলেন, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মিটারের তালা বদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। 

কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এমনিতেই ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে যায়। এ সময় ধানে দানা ধরতে শুরু করেছে। এখনি পর্যাপ্ত সেচ না দিলে ধান চিটা হয়ে নষ্ট হবে। আমরা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এই সময় ধানের জন্য পানি অতীব জরুরী। সাত দিনের মধ্যে জমিতে পানি সেচ না দিতে পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে তিন ইঞ্চি পরিমান পানি রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন হোসেন বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে খবর পেয়েছি। চোর চক্রদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের শনাক্ত করতে দ্রুত আমরা সক্ষম হবো।
মিটার চোরদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




রাণীশংকৈলে ৫ দিন পর মানসিক প্রতিবন্ধির অর্ধ গলিত লাশ ভূট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রামপুর ব্রিজের পার্শ্বে ভুট্টা ক্ষেত থেকে বৃহস্পতিবার (২মে) মানসিক প্রতিবন্ধির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। জানাযায়, উপজেলার জওগাঁও গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৫৭) ধামালু ভুট্টা ক্ষেতে পানি (সেচ) দিতে গেলে ক্ষেতের ভিতরে লাশ দেখতে পায়। এসময় ধামালুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে ভুট্টা ক্ষেতে অজ্ঞাত নামা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ৫দিন ধরে উপজেলার চেংমারি গোচিয়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মানসিক প্রতিবন্ধি তৈমুল হক (৫৫) বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার কালো রং মাখানো অর্ধ গলিত তৈমুলের লাশ ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া যায়। তবে পরিবারে লোকজনের দাবী তৈমুল কে হত্যা করা হয়নি। সে মানসিক প্রতিবন্ধি ছিল।

এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে, লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এ প্রসঙ্গে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক বলেন, লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে সিআইডি’র একটি চৌকস দল এলেই লাশের মোটিভ আরো কিছুটা পরিস্কার হবে। যেহেতু অর্ধগলিত লাশ তা ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের মাঝে হস্থান্তর করা হবে।

আরও খবর



মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭টি ইউপিতে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ডেস্ক উদ্ভোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথ ও হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধন করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাটিরাংগা উপজেলার ৭ টি  ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথ ও হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী।

 এসময় মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র এিপুরা,বেলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো.রহমত উল্ল্যাহ, আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল গণি, বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইলিয়াছ, তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান পেয়ার আহম্মেদ মজুমদার, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি সচিব মো.রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউপি সচিব ও উদ্যােক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট-২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুর্বতী বলেন,বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি যুগান্তকারী উদ্যোগ জানিয়ে তিনি আরো বলেন রেজিষ্ট্রেশন করুন, নিজের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

আপনিও হোন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের গর্বিত অংশীদার, উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও উদ্যােক্তার এর সমন্বয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম  চলমান রয়েছে বলে জানান।


আরও খবর



ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন।বুধবার দুপুর ২ ঘটিকায় ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মঈন উদ্দিন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আমিন অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব রুহুল আমিন, ফুলবাড়ী বঙ্গ মিলার্স কোম্পানী লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাকারিয়া, ফুলবাড়ী কালি রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, কৃষক প্রতিনিধি ও সদস্য উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি ফুলবাড়ীর কৃষক প্রতিনিধি অম্বরীশ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ মোঃ ইমরান। আয়োজনে ছিলেন উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। চলতি বছর সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা, চাল ৪৫ টাকা ও আতপ চাউল ৪৪ টাকা কেজি দরে ক্রয় করবেন। 

কৃষক আলিম উদ্দিন এর ১টন ধান ও চাউল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন শেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত করেন হাফেজ মোঃ রোস্তম। এ সময় ধান ও চাউলের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, অটো মিল মালিকগণ, ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



"গ্রামে যারা উৎপাদন করছেন তাদের কষ্ট নেই"

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে, তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিবিসির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে, গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

তিনি বলেন, তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা যথাযথভাবে দেশে উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। সেটা যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণটা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় কথা। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।

সরকারদলীয় এমপি মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য, যেমন- জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শিগগিরই ক্রলিং পেগভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাসদ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর